হেমেন্দ্রকুমার রায় রচনাবলী : ৫ | Hemendrakumar Ray Rachanavali : 5

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ হেমেন্দ্রকুমার রায় রচনাবলী : ৫ বিস্ফারিত হয়ে উঠল। স্মিথ বললে, “Gaby কি বললে ফুলব্রাইট? রাতের অন্ধকার দূর করবার জন্যে এই পাথরের বড় বড় গোলক ব্যবহার করা হয়?” a" “UNA রাস্তার ধারে সেই গোলকের তলায় থাকে ল্যাম্পপোস্টের মত সারি সারি থাম?” 11 --“আর একটা প্রকাণ্ড গুহায় এ আজব পাথরের অফুরস্ত ভাণ্ডার আছে?” আমি একটু বিরক্ত হয়ে বললুম, “যা একবার শুনেছ, তা আরো কতবার শুনবে?” হ্যারিস অভিভূত কণ্ঠে বলে উঠল, "ফুণগ্রাইট, এর মধ্যে বিশেষ সম্ভাবনার ইঙ্গিত আছে।” --_'কিসের সম্ভাবনা?” --“আমরা যদি এই স্বাভাবিক আগুন-পাথরের গুহার মালিক হতে পারি, তাহলে কেবল দুনিয়াজোড়া খ্যাতি-প্রতিপত্তি লাভ করব না, ধনকুবের হয়ে উঠব। পৃথিবীতে আর ক্ত্রিম আলোর দরকার হবে না, সর্বত্র ঘরে-বাইরে বিরাজ করবে এই চিরস্থায়ী স্বাভাবিক আলো।” তখনও পর্যন্ত এই আশ্চর্য সম্ভাবনার কথা আমার মনে উদয় হয়নি, এখন হ্যারিসের ভাষণ শুনে আমার মনটা চমকে উঠল। Bi, এই আগুন-পাথর সোনার চেয়ে মূল্যবান বটে! এঁ গুহাটা আবিষ্কার করতে পারলে সারা পৃথিবী হৈ-হৈ করে Gara আপাতত স্মিথ ও হ্যারিসের চোখের দিকে তাকিয়ে আমি আবিষ্কার করলুম দারুণ লোভ ও mane হিংসা। আমার ভালো লাগলো না। তারা চোখের আড়ালে যেতেই আলো-পাথরের টুকরোটা পিতলের পদক থেকে খুলে নিয়ে একটা আ্যালুমিনিয়ামের কৌটোর মধ্যে রেখে নিজের জামার ঘড়ির পকেটের ভিতরে লুকিয়ে রাখলুম, সাবধানের মার নেই! দিনতিনেক পরেই দেখলুম, সেই মূল্যহীন পিতলের পদকথানা আর আমার ঘরের ভিতরে নেই, বাইরে ঘাসজমির উপরে পড়ে রয়েছে। ব্যাপারটা বুঝলুম, চোর প্রস্তরশূন্য তৃচ্ছ পদকখানা কোনই কাজে লাগবে না বুঝে, ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে গেছে। চোর যে কারা তাও বুঝতে কষ্ট হল না, মুখে কিছু ভাঙলুম না বটে, তবে আরো সাবধান হলুম, পাথরখানা সরিয়ে ফেলল্ম ঘড়ির পকেটের চেয়েও গোপনীয় স্থানে। তারপর যে উদ্দেশ্য নিয়ে এদেশে হাজির হয়েছি, তাই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠলুম। আগে তো সোনার পাহাড়ে গিয়ে উপস্থিত হই, তারপর আলো-পাথর নিয়ে মাথা ঘামাবার অনেক সময় পাওয়া ACA | আর বলতে কি, ভূতের GAA সব কথার সত্যতা সম্বন্ধে আমার মনে সন্দেহও ছিল যথেষ্ট। অফুরস্ত আলো পাথরের গুহা এবং আলো-পাথরের দ্বারা পথ-ঘাট আলোকিত করা প্রভৃতি কেমন যেন অবাস্তব বলে মনে হতে লাগল, চোখে না দেখলে এ-সব ব্যাপার সত্য বলে মানা যাবে al | তারপরেও Pal ও হ্যারিস আমার আলো-পাথরের কথা তৃলেছে। আমি অবহেলা ভরে বলেছি, “পাথর আর আমার কাছে নেই, পকেট থেকে কখন কেমন করে পড়ে গিয়েছে।” মুখ দেখে বোঝা গেল, তারা আমার কথায় বিশ্বাস করেনি।



Leave a Comment