বঙ্কিমচন্দ্র [সংস্করণ-১] | Bankimchandra [Ed. 1]

[ & ] তিনশত বৎসরেও সমগ্র বাঙ্গালা জয় করিতে পারে নাই। “ভারতবর্ষ জয় করা তাহাদিগের পক্ষে যেরূপ দুষ্কর হইয়াছিল, এমন আর কোন দেশেই হয় নাই ।” “ভারতবর্ষের মধ্যে আবার পাঁচটি জনপদে তাহারা বড় ঠেকিয়াছিল, এমন আর কোথাও না। এই পাঁচটি প্রদেশ--(১) পঞ্জাব, (২) সিদ্ধুসৌবীর, (৩) atereta, (8) দাক্গিণাত্য ও (৫) বাঙ্গালা ।” এই নদীমাত্ক প্রদেশে লোকের সাধারণ ও ব্যবসাবাণিষ্য্যের প্রয়োজনে নৌ- নির্শাণশিল্প প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল এবং উপনিবেশ দছ্থাপনের ও বৈদেশিক বাণিজ্যের as সে শিল্পের বিশেষ উন্নতি হইয়াছিল। কালিদাস aga দিগ্বিজয় বর্ণনাগ্রমঙ্গে বাঙ্গালীর জলযুদ্ধতৎপরতার উল্লেখ করিয়াছেন। সামরিক প্রয়োজনে যে অস্ত্রের--আগ্নেয়াস্ত্রেও নির্মাণকৌশল বাঙ্গালী আয়ত্ত করিয়াছিল, তাহ! বন্ধ কামানে--বিশেষ বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত “wate” কামানে বুঝিতে পারা যায়। বিষ্ণুপুর ও তাহার নিকটস্থ স্থান “মপ্পভূমি” অর্থাৎ যোদ্ধদেশ afar আখ্যাত হইত । তথায় নাগরিকদিগকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করিবার যে আয়োজন ছিল, তাহাতে প্রাচীন 'পার্টার কঠোর ব্যবস্থা মনে পড়ে । সেই আয়োজন এইরূপে বর্ণিত হইয়াছে : “SANT পয়ঃপানং শালপত্রে চ ভোজনম্‌। শয়নং তালপত্রে চ মন্পভূমেরিয়ং গতিঃ ॥” লৌহপাত্রে বারিপান, শালপত্রে wet গ্রহণ, মল্লভূমে এই প্রথা--তালপত্রে শয্যা Faas | এইরূপ কঠোরতার সাধন মল্লভূমির অধিবাসিগণের সংস্কারে পরিণতিলাভ করিয়| তাহাদিগের ধাতুগত হইয়াছিল বলিয়াই খুীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগেও তথায় “পতিথাতিনী সতী” নামে পরিচিতা, দ্বিতীয় agate সিংহের পট্টমহারাণীর আবির্ভাব সম্ভব হইয়াছিল । রাজা লালবাই নারী যবনীর মোহে আবিষ্ট হইলে প্রজার। কুলধর্মনাশের আশঙ্ক। করিয়৷ মহারাণীর নিকট আবেদন জ্ঞাপন করিলে তিনিই স্বামীর হত্যার ব্যবস্থা করিয়৷ পতির চিতায় সহমৃতা হইয়াছিলেন। “আইন-ই-আকবরী”তে লিখিত আছে, মোগল সম্রাটগণের জঙ্গ বাঙ্গালা হইতে জমিদারদিগকে রাজস্ব ব্যতীত ২৩ হাজার ৩ শত oo জন অশ্বারোহী সৈনিক, ৮ লক্ষ ১হাণার ১ শত €* জন পদাতিক) ১ শত ৭টি হস্তী, ৪ হাজার ২ শত ৬টি কামান ও ৪ হাজার ৪ শত নৌকা প্রতিবৎসর দিতে হইত।