অমিয়ভূষণ রচনাসমগ্র [খণ্ড-৪] | Amiyabhushan Rachanasamagra [Vol. 4]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১২ অমিযডূষণবচনাসমপ্র ৪ সমযে বাবা বলেছিলেন (এখনো তা গুনতে পাই কানে) 'ভালো না হও যদি আমাকে দেখতে পাবে না।' বাবাব চোখে জল ছিল। কিন্তু কোচবিহাব কেন? আপাতত মনে হয় জেদ্কিল স্কুলের মতো আধুনিক স্কুল উত্তরবঙ্গে ছিল না এবং ভিক্টোরিয়া কলেজেব মতো ভালো FTTH! ১৯২৭-এ আমি চলে এলাম মামার সঙ্গে. Cah স্কুলেব ছাত্র হলাম একেবারে ক্লোস ফোর-এ। এখানে দুটো বিষয় ছিল লুকানো যা পবে আমার চোখে পড়েছিল। তখন কেশব সেন মশায়ের কন্যা মহাবাণী সুনীতি জীবিতা। তার সঙ্গে দিদিমাযের সখ্য ছিল। arn সমাজেব প্রার্থনায় আমরা যোগ দিতাম। মহারাণী সুনীতিব লেখা কবিতা গ্রদ্থে দিদিমার collaboration ছিল বলে অনুমান করি, কিন্তু প্রমাণ SACS পানি না। কিন্তু তাই বলে বাজ্য সবকার থেকে সুবিধা নিতে দিদিমায়ের যথেষ্ট আপত্তি ছিল। তা তিনি নেননি। মামাবাডিতে নিয়মিতভাবে ব্রাহ্ম সমাজেব লোকেরা বেডাতে আসতেন | তাদের আচার্য অমুকবাব্ব বাড়িতেও আমরা Geass বেডাতে গেছি। তাদের ল্রাম্যমান আচার্য ভাই অমুক কোচবিহাবে এলেই মামাবাডিতে আসতেন। কিন্তু এসব সত্ত্বেও আমাব মামার বাড়ি কিন্তু ব্রাহ্ম ছিল না। দিদিমা লক্ষ্মী সবস্বতী পূজা করতেন, কিন্তু প্রতিমা aor একদিকে তাব ফলে নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ-কাযস্থদেব সঙ্গে পংক্তিভোজন ছিল না, অন্যদিকে আমার মামাবাড়ি হিন্দুই থেকে গিযেছিলেন। ব্রাহ্মদেব সঙ্গে সম্পর্কটা কী বকমেব ছিল তা বোঝাতে মনে পড়ে, দিদিমান কাকা বামতনু লাহিডউীর জামাতা ছিলেন, মহারাণী সুনীতি Tere কিছু আগে দিদিমাকে (দিদিমা! এবং তার জীবনেব অবলম্বনীয হিসাবে বা প্রতীক হিসাবে) বিলেত থেকে নির্দেশ দিয়ে একটি একতাবা পৌঁছে দিযেছেন। ১৯২৯-এ বাবা মা এবং আমাব ভাইবোনদেব নিয়ে কুচবিহারে এলেন চাকবি কবতে। তখন মনে হয়েছিল এব চাইতে সুখের আব কী হতে পাবে। কিন্তু এখন বুঝতে পাবি চল্লিশ পাব হয়ে গেলে নিজের স্বাধীনতা বিসর্জন দিযে একটা সামান্য চাকবি নিযে arr কোচবিহার এসেছিলেন তা অবশ্যই চাকবির জন্য নয। উদ্বাস্তু হওয়া? কিন্তু তা কেন? কোচবিহাবে তিনি সুখী ছিলেন না। আমবা ছাড়া তাব আর কেউ বন্ধু ছিল না। দিনেব পব দিন সকাল সন্ধ্যা আমাদের লেখা-পড়া নিয়ে GCA থাকতেন আব দুপুরে চাকবি কবতেন। গম্ভীর মুখে রাস্তান এক পাশ দিয়ে ভিড বাঁচিয়ে নিজের মতো চলতেন। ১৯৪৩-এ আমাব ছোটভাই কলেজেল পড়া শেষ কবতেই তার ক্লান্তি প্রকাশ পেলো। আর একদিনও নয। বাড়িন দবভায পেবেক TCH বাড়ি বন্ধ কবে তিনি নিজেব গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন। এবং তখন তাকে দেখে বুঝতে পেরেছিলাম বী কষ্ট, নির্বাসিত মানুষ যোলো বছর ধরে পেয়েছেন। না, আমাব পিতা অসাধানণ কেউ নন, বাংলা সাহিত্যেব বা সমাজেব ইতিহাসে তাকে কেউ উল্লেখ করবে না, কিন্তু আমাব পক্ষে দারুণ শক্ত শেকড যে জন্য আমিই কখনই বিবিক্ত নই। আমরা সকলেই বিরাট পৃথিবীর মানুষ : একই সঙ্গে ক্ষুদ্রতর এক পৃথিবীর মানুষও বটে; পৃথিবী এক দুর্গরক্ষিত sey যে দুর্গ প্রত্যেকের গৃহ! mn yates পৃথিবীব বাজা হযে বইলেন আমার পিতা। এটা আমার জীবনের ব্যাবগ্রাউণ্ড। শুধু লেখাপড়া শেখার, শুধু ব্রাহ্ম সংস্কৃতিকে Pe কবে নেওয়ার জন্য বাবা-মার এই উদ্বাস্তু জীবন। এসবই অনেক দূরে ACA এসে এখন বুঝতে পারছি। এখানকার ব্রাহ্ম আচরণে cates ছিল না কিন্তু সংস্কৃতি শুচিতা ছিল। ভালো স্কুল, ভালো কলেজ এবং এই সংস্কৃতির জন্য বাবা-মা কষ্ট এবং কিছু পরিমাণে হীনতাও সহ্য করেছিলেন। আমার বক্তব্য এই নয় যে ব্রাহ্ম-ধর্শ্মে সর্বত্রই শুচিতা ছিল সংস্কৃতির। কিন্তু এখানে কেশব সেনের কন্যার দরুন এমন একটা আবহাওয়া ছিল যা সারা বাংলাদেশ থেকে পৃথক, অন্য দিকে জোড়াসাকোর সঙ্গে শিল্পগত আ্যচিভামেন্টে তুলনীয় না হলেও গুচিতায় তুল্যমূল্য। ব্রাহ্মদের সঙ্গে এখন আমার প্রায়



Leave a Comment