বিশ্ব ভারতীপত্রিকা [বর্ষ-১২] | Visva-Bharatir Mashik Patra [Yr. 12]

প্রথম সংখ্যা] বাউল-পরিচয় q সহজ ভাব সম্বন্ধীয় যে-কয়ধান! পুঁথি wea যায় তাহাতে সাচ্চা বাউল ভাবের পরিচয় মেলে না। আসল বাউলর] তো পুথির ধারই ধারেন না। যাইার] আধা বৈষ্ণব আধা বাউল, কি আধ! তান্ত্রিক আধ! বাউল, তাহারাই নিজেদের পরিচয় খানিকটা] বৈষ্ণব বা তান্ত্রিকভাবে, compromise এর মত, দিতে চাহিয়াছেন। কিন্তু যথার্থ বাউলের সে নিভীক শক্তি a রচনার গভীরতা গ্রন্থী বাউলদের নাই। সহজ নামে তাহারা যে সন্ত ইন্দ্রিয়-উপভোগের wz খুলিয়াছেন তাহ বাস্তবিক পক্ষে কোনে সাধনার ভিত্তি হইতে পারে All চর্যাচর্যবিনিশ্চয় প্রভৃতি aye তান্ত্রিক ভাবের গ্রন্থী বাউলের শ্রেণীর সঞ্চয়। আসল বাউলরা] কোনে! রকমের শাস্ত্র পুথি বা লেখার ধার ধারেন না। তাঁহারা বলেন, “ও-সব তে] APT! অনুরাগের জীবনে সঞ্চয় দিয়! কি কাজ হইবে ? ওসব হইল বিষয়ীদের “ty ) ও-সব আমর] মানি ন|। বিষয়ের হাটের ও-সব বোঝা প্রেমের রাজ্যে অচল ।” MURCIA জীবনে যে নিত্য নব নব ভাবের সঙ্গীব লীলা চলিয়াছে তাহাতেই তাহাদের আস্থ!। অনির্বচনীয় এই লীলার প্রকাশ ভাষাতে করা AT al! এই অপরূপ Hey] ধর যায় কতকট। গানে। Ara ও ছন্দে ভাষায় যে অনির্বচনীয়তার আভাস দেখা দেয় তাহাতেই এই লাল] কতকট] ধরা পড়ে। এই গান গুরু হইতে শিষাক্রমে ইইার| fare] করেন। শক্তি থাকিলে ও সেই লীলা প্রত্যক্ষ করিলে নূতন গানও কেহ কেহ রচনা] করেন কিন্তু পু থিতে তাহা সঞ্চয় করেন না। ইহাদের কাছে কোনে! প্রশ্ন করিলে BEAL সেই-সব গান গাহিয়াই উত্তর দেন। সাধারণ কথায় উত্তর দিতে ইইারা বড় চাহেন all কারণ জিজ্ঞাস! করিলে বলেন, “আমর! পক্ষী জাতি, পায়ে ইাটিয়। চলিতে জানি না, আমর] পাখায় উড়ি 1” আমরা পাখির জাত হেঁটে চলার Ste জানি না, উড়ে চলার ধাত। শাস্ত্র বা সাম্প্রদায়িক কোনো পদ্ধতির ইইারা ধার ধারেন না। ভাব প্রকাশের শক্তি ইই|দের অসাধারণ, এবং ভাব ব্যক্ত করিতেও ইহাদের বিন্দুমাত্র ভয়ডর নাই । দক্ষিণ বিক্রমপুর -নিবাসী ছকু গাকুর নামে একজন অনণীতিপর ব্রাহ্মণ কাশীতে শেষ Baa যাপন করেন। ইনি নমংশূদ্রজাতীয় গঙ্গারাম নামে একজন বাউলের শিষ্য বলিয়] ত্রাহ্মণশ্রেণীর ম্যে তাইার কোনে স্থান ছিল না। কাশীতে তাইাকে ব্রাম্মণ sey] কেই খাইতে faa করিলে তিনি তাহ] গ্রহণ করিতেন al 1 বলিতেন, “আমি cel ara নই । আমি মান্য। মান্য ব্লিয়| যদি fer কর তবে যাইতে পারি” কাশীধাম- yas আচারবিচার তিনি মানিতেন না। অথচ তাঁহার মত প্রেমরসিক লোক জীবনে কমই দেপিয়াছি। তীর্থের নানাবিধ নোংরামিতে কখনো তাহাকে মলিন দেশি নাই। তিনি নির্ভয়ে তাহার ভাব বাউলের গামে ব্যক্ত করিতেন। একবার একজন তাহাকে বলেন, “লোকের মধ্যে যে আপনাদের নিন্দার সীমা নাই। আপনি যাকে- তাকে এ-সব কথা না বলিলেই হয়।” তাহাতে ছকু ঠাকুর গাহিলেন-- বুলুক ” রে বুলুক বুলুক যার মনে যা লয় গে | আপন (Atel) পথের পথিক আমি কার বা করি ভয় call | > বুলুকমবলুক