ভারতের কৃষক বিদ্রোহ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম [সংস্করণ-৩] | Bharater Krishak-bidroha O Ganatantrik Sangram [Ed. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
( সতেরো ) (৬) গণভাষ্ত্রিক বিপ্লবের শক্তিরূপে কৃষক : গণতান্ত্রিক বিপ্লবের প্রধান উদ্দেশ্ত ANISH ধ্বংস করিয়া সমাজের অগ্রগতির পথ বাধাযুক্ত করা৷ কৃষি-ব্যবস্থাকে ভিত্তি করিয়াই সামস্তপ্রথা গড়িয়া উঠে। কৃষিভূমি ও কৃষি-ব্যবস্থাই সামস্ততন্ত্রের ভিত্তি । স্থতরাং কষকই সামস্ততান্ত্রিক শোষণের প্রধান শিকার হইয়া দাড়ায় | তাই লামস্ত তন্ত্রের ধ্বংস সাধন করিয়া সমাজের অগ্রগতির পথ বাধামুক্ত করিবার কার্ধে কৃষকই প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করে। কৃষকের এই এতিহাসিক ভূমিকা মানব ইতিহাসের যুগান্তকারী ১৭৮৯ খ্বীষ্টাব্বের ফরাসী-বিপ্লবে সর্বপ্রথম mary প্রকাশিত হইয়াছিল । সেই এঁতিহাসিক বিপ্লবে কৃষকশক্তিকে সংগঠিত ও পরিচালিত করিয়া- ছিল সামন্তগ্রথার গর্ভ হইতে উদ্ভূত ফরাসা বুর্জোয়াশ্রেণী। সেই বিপ্লবে বুর্জোয়াশেণী ছিল নায়ক, আন কৃষক ছিল প্রধান বাহিনী। cette tasers সেই বিপ্লবে কৃষকশক্তি নেত হলাভে বঞ্চিত হইলেও বিপ্লবের বাহিনী হিদাবে ত'হার ভূমিকা ছিল চূড়ান্ত এবং ইতিহাসের অগ্রগতির দিক হইতে অসাধারণ গ্ুরুত্বসম্পন্ন ৷ ভারতবর্ষের ইতিহাস বিশ্লেষণ করিলেও কৃষক-সম্প্রদায়কে সেই একই ভূমিকা গ্রহণ করিতে CHA vin কিন্তু ভারতবর্ষে Garters নেতৃত্ব দানের উপযুক্ত কোন শ্রেণী সমাজে উনরিংশ শতাব্দীতে cai দেম নাই বলিয়াই কৃষকণক্তি নেতৃত্ব বিহান হইয়াই সংগ্রামে অবতীর্ণ হইতে বাধ্য হইইযাছিল। বৈদেশিক ইংরেজশক্তি বঙ্গদেশে ও বিহারে রাষ্টর্ষমতা SUS করিবার সঙ্গে সঙ্গেই নিজেদের শাসন ও শোষণ-ব্যবস্কার প্রয়োজনে প্রাচীন গ্রাম-শসনাজের অচলায়তন ভাডিয়। কৃষককে মুক্তি দান করিয়াছল, কিন্তু নিজেদের শোষণ ও শাসন-ব্যবস্থার প্রয়োজনেই আবার বুটেনের AFA নৃতন এক সামন্তপ্রথার বন্ধন-জালে রুষককে আবদ্ধ করিয়া ফেলে । এই নৃতন সামস্তপ্রথার বন্ধন fea করবার saz অষ্টাদশ শতাব্দী হইতে আধুনিক ভারতের ককষক-বিদ্রেহের আরম্ভ। eaters বুর্জোয়াশ্রেণী নিজ প্রয়োজনে, Adis সামম্ততন্ত্রের বাধা চু করিয়া নিজেদের অগ্রগতির পথ উন্মুক্ত করিবার উদ্দেশ্যে সামন্ততন্ত্রববিরোধী qo গণতান্ত্রিক বিপ্লবের আয়োজন করিয়াছিল এবং সেই মামন্তপ্রথার পশোষণজালে আবদ্ধ বিদ্রোহী কৃষককে প্রধান বাহিনীরূপে গ্রহণ করিয়াছিল। কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীতে বঙ্গদেশে সেইরূপ কোন বুর্জোয়াশ্রেণীর অস্তিত্ব ছেল না এবং শ্রমিকর্রেণীর মত কোন বৈপ্লবিকণথ্রেণী তথনও সমাজে দেখা দেয় নাই। বঙ্গদেশ ও বিহারে যে ব্যবসায়ী-বুজোয়াশ্রেণীটি ইংরেজ শাদনের পূর্ব হইতেই ছিল, তাহা ইংরেজ বণিক- শাসনের প্রথম আঘাতেই নিশ্চিহ্ন veut গিয়াছিল। জমিদার, তালুকদার প্রভৃতি মধ্যশ্রেণী ইংরেজসুষ্ট নৃতন সামস্ততন্ত্রেরই WP এই ছুইটি শ্রেণীকে ভিত্তি করিয়াই নৃতন সামস্তপ্রথা গঠত। স্থতরাং ates পক্ষে সামপ্ততন্ত্রবিরোধী সংগ্রামে কৃষককে নেতৃত্ব দানের কোন সম্ভাবনাই ছিল না। উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বন্ত্রশিল্লের মারফত একটি দুর্বল মূলধনীশ্রেণীর আবির্ভাবের পর তাহাদের সহিত বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের সংঘর্ষ আরম্ভ হইলেও তাহার! ছিল aime, যুরোপের বুজেয়া-, শ্রেণীর মত সামস্তপ্রথা-বিরোধী নহে। তাহাদের স্ষ্ট জাতীয় কংগ্রেস প্রথম হইতেই



Leave a Comment