যুগল উপন্যাস আরণ্য ও দীপিতা | Jugal Upanyas Aranya O Dipita

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ যুগল উপন্যাস তারপর হারিতের দিকে চেয়ে বলল, জঙ্গলে প্রথমে আমরা যেখানে যাব সেখানে পৌছতে BUG লাগবে? এখান থেকে কখন বেরোব আমরা তারই ওপর ডিপেন্ড করছে। এখন বাজে সাড়ে না প্রায়। যদি এখানে না থেকে রাত এগারোটা নাগাদ বেরোই তবে আস্তে আস্তে চালিয়ে গেলে যোশিপুরের আগেই বাঁদিকে ঢুকে গিয়ে চাহালা পৌছে যাব সকালেই | তাহলে তো ভালই। তার আগে ঘরগুলো তো দেখা যাক। বলে, ওরা তিনজনেই গেল ঘর CHATS | বিছানা, বেড-কভার, বালিশের তেলচিটে ও মর্দিত চেহারা দেখে হারিত বলল, এসব ঘর তো দেখছি ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। গামহার বলল, ইদুর কেন? এখানে বাঘ থাকাও আশ্চর্য নয়। চিকরাসি বলল, তার চেয়েও বড় কথা এই বিছানাতে রাত কাটালে এইডস হবে নির্ঘাৎ। যে বেয়ারা বরফ নিয়ে এসেছিল, সে বলল, ভাল করে স্প্রে মেরে গুডনাইট জ্বালিয়ে দেব স্যার। TERA লাগবে AT গুড়নাইটে কি ইদুর মরবে? ইদুর কোথায়? মাঠ থেকে হয়তো জানালার ভাঙা কাচ দিয়ে একটা হঠাৎই ঢুকে এসেছিল। তার কণা শেষ হতে না হতেই বাথরুম থেকে একটা এবং খাটের তলা থেকে আরেকটা বেড়ালের মতো ইদুর লাফ মেরে খোলা দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে ওদিকের অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। হারিত বলল, দ্যা ডিসিশন ইজ মেড । চলো, খেয়েদেয়ে বেরিয়ে পড়ি। সারারাত গাড়ি চালালে রাফিং হবে। ছেলেবেলায় জি টি রোড দিয়ে গাড়ি চালিয়ে বার্নপুরে বড়পিসের বাড়ি যেতাম। রাতের খাওয়া-দ।ওয়ার পর বেরোতাম। ধীরে সুস্থে গিয়ে গরম গরম সিঙ্গাড়া-ছিলিপি কিনে নিয়ে পিসি-পিসেকে হল্লাগুল্লা করে ঘুম থেকে তুলতাম সকালে। ছেলেবেলা আবার কি! তুমি তো এখনও ছেলেমানুযই। আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক গামহারদা। আমার বউকে শুনিয়ে আরেকবার বলুন। এই যে শুনছো! শুনেছি। আমি তো জানিই যে তুমি ছেলেমানুষ। তুমি যেটাকে গুণ ভাবছ, আমি তোমার মধ্যে সেটাকেই দোষ বলে মনে করি। সব বুড়োমানুষী সব ছেলেমানুযষকে যেমন মানায় না, সব ছেলেমানুষী তেমনই সব বুড়োমানুষকে মানায় না। সব ফুলদানীতে কি সব ফুল মানায়? আধারে আধারে তফাৎ থাকেই | হারিত বলল, দেখলেন স্যার। একটা সরল কথার পিঠে কী দার্শনিক এবং গোলমেলে তত্ত্ব আওড়ালো আমার I | আবার স্যারট্যার কেন ভাই। গামহারদাই বোলো। তাই বলব। কে কি খাবে বল। আমি অর্ডারটা দিয়ে আসি তারপর সয়ে গিয়ে নিয়ে আসব। যা হয় বলো কিন্তু সকলের জন্যে একই মেনু বল। Of জামাইযষ্ঠী না কি? অত ঝামেলা করার কি দরকার।



Leave a Comment