আজাদ হিন্দ ফৌজের কোর্ট মার্শাল ও গণ-বিক্ষোভ | Azad Hind Faujer Court Marshal O Gano Bikhov

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ফেলার ঘটনার সঙ্গেও তিনি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন | লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার (১৯১৪) সুবাদে এবং সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহের প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে ইংরাজের পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা করেছিল । fey লাহোর, বেনারস, অমুতসর প্রভৃতি যে-সব জায়গায় পুলিশ তাঁকে ধাওয়া করে সেই সব স্থান থেকে তিনি আগেভাগেই খবর পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অবশেষে পুলিশের হাত এড়ানোর জন্য তিনি প্রমথনাথ ঠাকুরের পাশপোষ্ট নিয়ে এবং PETS নাম ভাঁড়িয়ে ভারতবর্ষ ত্যাগ করে জাপানে এসে হাজির হন (জুন/১৯১৫)। এখানে আসার পর তিনি জনৈকা জাপ মহিলার পাণিগ্রহণ করে বিবাহসূত্রে জাপানের নাগরিকত্ব লাভ করেন এবং এখানেই তিনি আমুত্যু (২১ জানুয়ারী ১৯৪৫) বসবাস করেন। কিন্তু জাপানে স্থায়িত্ব লাভ করা সন্ত্বেও ভারতবর্ষের মুক্তি চিন্তা তাঁর মন থেকে কখনও URS হয়নি। মাতৃভূমিকে স্বাধীন করবার জন্যে তিনি সেই দূর বিদেশেই ভারতীয় স্বাধীনতা সঙ্ঘ বা ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেনডেন্স লীগ নামে একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলেন (১৯২৪) | লীগ গঠন করা ছাড়াও রাসবিহারী অপরাপর আরও কয়েকটি গঠনমূলক কাজে নিজেকে BIAS রাখেন। জাপানের নাগরিকত্ব লাভ করার পর তিনি জাপ সরকারকে আপন জন্মভূমির YS প্রচেষ্টার কর্মে সাহায্য দেওয়ার জন্য সবিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন | জাপ-ভারত সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তিনি সর্বপ্রথম জাপানে ইন্ডিয়ান ফ্রেন্ডসিপ এ্যাসোসিয়েসন নামে একটি সমিতি গড়ে তুলেছিলেন | ইউরোপে যুদ্ধ বাধার পরিস্থিতি বিচার করে তিনি ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রামকে শত্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য জাপানের SAG অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন | ১৯৩৭ সালে তিনি জাপানেও ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেনডেন্স লীগের একটি শাখা স্থাপন করেছিলেন। এই লীগে যে- সকল স্বেচ্ছাসেবী সদস্য গ্রহণ করা হয়েছিল জাপানী সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তাদের পরবর্তী দুই বছর সময়ের মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল | ভারতবর্ষের HS সংগ্রামের ব্যাপারে জরুরী পরামর্শ করার জন্য রাসবিহারী সম্ভবত সুভাযচন্দ্রের সঙ্গেও পত্রালাপ করার.চেষ্টা করেছিলেন (২৫ জানুয়ারী ১৯৩৮)। fey ইংরাজের গোয়েন্দা পুলিশের হাত এড়িয়ে সেই চিঠি সুভাষচন্দ্রের কাছে আদৌ পৌছাতে পারেনি P দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান যখন ইংল্যান্ড ও আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় (ডিসেম্বার ১৯৪১) তখন রাসবিহারী জাপ মরকারকে ভারতের মুক্তি সংগ্রামে প্রত্যক্ষ ভাবে সাহায্য করবার জন্য সে-দেশের বিখ্যাত ব্ল্যাক ড্রাগন সোসাইটির নেতা বিপ্লবী মিংৎসুরু তোয়ামা মারফৎ জাপ সরকারকে অনুরোধ ১৩



Leave a Comment