For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)'না হে, ও আমার কম্মো নয়। আসুক হরিদাস, এ-সব শাস্তিনিকেতনী আর্ট ও-ই বুঝবে
ভালো।' . - BSCS সভয়ে আমি বললাম--আল্ঞ্ে না। এটা শান্তিনিকেতনী আর্ট নয়, কন্টিনেন্টাল
আর্ট। একেবারে মডার্ন ইটালিয়ান স্কুল।' গর্ভন করে উঠলেন জলধরদা। '--এসব ইস্কুলের ছেলেছোকরাদের ছবি, তা আমার
কাছে এনেছ কেন? 'মৌচাক' 'শিশুসাথী'তে গেলেই তো পারতে? প্রসঙ্গত শাস্তিনিকেতনী তথা অবনীন্দ্রনাথের শিল্পকলা সম্পর্কে জলধর সেনের বোধকরি
একটা আতঙ্কই ছিল। অবনীন্দ্রনাথও জলধরকে নিয়ে কৌতুক করতেন আড়ালে। কবি
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পরলোকগমনের পর একটি সভায় জলধর সেন বলেন “সত্যেন্দ্রনাথ
আজ পরলোকে। কিন্তু আমার মনে হয়, হেমেন্দ্রকুমারের কবিতার ভিতর দিয়ে আবার তিনি
আত্মপ্রকাশ PACT!” তাই শুনে পাশে বসা হেমেন্দ্রকুমারকে ডেকে চুপিচুপি তার কানে
অবনীন্দ্রনাথ বললেন-'ও হেমেন্দ্র। জলধরবাবু বলেন কি হে? সত্যেন্দ্রনাথের প্রেতাত্মা নাকি
তোমার উপরে ভর করেছে? দেখো খুব সাবধান! আবার কেউ যদি কোনো ভূল দেখাতেন তার কাজে, তাতে কখনও রাগ করতেন না।
সভাসমিতিতে যোগদানে তাঁর প্রবল উৎসাহ। সেখান থেকেই বহু সাহিত্যিককে তিনি
আবিষ্কার করতেন। বলতেন 'সাহিত্যসভাদি মাত্রই আমার Sie’! নিজে একজন প্রতিষ্ঠিত
সম্পাদক কিন্তু সমসাময়িক প্রায় সমস্ত পত্রিকাতেই তিনি লিখতেন। নবীন পত্রিকার
আগমনকে তিনি স্বাগত জানাতেন। 'দেশ'” পত্রিকার জন্মলগ্নেই তাকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা
জ্বগিয়েছেন, প্রথম সংখ্যাতেই লিখেছেন “সেকালের কথা” দ্বিতীয় বর্ষেও তাকে জানিয়েছেন
'অভিনন্দন”। “বিচিত্রা” পত্রিকাকে তিনি যে বলেছিলেন 'একটা উপহারের বই” _-তার কারণ
উপে্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিলেন, তার ভয়ে। Grama সম্পাদক হয়ে
সম্পাদকীয় কলা-কৌশল শিখেছিলেন জলধরের কাছেই। আর এক ডাকসাইটে সম্পাদক
প্রমথ চৌধুরী লিখেছিলেন : “যিনি বছকাল ধরে, “ভারতবর্ষ'-এর ন্যায় প্রকাণ্ড মাসিক পত্রের
ভার বহন করেছেন এবং তার উন্নতি সাধন করেছেন-তার এ কৃতিত্বের জন্য আমি তাঁকে
বাহবা দিতে বাধ্য, কারণ এর জন্য যে কি পরিমাণ অধ্যবসায় প্রয়োজন-তা আমি অনুমান
করতে পারি। আমিও একসময়ে একখানি was মাসিক-পত্রিকা প্রকাশ করি, কিন্তু
বেশিদিন সেটিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি যদিও স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ সে পত্রের সহায় fever’
as সম্পাদককে তিনি নিজের পত্রিকায় লিখিয়েও নিয়েছিলেন। 1৭1 রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে জলধরের একটা প্রীতিপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। '“ভারতবর্ষ' পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ যে বেশি লিখেছেন, এমন কখনই aT! তবুও 'রবিবাসর-এর সর্বাধ্যক্ষ হিসেবে উভয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। রবিবাসরের প্রথম অনুষ্ঠানেই “ভারতবর্ষ '-সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। 'ভারতবর্ষ' পত্রিকার প্রথম বর্ষ থেকেই রবীন্দ্রপ্রসঙ্গ সংযুক্ত হয়েছিল। আমি এখানে “ভারতবর্ষ পত্রিকায় প্রকাশিত [ জলধর সম্পাদিত ] রবীন্দ্রপ্রসঙ্গের একটি তালিকা এখানে
সংযুক্ত করে দিলাম [ ড. চিত্রা দেবের সৌজন্যে ] : ১৩২০ পৌষ: শান্তিনিকেতনে একদিন : কৃষ্ণবিহারী গুপ্ত
১৩২১ পৌষ : আগযরায়, রবীন্দ্রনাথ : “একজন প্রবাসী”
১৩২২ কার্তিক: 'শেষ খেয়া' : শশিবালা দেবী চৈত্র : ফাল্গুনী : জলধর সেন