বীরভূমের ইতিহাস | Birbhumer Itihaas

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দেশ উত্তরঙ্গ স্বাদেশিকতার ঢেউ-এ। অসহযোগ আন্দোলনের ঢেউ (১৯২১) । গান্ধীজির ডাক। গৌরীহর ভাসলেন সেই তরঙ্গে। তখন তিনি দশম শ্রেণীর বা ফার্স্ট ক্লাসের ছাত্র। সঙ্গী আরও তিনজন, কারা তারা ? নাম জানা যায়নি। বিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত হলেন এ চারজন 'স্বদেশি' করা ছাত্র। তখন সিউড়িতে নতুন এক উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নাম-বেণীমাধব ইনস্টিটিউশন (১৯১৭)। স্বদেশি করার অভিযোগে বিতাড়িত গৌরীহরের ঠাই হল এ স্কুলে। এর একটা পূর্বসূত্র এখানে WANT | সিউডির উকিল, মোক্তার, সাধারণ সরকারি কর্মচারী বা ছোট ব্যবসায়ীদের সন্তানদের প্রবেশাধিকার ছিল না জিলা Sil সেখানে উচ্চপদস্থ সরকারি আমলা, জমিদার ও অভিজাত পরিবারের নন্দনদের ঠাই হত। সাধারণ ঘরের মাধ্যমিক শিক্ষালাভেচ্ছু সন্তানেরা পড়বে কোথায় ? বাংলা স্কুলে তো যষ্ঠ শ্রেণীতেই পড়া শেষ তাই, নগরবাসী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিবারের সন্তানদের জন্য গদাধর চৌধুরী ওরফে গদাধর মাষ্টার এক 'জাতীয় বিদ্যালয় খুলল তার বাড়িতে | সে বাড়ি শহরের অন্যতম এঁতিহ্যবাহী প্রায় ভগ্নদশা এক মাটির ঘর সেদিনের (১৯১০) স্মৃতিবাহী হয়ে বর্তমান এ গদাধর মাষ্টারের BIS রেলওয়ের ইঞ্জিনীয়ার মল্লিকপুর গ্রাম নিবাসী রাখাল দাস চট্টোপাধ্যায়ের GAPE পরিণত হল তার বাবা বেণীমাধব চট্টোপাধ্যায়ের নামাঞ্কিত বেণীমাধব ইন্সটিটিউশনে | স্বদেশি করার অভিযোগে স্কুল থেকে যাদের তাড়ানো হত, বেণীমাধব ইন্সটিটিউশনে তাদের ভর্তির সুযোগ হত। প্রাক্তন কমিউনিষ্ট নেতা ও সাংসদ এবং জনপ্রিয় চিকিৎসক ডাঃ শরদীশ রায় ত্রিশের দশকের প্রথমার্ধে স্কুল ছাত্রাবাসে তকলি কাটার অপরাধে (!) বিতাড়িত হলেন বিহার প্রদেশ CUT স্কুল-আমজোড়া হাইস্কুল থেকে তো AHS! এ স্কুল বিহার প্রদেশের সাওতাল পরগণায় অবস্থিত ছিল। নগরীর রায় পরিবার-এর সন্তান হওয়া সত্বেও জিলা স্কুলে তার ঠাই হুল না। শেষে তিনি ভর্তির সুযোগ পেলেন বেণীমাধব ইন্সটিটিউশনে। জানিনা, সেদিন এরকম আর কেউ ছিলেন কিনা। এ তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, স্বদেশী করা শিক্ষার্থীদের প্রতি বেণীমাধব ইন্সটিটিউশনের একটা সহানুভূতি ছিল। গৌরীহর প্রবেশিকা পরীক্ষা দিলেন ওঁ স্কুল থেকে। উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হলেন স্কটিস চার্চ BHT) স্নাতকোত্তর স্তরে আইন পড়লেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে! এবার কর্মজীবন POS কোর্টে আইন ব্যবসা। জীবনের শেষ পর্যন্ত এ ব্যবসাই ছিল তার উপজীবিকা। তিনি স্ষর রোগাক্রান্ত হয়ে মাত্র ছেচল্লিশ বছর বয়সে মারা যান। তিনি বিপত্রীক হয়েছিলেন তার জীবনাবসানের সাত বছর আগে--১৯৪০ সনে। দুই পুত্র ও এক কন্যা। বড় পুত্র ডঃ Bry মিত্র ৷ পেশায় ছিলেন Pree) রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। দ্বিতীয় ও কনিষ্ঠ পুত্র



Leave a Comment