এক প্রহরের খেলা | Ek Praharer Khela

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ঙ৬ এক্‌ প্রহরের খেলা এই ভাবেই এক সময় রাত্রির দ্বিতীয় প্রহর অতিক্রান্ত হয়ে গেল | প্রাসাদের উদ্যানে রাখা পেটা ঘড়িতে দ্বিতীয় প্রহরের ai বেজে গেল একে একে | শান্ত স্তব্ধ হয়ে গেছে এ প্রাসাদের প্রাণ-চাঞ্চল্য অনেকক্ষণ আগেই | কিন্ত সকলে ঘুমিয়ে পড়েছে fea সেটা এ স্তব্ধতা থেকে বোঝা যায় না। মালিক যখন তার ঈপ্দিত কক্ষে শয়ন করতে যান, তখন থেকেই এ প্রাসাদে অনাবশ্যক শব্দ থেমে যায় একেবারে | পরিচারক পরিজনরা পা টিপে টিপে চলে, আহার করে তাও যতদূর সম্ভব নিঃশব্দে cata বাতি সব নিভিয়ে দেওয়া হয়। ফটক- গুলোতে প্রচুর তেল দে ওয়া থাকে-_পাছে খুলে দেওয়ার সময় কোন ধাতব শব্দ ওঠে এই ভয়ে- তবু বড় বড় ফটকগুলো প্রথম প্রহর উত্তীর্ণ হবার আগেই বন্ধ করে দেওয়া ATI এখানে গভীর রাত্রি পর্যন্ত জেগে থাকে শুধু বিরহিণী বা অভিসারিকার দল । জেগে থাকে তাদের দয়িত বা প্রেমিকরা, আর জেগে থাকে ভৃত্য কর্মচারী-প্রহরী-প্রহরিণীরা। তারাও মালিকের বিশ্রামের সময় হ'লে কাপড়ের জুতো পরে চলাফেরা করে-_ ভৃত্যরা খালি পায়ে। কথা কয় না কেউ, ইশারা ইঙ্গিতে কাজ সারে -_-নিতাষন্ত প্রয়োজন হ'লে চুপি চুপি ফিস ফিস করে কথা কয়। কিন্তু সেও দ্বতীয় প্রহরের পরে আর নয়। তার মধ্যেই যে যার কাজ সেরে নিজের নিজের কোটরে গিয়ে ঢোকে-_-নয়ত বাগানে বা বারান্দায় চারপাই আশ্রয় করে। এর পরে জেগে থাকে কেবল তাতারী প্রহরিণীরা, হাবসী খোজারা। তাদের খঘুমোলে চলবে না। অন্ধকারে মুক্ত Ft হাতে নিঃশব্দে প্রেতমৃতির মতো ঘুরে বেড়ায় তারা অলিন্দে অলিম্দে, উদ্ভানের কোণে কোণে- ফটকের ধারে ধারে। কোন অপরাধী চোখে পড়লেও শব্দ করে না, চেঁচিয়ে ডাকে না কাউকে _ হয় তাকে নিজে নিজেই গ্রেপ্তার করে, নয় তো অসুবিধা বুঝলে একেবারেই তরবারী বসিয়ে দেয় WF |



Leave a Comment