নাটক সমগ্র [খণ্ড-১] | Nataksamagra [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
[১৫] অবাস্তবের আলোছায়ায়। নাটকে মোক্ষম বাস্তবটা ঘটে অন্য এক wal পরস্পরের সম্পর্কগগুলো জটিল থেকে আরও জটিল হয়--কিন্তু বাস্তব। ঘুম আর জাগরণের বাস্তব। সেই ঘুমের মধ্যেই আসে দেবরাজ ইন্দ্রের Wet! ফুটে ওঠে রাজ্য পরিচালনার স্বরূপ। জনবলকে কেমন করে PEt করা যায় তারই পরামর্শ! এই নাটকেই মোহিতকে একটু বক্ততাধর্মিতার শিকার হতে হয়েছে। তবু অমোঘ তার বার্তা | পূর্ব-পশ্চিমের পুরাণ এ নাটকে হাত ধরাধরি করে চলে-- বোধকরি নাট্যঘটনার ব্যাপ্তির উদ্দেশ্যেই। জ্ঞানবৃক্ষের ফল তখন তার কাজ শুরু করে দিয়েছে। 'রাজরক্ত' নাটকের দিক পরিবর্তনের আভাসের আগের নাটক ক্যাপ্টেন BAAN | বলা ভাল মোহিতের প্রথম পর্বের নাটকের শেষ নাটক। রচনাকাল ১৯৭০। দিক পরিবর্তনের কোনও ইঙ্গিত কি এ নাটকে পাওয়া যায়--বোধহয় যায়। আগের নাটকের মতই অনেকখানি বাস্তবের পটভূমি রচনা করেও এর acy প্রতীকের মধ্যেই নিবদ্ধ! তবে এ নাটকে মোহিতের আত্মানুগ দেখাটা অনেকখানি নিয়ন্ত্রিত করেছে বস্তুগত বিচার দ্বারা। একটি হোটেল, যে হোটেলের মালিক মনে করেন হোটেলটা হচ্ছে একটা “জাহাজ' এবং সেই জাহাজের ক্যাপ্টেন তিনি। শুধু ভাবেন না, হোটেলটিকে সাজিয়েছেন জাহাজের মত করেই। কিন্তু এ জাহাজ তো চলে না--ভাসে না- স্থাণু। এই স্থাণুত্বের অনুভব ক্যাপ্টেনের ছিলই না। সেটার উদয় হল নতুন দুই খদ্দের আসাতেই। তারা হল সুনীল মার Fat | তারা তো চলতে চেয়েছে,--বাইরের চলার জগংৎটাকে দেখেছে-- তবু ক্যাপ্টেন siর এই জগতের ধূসরতা যেন তাদের টানে। এদের উপস্থিতিতেই ক্যাপ্টেনের মনে য় এই জাহাজটা পৃথিবীরই মত। আর তখনই তার চৈতন্যে টানাপোড়েন শুরু হয়ে বার | কিন্তু বহুদিনের অনড়ত্বের(?) বোধ কি অত সহজে কাটানো যায়? নিজেকেই যে তাকে ভাঙতে ACA! চারিদিকের বিপদের সঙ্কেত যে তিনি পেয়েছেন। কিন্তু কাজটা তো সহজ নয়। বেরিয়ে আসতে হবে এতোকালের অনুভূতির বন্ধ দরজা BWI! একার সাধ্য তো নয়- ওই সুনীল ইরা-রা যো দিলে ক্যাপ্টেনের জাহাজ ভাসবে চলবে। দুপক্ষের ইচ্ছা! এবং সঙ্গতি না মিললে তো সেটা সম্ভব নয়। মোহিতের নাটক শেষ হয় এই ইচ্ছা আর সঙ্গতির মিলের মধ্যে। কেউ মনে করতেই পারেন এ বড় সরল সমাধান। ভাবতে বাধা নেই কিন্তু না, হুররা-র উপলব্বিটা যে স্বাভাবিক--ওটা তো “মেলাবেন তিনি CHANT নয়। উপলব্ধিতে যে এসেছে,- নয়তো জাহাজটা কি অনন্তকাল কেবল জল ঠেলে ভাসবে। জাহাজটা তো ডাঙ্গায় পৌছবে বলেই জলে ATA | জাহাজটা একটা নতুন দেশের ডাঙ্গা খুজছে।” মানচিত্র ধরেই সেটা এবার ভাসবে--দিক নির্ণয় করবে। এই সংকলনে পুর্ণাঙ্গ নাটকের শেষ ‘Alora’ | নাটকটি “গিনিপিগ' নামে “বহুরূপী” নাট্যপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। তারপর বিভাস চক্রবর্তীর নির্দেশনায় যখন 'থিয়েটার ওয়ার্কশপ”-এ অভিনীত হয় তখন নাম পাল্টে করা হয় “রাজরক্ত”। অবশ্যই সেই প্রাথমিক রূপের কিছু পরিবর্তন ঘটিয়েই। এর আগে সংকলনের অন্য নাটকগুলি শুরু হয়েছে আমাদেরু চেনা জানা জগৎকে নিয়েই অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে, যাকে একসময় VU বলা হয়েছিল, তার অনুপ্রবেশ ঘটেছে | প্রায় প্রতি নাটকেই এটা ঘটেছে | 'রাজরক্ত”' সে দিক থেকে ব্যতিক্রমী | PATA বর্ণনায় এবং চরিত্রের সংলাপ থেকেই ধরা পড়ে এ নাটকের জাত আলাদা। বাংলা নাট্যসাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য নাটক। নাটকের আস্বাদন বদলাল



Leave a Comment