For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ডাক্তারটা লেবঞ্চুস! বেঁড়ে পাকামি করছিল। চেম্বারে ঢুকে দিয়েছি ব্যাটাকে আচ্ছা
করে FUE! বসার Sis কী মশালীন! এক-পা চেয়ারে তুলে, এক পা নাচাতে
নাচাতে খাওয়া! লোমশ খালি গা! পরনে উৎকট চেক লুঙ্গি! শব্দ করে করে FAS
করা! অসহ্য! অসহা! সুখময চেপে চেপে সিগারেট নিবিয়ে ওপরে এলেন। আঃ. ঠিক mM ভয়
পেয়েছিলেন তাই। অনুরূপার সামনে মোড়া টেনে বসে আগডুম বাগডুম গল্প করে
চলেছে অমল। সাধারণ রুদ্ধিটকুরও এত অভাব? শুনলি মামী সারারাত ঘূমোতে
পাবেনি-এখন কষ্ট কম. একটু শুয়ে নিতে দে, তা নয়... | অনুরূপাও কেন যে
এত লাই দেয় ছেলেটাকে! নির্ঘাত এখন আত্মীযস্লজনদেব ঠিকজি Bisa তালাশ চলছে
— কার বাড়িতে হাড়ি চড়ে না. কার মেয়ে বাপকে লুকিয়ে বিয়ে' করার মতলব ভাঙছে.
রামপুরহাটের কোন দেওর কাব জমি হাতাল, এসব শুনে অনুরূপার কী যে মোক্ষ
are =a. নিজে তিনি কোনদিন প্রশ্রয় দেননি অমলকে। এসেছ এসো, দু-চার ঘণ্টা
থাকো, খাও দাও, বিদায নাও। শুধু অমল নয, সব আত্মীয়ের জন্যই সুখময়েব এক
বিধান। ঘবে না গিয়ে সুখময সামনের প্যাসেজটার দিকে গেলেন। দু'ধাবে বাবিন আর
ছোট্টুর ঘর। দুটোই, হাট করে CAA ছোট্টুর খাটে বিশ্রীভাবে ছড়ানো রয়েছে অমলদের
মালপত্র, জামাকাপড়। বাবিনের বিছানায় মঞ্জু কোলের মেয়েটাকে নিয়ে পাশ ফিরে
শুযে। বড় ছেলেটি মেঝেয় হাত-প৷ ছড়িয়ে ঘুমোচ্ছে। ছোটটি খাটেব প্রান্তে গুটিয়ে
শুটিয়ে GOAT | সুখময সবে এলেন। প্ব-দক্ষিণ-খোলা গোল বারান্দা থেকে দুপুর হলেই রোদ
সবে যায়। একটা BSA আর গোটা দু-তিন মোড়া সব সময় ছড়ানো থাকে এখানে।
সুখময় ইজিচেয়ারে শরীর ছেড়ে দিলেন। বাবিন আর ছোট্র ঘর দুটি তার বড় প্রিয়।
নির্জনতার সঙ্গীও বটে। অন্রূপাকে লুকিয়ে মাঝে মাঝেই ঘর দুটোর তালা খোলেন
FATA! চেয়ার টেবিল খাট আলমারি Aer ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেন। পোস্টারগুলো কবেই
আর ca, তবু ফিকে রঙিন দেওয়ালে এখনও অনেক ছবি দেখতে পান তিনি। বাবিন
HHUA | BOTH | কথা ফুটল মুখে । স্কুলে যাচ্ছে। রাসিরবেলা অনুরূপাকে আবার রেখে
আসতে হল রেলের হাসপাতালে। CHG এল। পিঠোপিঠি বড় হচ্ছে দুই ভাই। ছবি
আর ছবি। a পর wary ছবির মিছিলে দেওয়াল পর্ণ হয়ে যায়। বাবিন আমেরিকা
থেকে বিয়ে করতে এল। বউ নিয়ে চলে যাচ্ছে। ছোট্টর লগুনে রিসার্চ করতে যাওয়ার
সুযোগ এসে গেছে। নিজের পছন্দ Fal মেয়েকে বিয়ে করে সে-ও চলে গেল বাইরে।
কখনও এয়ারপোর্টে গিয়ে হাত নাড়ছেন সুখময়। কখনও হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে ধরছেন
ছেলেদের, নাতিকে। সব- সব মুহূর্ত এই WI ঘরে যেন বন্দী হয়ে আছে। চাবি খুলে শুধু তাদের দেখা বারবার, প্রাণভরে। — ঘুমোচ্ছ নাকি? সুখময় চোখ খুললেন, উত্তর দিলেন না। অমল মোড়া টেনে বসল। সুখময়কে বিস্মিত করে চুপচাপ বসে রইল খানিকক্ষণ।