তীর্থংকর [সংস্করণ-৩] | Tirthankar [Ed. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
sac cul eee পক্ষান্তরে wy মেলডিই যার উপজীব্য তাকেও অনেকখানি আনন্দ থেকে বঞ্চিত থেকে যেতে হয়-_কি না, স্বরসঙ্গতির আনদ্দ। প্রতি শিল্পকে গোড়ায় একটা বাছাই ক'রে নিতেই হয় যার ফলে সে কিছু পায়--কিছু ছাড়ে। এ চুক্তিতে যা সে ছাড়ল তার কাছে সেইটা চাওয়াই অসঙ্গত ।” রোলীর সঙ্গে আমার দ্বিতীয় সাক্ষাৎ ১৯২২ আগস্টের ১৬ই ও ১৭ই তারিখে তাঁর সুইস কুটিরে। সে কথোপকথনের রিপোট আমি তখনি লিখে রাখি। সে অনুলিপির সামান্যই সংশোধন করেছি এখানে — দূবৎসর বাদে রোলীর সঙ্গে দেখা। তাঁর সঙ্গে যা যা কথাবার্তা হ'ল লিখে রাখার জন্যে কলম তো ধরেছি। জানি হাজার সত্যনিষ্ঠ হবার চেষ্টা থাকলেও একজন কখনই আর এক- জনের ভাবধারা 'ছবছ ধরতে পারে না : নিজের মতন ক'রে নেয় তাকে। তবু যতটা পারি রোলীর Terese প্রাধান্য দিয়ে লিখে যাব--নিজের মতামতকে রাখব পিছনে | পারব কি না জ্বানি লা, তবে আদশটা মনের প্ৃদীপে জ্বালিয়ে রাখা তালো সব সময়েই! রোলীর মতামত ব্যাখ্যার আগে, যাঁরা তার সম্বন্ধে বিশেঘ কিছু জানেন না, তাঁদের জন্যে এ-অসামান্য মানুষটির একটু বিবরণ দিই । যুরোপে অনেক খ্যাতনামা সমানোচকের বিশ্বাস যে, মানবচরিত্রের বিকাশের ইতিহাসে রোলার চরিত্র অতি অপরূপ। শুধু এত বড় সাহিত্যিক ব'লেই নয়, এত বড় হৃদয়ের সঙ্গে এতখানি বিদ্যা, ভাবুকতা ও সংস্কৃতির যোগাযোগ এ-জগতে বিরল 'রোলী সঙ্গীত্ধের, চিত্রবিদ্যার ও ভাস্কর্যের একজন পথম শ্েণীর সমজদার। পারিসে যখন “যুরোপীয় সঙ্গীতের ইতিহাস” সদ্বন্ধে তিনি ক্লাসে Tee দিতেন, শুনতে নানা স্থান থেকে . শোতা আসত। সঙ্গীতের এতবড় উদার সমালোচক জগতে খুবই কম। ইনি একজন উচচদরের পিয়ানিষ্ট। অনেকের বিশ্বাস যে, এযুগের একটি বড় উপন্যাস acre এঁর বিশৃ- বিশ্নৃত ‘ch ক্রিযৃতফ'। কিন্তু রোল মানুষাট তাঁর লেখার চেয়ে অনেক বড়। শিল্পকলা, সেবা ও বিশৃযানবের পতি উজ্জল বিশ্বাসের এ-উদৃগাতাকে স্বদেশদ্রোহী অপবাদ পর্যন্ত সইতে হয়েছে, ছোটখাট নির্যাতনের তো কথাই নেই। কলাবিত্রা সচরাচর সংসার থেকে একটু দূরে থাকেন ব'লে অপবাদ আছে--এ-অপবাদের যে ভিত্তি নেই, এমন কথাও বলা চলে না। কিন্তু Baby যেযনতাবে এর সমাধান করতে চেষ্টা করেছিলেন-_অর্থাৎ জীবন থেকে শিল্পকে আত্মসর্বস্থ ব'লে ছেঁটে দিয়ে-_রোল সে পথ মাড়ান নি! তিনি জনহিত ও Penh দুই-ই ক'রে এসেছেন বরাবর। যথা, নোবেল পুরস্কারের সমস্ত টাক রেড SOM জন্য দান--যদিও তখন এ'র অবস্থা খুব সচছল ছিল না। শিল্প এ'র কাছে ৬” রিহার্য ছিল চিরদিনই। রোলী লিখছেন :-- “J’aimais l’art avec passion ; depuis l’enfance je me nourrissais dart, surtout de musique ; je n’aurais pu m’en passer ; je puis dire que la musique me semblait un aliment aussi indispensable a ma vie que le pain.” অর্থাৎ “আমি কলাকে ভালোবেসে এসেছি প্রাণমনের সমস্ত আবেগ দিয়ে। * ea থেকেই আমি, কলার দ্বারা পরিপুষ্ট হয়ে এসেছি-_বিশেষত সঙ্গীত। এ-পাথেয় বিনা জীবন-পথে চলা আমার পক্ষে অসম্ভব হ'ত। এমন কি, আমি বলতে পারি যে, সঙ্গীত আমার কাছে আহারের চেয়ে কম দরকার ব'লে মনে হ'ত না।'” রোলার জীবন আমাদের দেশের লোকের



Leave a Comment