মাইকেল | Michel

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
॥ এক ॥ “একটি অগ্নিস্কুলিঙ্গ পাঠাইলাম, দেখিও যেন ইহা বাঁতাসে উড়িয়া না যায় ।” মাইকেলের চাকরির দরখাস্তের এক পাশে ware এই কথা কয়টি লিখে- ছিলেন স্থবপারিশ হিসেবে বিদ্যাসাগর । এই দরখাস্ত মাইকেল পাঠিয়েছিলেন কোচবিহারের মহারাজার কাছে। এ রাজ্যের ম্যাজিস্ট্রেটের পদটির জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন কবি | এই ঘটনাটি ঘটেছিল তার জীবনে ১৮৬* সনে | “মেঘনাছবধ কাব্য' তখনো প্রকাশিত হয় নি। সমকালীন বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ aT বলে যিনি তখন স্বীকৃত ও সম্পূঞ্জিত, সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর “অগ্নিস্কুলিঙ্গ' বলে চিহ্নিত করলেন আগামী দিমের যৌবনমুক্তির প্রথম কবিকে । বিদ্যাসাগরের এই স্থপারিশটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং মাইকেল-চরিত্রের Berea প্রবেশের পক্ষে বিশেষভাবেই সহায়ক । যিনি বাংলা কাব্যজগতে যুগান্তরের বার্তা বহন করে নিয়ে আসবেন, বাংলার উনিশ শতকের নবজাগরণকে যিনি এক নৃতন চেতনমন্ত্রে সঞ্জীবিত করবেন, তেমন প্রতিভাকে তো একটি অনির্বাণ অগ্নিস্কুলিঙ্গ হতেই হবে, নইলে কেমন করে আগুনের স্পর্শ লাগবে ইতিহাসের গায়ে? রিদ্ঠাসাগর যেন সেই Cet) প্রতিভার হুনিশ্চিত আগমন ঘোষণা করেই এ “অগ্নিস্কুলিঙ্গ* “ai ব্যবহার করেছিলেন | জানি a, তার লেখনীমুখে কোন্‌ মাহেন্দ্রলগ্নে এই wea অভিধাটি প্রকাশিত হয়েছিল এবং এট] সচেতম মন অথবা অবচেতন মমের কথা, তাও আজ অনুমান করা GRE) wea ইতিহাসের পথরেথা যদি ঠিকমতো অনুসরণ করা যায় এবং উনিশ শতকের প্রথমাধের বাংলার ছবিটা যদি tan আমাদের THA একবার নিরীক্ষণ করি তাহলে বুঝতে পারব যে কার্য-কারণ সন্বদ্ধের চিরস্তন রীতি অন্তসারেই একটি ania অগ্নিস্কুলিঙ্গের আবির্ভাব তখন বাংলার তাবজীবনে প্রত্যাশিত হয়ে উঠেছিল। বাঙালির আকুতিই কী ভাষা পেয়েছিল বিদ্যাসাগরের লেখনীতে ? ইতিহাসের দিক্চক্রবালে তিনি তার দিব্যদৃষ্টিবলে সুধু এই স্ফুলিঙ্গটির আবির্ভাব প্রত্যক্ষ করেই fas হন নি, সঙ্গে সঙ্গে ইঙ্গিত



Leave a Comment