গীতশ্রী | Gitoshri

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভূমিকা ভূমিকার একটু প্রয়োজন আছে। ছেলেবেলা থেকে নানা eaters কাছে গানবাজনা শিগতে শিখতে নানা প্রশ্নই মনে জেগেছে''-ধীরে ধীরে মিলেছে কাঁরুর বা সমাধান, কারুর বা মেলে নি আজও। কোনে! ধারণাই আমি আকড়ে থাকি নি--না মাহিত্য- জিজ্ঞাসায়, না সঙঈগীতসন্ধানে। তাই আগেকার অনেক ধারণা যদি আজ বদ্লে গিয়ে থাকে তাহ'লে জবাবদিহি নেই: অদলবদলই তো জীবনের ধর্ম | সঙ্গীত সম্বন্ধেও আমার এই কৈফিয়ৎ প্রথমেই পেশ ক'রে রাখি। পরের কথাগুলো যতটা পারি গুছিয়ে বলি- যদি যথাপধ্যায়ে বলতে না-ও পারি, কেন না বক্তব্য বহু, ভিড় ক'রে আসে-- চিন্তাও কখনো কখনো আসে শেক্ষপীয়রের sorrows’ battalions-q4 মতন- তা থেকে বাছাই করা অনেক সময় মোটেই সহজ হয় না। হিন্দুস্থানি গান ও বাংলা গান উভয়ই আমার অত্যন্ত প্রিয়, কিন্ধু এ-দুয়ের প্রীতির মধ্যে একটু তফাৎ আছে। সেটা এই যে, বাংলা গান এখনো afags : হিন্দুস্থানি গান তার প্রবীণতার শিখর অতিক্রম করেছে। একজন উদীয়মান : আর একজন পশ্চিম ঢলেছে। কিন্তু তবু এ-অস্তাচলচুড়াবলম্বী তার রঙের রমের সব বাহার এখনো সঙ্গীত-গগনে নিঃশেষে বিলিয়ে দিয়ে ata fa তাই আমাদের হিন্দুস্বানি গানের কাছে শিক্ষণীয় আছে অনেক কিছুই । তাছাড়া হিন্ুস্থানি গান এখন “পুনরাবৃত্তিপদ্থী” হ'লেও অতঃপর যে cre একটা নতুন দিক কেটে নেবে al এমন কথা কে বলতে Aiea? তবে হিন্দুস্থানি গানের ভবিষ্যৎ বিকাশের প্রসঙ্গ এখানে থাকুক--মেটা এুমিকায় অবান্তর wore বটে, এ একটা বিপুল গবেষণার বিষয় vere বটে। আপাতত আমি যেটা বলতে চাইছি ৷ গীতশী-র লক্ষ্য-নিরূপণে আমার একটা প্রধান বক্তব্য এই যে, বাংলা গানের ভাবী বিকাশের পক্ষেও হিন্ুস্থানি সঙ্গীতের সঙ্গে নিবিড় পরিচয় শুধু যে দরকার তা-ই নয়--অপরিহার্্য। ভারতীয় সঙ্গীত figs ধ্বনিশিল্পে চূড়ান্ত AG অর্জন করেছে হিন্দুস্ানি রাগমঙ্গীতে। এ-কলাকারু মহীয়ান্‌, অপূর্ব, বিশ্বের সঙ্গীত- দরবারে এর জুড়ি নেই। এহেন জাতীয় সম্পদ শুধু Bastia একচেটে থাকতে পারে না এখুক্তিতে যে, বাঙালি এ মঙ্গীতের প্রথম শব ছিল না। বস্তুত মানুষের কোনো মহীয়সী BST সাম্প্রদায়িক ব্যাপার হতে পারে না-প্রতি মানুষই সব মানুষের সরিক । একথা যে কথার কথা নয় তার ays প্রমাণ এই যে, হিন্দুস্থানি গান “অবাংলা” হওয়া Aye এর ws ee না হ'তে বাঙালি গুণীও এ-সঙ্গীতে wnat রুতিত্ব দেখিয়েছেন। এ থেকে সিদ্ধান্ত sal নিশ্চয়ই SARS হবে না যে হিন্মুস্থানি সঙ্গীতের প্রাণবস্তুটি বাড়ালি wa sey বৈদেশিক ( exotic ) নয়-_যে-কথা হাল ল একদল স্বাজাত্যবাদী “ব্গগৌরবী”-র মুখে শোনা যায়। মানধ-সভ্যতাঁর প্রগতির ইতিহাসে ofa ভুরি দৃষ্টান্ত মেলে এই সত্যের যে, এক জাতির হ্ষ্টিপ্রভাব wy জাতির qa স্ুষ্টিশক্তিকে জাগিয়েছে, মক্রিঃ করেছে, BER করেছে। মানব-মনের উপর-তলায় cy’ কথাটিই অস্পৃশ্য । তাই একথা HI, সনাতনীবা যতই আপত্তি করুন না| কেন, অদূর ভবিষ়তে যুরোপীয় মঙ্গীতও ভারতীয় সঙ্গীতে ঠাই পাবেই পাবে-ইতিমধ্যেই কি পায় নি1?-- আধুনিক বা'লার আবহাওয়ায় যুরোগীয় শিক্ষা্দীক্ষার সুরভি চারিয়ে রয়েছে। তাঁর শ্রেষ্ঠ সুরকারদের গানে যুরোগীয় সঙ্গীতের--মেলডির--আমেজ অপ্রতিবা্ধ। এতে অনেকে দুঃখ করেন-- যদিও কেন, বোঝা দায়। কিন্ত AFA যাই হোক, আমরা সে-মম্প্রদায়তুক্ত নই, তাই এতে আনন্া ও গৌরবই cate ক'রে থাকি রবীন্দ্রনাথের কথায় সর্ব্যান্তঃকরণে সায় দিয়ে যে, “পাশ্চাত্য শিক্ষা সোনার কাঠির মতো আমাদের জীবনকে স্পর্শ করেছে.-'



Leave a Comment