একটি অদ্ভুত মামলা [সংস্করণ-১] | Ekti Advut Mamla [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বিশেষ ক্ষেত্রে ছেলেটির উপর এই মহিলাটির দরদ নির্ভেজাল বলেই মনে হলো | এইখানে একটি প্রশ্ন বারে বারে আমার মনে উকি দিতে লাগলো--এইটিই যদি সত্য হয়, তাহলে এই ছেলেটির আততায়ীর উপর এর কোনও ক্রোধ দেখা যাচ্ছে না কেন? এতক্ষণ আমাদের সংবাদদাতা ভদ্রলোক খগেন সরকার প্রমীলা দেবীর পাশেই টীড়িয়ে ছিলেন । হঠাৎ এইবার তিনি একটু এদিক ওদিক চেয়ে কি ভাবলেন | তার পর পাশ.কাটিয়ে চট করে তিনি রোগীর ঘরে ঢুকে পড়লেন ৷ বেশ বুঝা গেল যে এই ভদ্রমহিলা তার এই পাতানো ভাইটির একাকী রোগীর ঘরে প্রবেশ করা পছন্দ করলেন না। এদিকে আমাদের সঙ্গে কথা শেষ না করে তীর পিছু পিছু 'সেই ঘরে চলে যাওয়া ভালো দেখায় না। অথচ রোগীকে তাঁর হাতে একাকী ছেড়ে 'দিতেও যেন তিনি নারাজ | ভদ্রমহিলা মছুরৃহ্ পর্দার ফাকে রোগীর ঘরের দিকে তাকিয়ে দেখছিলেন | এর পরে তিনি একটু অশান্ত হয়ে উঠে ভদ্রলাককে সম্বাধন করে বললেন, 'আরে - ও--ও--দাদা ভাই ! তুমি এখন ওঘরে কি করছে ? এদের কাছে একট দাড়িয়ে কথাবার্তা oer কিন্তু তাঁর কাছ হতে কোনও উত্তর না পেয়ে ভদ্রমহিলা HBB হয়ে উঠে এইবার এক-এক পা করে রোগীর ঘরের দিকে একটু এগিয়ে গেলেন । এদের এই আচরণ আমার ও আমার সহকারীর নজর এডায় নি । কিন্তু এতো শীদ্র এতটুকু মাত্র দেখে কোনও এক স্থির সিদ্ধান্তে আসা যায় না। তাই আমি এই সম্বন্ধে একটু চিন্তা করে weet অফিসার ভক্কিবাবর দিকে জিজ্ঞাস Ce একবার চেয়ে দেখলাম | আমাব সহকারী অফিসার ভক্তিবাবৃও বোধ হয় এই একই খাতে চিন্তা করতে শুরু করেছিলেন ৷ আমবা পরস্পরের সহিত দুষ্টি দ্বার৷ ভাব বিনিময় করবার পূর্বেই ভদ্রমহিলা, “একটু বসুন, আমি আসছি,” বলে ডান পাশের 'রোগীর ঘরে ঢুকে পড়লেন | আমরা দুয়ারের পর্দার তলাকার He দিয়ে সুস্পষ্ট ভাবেই দেখলাম এক cael পৃরুষের পা ঘুরে এই মহিলাটির পথ অবরোধ করে দাড়ালো । তার পর তিনি sewers, অনুযোগ করে মহিলাটিকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “আর একে তাহলে এখানে রেখে কি হবে? ওকে ওদের নিজেদের বা "মামার বাড়ি পাঠিয়ে দাও না ।” হঠাৎ এই সময় ঘরের পর্দার উপর একটা কঙ্কণধারী কোমল হাতেরও ছায়া পড়লো । দুইটি মনুষ্য দেহের ছায়া অনুধাবন করে আমি বুঝলাম যে ভদ্রমহিল| এই মামলার প্রাথমিক সংবাদদাতাকে কলুই-এর গুতা দিয়ে 'পিছনে সরিয়ে দিলেন । তারপর স্পষ্ট নারীকণের চাঁপা vata তুলে ভদ্রমহিলা TEMA বললেন. 'অতো উতলা হয়ো না। আগে এই ঝামেলা সামলাই-_তারপর ও সব ভাববো। কিন্তু খবরদার ওর আর কোনও ক্ষতি তুমি করতে পারবে না।' এর একটু পরেই পুরুষকণ্ঠের একটি অধৈর্য জিজ্ঞাস আমাদের কানে এসে! পৌঁছোয়-" ১১



Leave a Comment