সংগীত মনীষা [খণ্ড-১] | Sangeet Manisha [Vol. 1]

৬ গীত Talal কোন-কোন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও এ বিষয়ে সকলেই একমত যে তৎকালীন মসংগীতাহষানাদির সঙ্গে আধথিক কোন যোগ ছিল al, তা ছিল পুরোপুরি পারমাথিক | রামায়ণ মহাভারত তথা ভঅন্যান্তয প্রাচীন গ্রন্থািতে তৎকালীন অঙ্ষটানাদির প্রায় সর্বক্ষেত্রেই বহু বিচিত্র সংগীতানহুষ্ঠানের উল্লেখ থাকায়, সংগীত যে তখন, অর্থাৎ ay শতাঝ্ীর বহু পূর্ব থেকেই অতি উচ্চ-কলাবিদ্যারপে স্বীকৃত এবং প্রাচীন ভারতীয় সামাজিক অনুষ্ঠানাদির অপরিহার্য সঙ্গ ছিল সে কথা জান) যায়। আমাদের শাস্ত্রাদিতে সংগীতের শ্রেষ্ঠত্ব সম্বন্ধে উল্লিখিত উক্তিসমূহ উক্ত অভিমত সমর্থন করে। অতএব এ কথ! BVT যে, প্রাচীন ভারতে সংগীতের মর্ধাদ| ছিল এঁতিহ্ময় এবং তার ভিত্তি ছিল আধ্যাত্মিকত|। যুগপ্রবাহে তার ait রূপবিবর্তন ঘটলেও ভারতীয় সংগীতসাধনায় আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি চিরদিনই প্রধান | সংগীতকে সাধারণভাবে আধ্যাত্মিক বা] আত্মোন্নতি, লোকরঞ্জন, অর্থোপার্জন প্রভৃতি নানা Mtge om যায় । কারণ এর সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ক্রমবিবতিত হয়েই চলেছে। দরবারী সংগীতের প্রথম সংবাদ পাওয়া যায় মহারাজ সমুদ্র গুপ্তের রাজত্বে। তিনি স্বয়ং--অতিগুণী সংগীতজ্ঞ (বীণাবাদক ) ছিলেন। দরবারী সংগীতের চরম বিকাশ হয় মধ্যযুগে। তবে লোকরঞ্জন এবং অর্থোপার্জনই ছিল তার মূলগত Cows | wah সংগীত আধ্যাত্মিক তথা শ্রেষ্ঠ কলাবিষ্ত) এই মূল্যায়নের আদর্শ আপাতত গ্রন্থািতেই সীমিত, এমন কথা বলা বোধ করি অসঙ্গত নয়। কারণ সাধকের কঠোর সাধনা এবং নিষ্ঠার প্রকাশ প্রায় FAS হয়ে চলেছে। বর্তমানে নংগীতচর্চা তথা শিক্ষার প্রসার দ্রুত বেড়ে চলেছে । স্কুল-কলেজে পাঠ্যতালিকার Wee ক্ত হয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় সাধারনের সংগীতকুচি কতটুকু উন্নত হয়েছে, সে কথা চিন্তার বিষয়। অবশ্য এই অভিমত শুধুমাত্র উত্তর ভারতীয় সংগীতের ক্ষেত্রেই বিশেষভাবে প্রযোজ্য |! প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, দক্ষিণ ভারতের সংগীত চিরদ্বিনই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। সেখানকার ভৌগোলিক পরিস্থিতি, রীতিনীতি, ভাষা প্রভৃতি বহুবিধ কারণে নানা বিবর্তনের মধ্যেও প্রান্তীয় COND TH পেয়েছে। তাই প্রাচীন ভারতীয় সংগীতরূপের আতাষ কিছু পরিমাণে কর্ণাটক সংগীতেই বিদ্যমান |