For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)8 বাংলা ছোটগল্প : প্রসঙ্গ ও প্রকরণ তা পড়ার পর 'অস্তরে অতৃপ্তি রবে, সাঙ্গ করি মনে হবে/ শেয হয়ে হইল না CTA)
এদেশীয় এক প্রতিষ্ঠিত লেখক এরকমও WAY করেছেন, একটা ঢিল নিয়ে যে দিকে ইচ্ছে
ছুঁড়লে যে মানুষটির গায়ে লাগবে, সে যেই হোক, তাকে নিয়েও একটা ভালো গল্প লেখা
যায়! এমন সব চিত্তাভাবনা ছোটগল্পের অশরীরী অস্তিত্বের ওপর একটা শরীরী অবয়ব
আনার দিকে NT অর্থাৎ, ছোটগল্পের বিষয়ে বোধ হয়, বিশাল পৃথিবী, তার বিবিধ
বিচিত্র সমাজ ও মানুষের জীবনের যাবতীয় .বৈচিত্র্য--প্রকাশ্য ও গোপন এবং
গোপনতম--সবই স্থান পেয়ে WA! ছোটগল্প বুঝিবা একধরনের elastic art যার
বিষয়ের স্থিতিস্থাপকতা অতুলনীয় । আর এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই ছোটগল্পের প্রকরণ বা
রীতি এমন “তিলে তিলে নূতন cata’! এক বিদেশি সমালোচক মন্তব্য করেছেন, মানুষের
জীবনটা হয় সবচেয়ে বড় গল্প-বলিয়ে! তাই যদি হয়, ছোটগল্প যদি জীবনেরই সার্থকতম
শিল্পরূপে অন্যতম আধার হয়, তবে আধেয় হল তার জীবনেরও ভাঙচুর-হওয়া নানান
খণ্ড খণ্ড অণুপ্রতিম রূপ! বিশ্বসৃষ্টির মুহূর্ত থেকে আবহমান কালের ধারায় মানুষের
জীবনে যে কোটি কোটি অনুভূতি বিশাল আকাশের তারাদের মতো দপ্ দপ্ করে জ্বলে-
ACS বা জ্বলে নিভে যায়, এক একটি ছোটগল্গে সেই এক একটি তারার প্রজ্বলন বিষয়-
গরিমার দীপ্তি দান করে। এই প্রসঙ্গেই আমরা বিগত বিশ শতকের প্রথমার্ধের গোড়ার দিকে ফিরে তাকাই ।
SEA A এক দক্ষ ভাস্কর-প্রতিম গল্পকার অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের কিছু গল্প লেখার
আত্মিক অভিজ্ঞতার আত্মোক্তিমূলক TY স্মরণ করি। রবীন্দ্রনাথ তো ছোটগল্প রচনায়
একক বিস্ময়কর arg ব্যক্তিত্ব। তাকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র উচু আসনে বসিয়েই তার
সমসময়বত্তী, অথচ অনুজ এক গল্পকারের কথা ধরে এগোনোয় নিশ্চয়ই প্রথম পূর্বসূরির
অসম্মান করা হয় না! অচিস্ত্যকুমার তার “ATS গল্প' সংকলনের ভূমিকায় আত্মবিশ্বাসের দৃঢ়তার নিশ্চিতি
ও fiefs দিয়ে বলেছেন, “ছোটগল্প লেখবার আগে চাই ছোটগল্পের শেষ, কোথায় সে
বাঁক নেবে, কোন কোণে। আর কোনো রচনার আরম্তভেই আমরা শেষ জেনে বসি না. না
উপন্যাসে, না কবিতায়, না নাটকে। .... শেষ না পেলে ছোটগল্প নিয়ে আমি বসতেই
পারবো al উপন্যাস ও কবিতার সঙ্গে ছোটগল্পের মিল-অমিলে অচিজত্ত্যাকুমার
সেনগুপ্তের সিদ্ধান্ত: উপন্যাসের বেলায় আমাদের দু'চোখ খুলে রাখতে হবে কিন্তু
ছোটগল্পের বেলায় হতে হবে আমাদের Gasp হরিণ, ব্যাধকে রাখতে হবে সর্বদা চোখের
দিকে, যাতে দ্রুতবেগে পৌঁছে যেতে পারি নিরাপদ আশ্রয়ে। দু'চোখ খুলতে গেলেই
দৃষ্টিত্রমে পড়বো গিয়ে ব্যাধের সীমায়। এই যে একরোখা হয়ে ছোটা প্রারস্তবিন্দু থেকে
পরিশেষ বিন্দুতে, এর মাঝে ফুটবে রসের এককত্ব এবং সেইখানেই কবিতার সঙ্গে
ছোটগল্পের মিল।' এই প্রতিষ্ঠিত কথাকারের আর একটি অভিজ্ঞতার কথাও শেষমেশ উল্লেখ করতে