স্মৃতিটুকু থাক | Smritituku Thak

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বাইরে, লবিতে গোলমাল। হঠাৎ দেখা যায় রাস্তার ওদিকে গাড়িতে বরে দুর্গাদাসবাবু এসে area ভিড়ে ভিড়। তিনিই বলেন-_অসুস্থ আমি নই, ওসব বাজে কথা। মঞ্চ মালিক স্টাফদের মাইনে দেননি, তাই আমি অভিনয় করছি না। ওদের মাইনে মিটিয়ে দিলেই আমি মঞ্চে নামব। বলাবাহুল্য মালিক সেই দিনই কর্মীদের সব প্রাপ্য মিটিয়ে দেন, অভিনয়ও হয়। তখন যুদ্ধে র বাজার। ABMS, ট্রেখত-_বাফেল দয়ালের যুগ, তবু ছবির কাজ চলছে। অবশ্য এদেশে ফিল্ম তৈরি হত না (MAAS পঞ্চাশ বছর পরও এখনও হয় না বল্লেই চলে) বাইরের থেকে কোডাক, গ্যাভা, ফুজি এসব কোম্পানির ফিল্ম আসত। তাই কোটা নির্ধারিত করা হত এক একটা ফিল্মের নামে। সেইসময় পরিচালক হেমেন GS একটা হিন্দি বাংলা ছবি “দ্বন্দ” এর কাজ শুরু করেছিলেন। বাংলা ছবি “দ্বন্দ্ব তৈরি হয়ে গেছে৷ তেমন চলেনি তাই হিন্দিতে ওই নামে অন্য গল্প করতে চান। তখন আমি এই লাইনে যাতায়াত করি। লেখাও বের হচ্ছে সব পত্রপত্রিকাতে। দেশ, ভারতবর্ষে তখন লিখছি। “প্রবাসী” তখনকার নামী অভিজাত পত্রিকা। আপার সার্কুলার রোডে নিজস্ব বাড়ি, কিছুটা ইংরেজ আমলের ছোট ক্যাসেল টাইপের। রবীন্দ্রনাথ লিখতেন “প্রবাসী” তে নিয়মিত | এদের ই রেজি পত্রিকা ছিল মর্ডান টাইমস্‌ আর হিন্দি পত্রিকা ছিল “বিশাল ভারত'। এই পত্রিকাতে লেখা ছিল সম্মানের ব্যাপার। তখন তরতাজা তরুণ। একটি ছোটগল্পের পাগুলিপি নিয়ে একদিন গেলাম এদের দপ্তরে। দোতলার বিশাল ঘরে টেবিলে কাগজের স্তূপ নিয়ে কাজ করছেন গম্ভীর ধরনের এক ব্যক্তি | ইয়া গৌফ আর চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। ভীতকণ্ঠে বলি একটা ছোটগল্প দিতে এসেছিলাম। ভদ্রলোক আমার দিকে ASA ভাবে চেয়ে আপাদমস্তকে সমন্ধানী দৃষ্টি নিয়োগ করে বলেন--তরুণদের লেখা তো আমরা ছাপি না। প্রবীণদের লেখাই ছাপা হয় এখানে তার কথাই হতাশই হলাম। ফিরে আসছি হঠাৎ দরজার কাছে এসে ঘাড়ে কি দুষ্টু বুদ্ধি চাপল জানি না। ফিরে অনুমতি চাইলাম তার-_একটা কথা বলব? — বলো! মশাই-_তাহলে দশ-পনেরো বছর পর পত্রিকা তুলে দেবেন? -_মানে, ভদ্রলোক বিস্মিত হয়ে চাইলেন। আমি সবিনয়ে জানাই | -_আজ যারা প্রবীণ, দশ পনেরো বছর পর তারাতো সব চলে যাবেন তখন কাদের লেখা দিয়ে পত্রিকা চালাবেন? ভদ্রলোক এক মিনিট আমার মুখের দিকে চেয়ে থেকে বলেন--ঠিক আছে। ১৮



Leave a Comment