স্বপনবুড়ো রচনাবলী [খণ্ড-২] | Swapanburo Rachanabali [Vol. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
স্বপনবুড়ো রচনাবলী চোখের সামনে যেন একটা বড় বেলুন ফেটে গেল | সনাতনবাবু হুল্কার দিয়ে উঠলেন--₹, সাতার জানো না ! আমাকে একেবারে কৃতার্থ করেছ আর কি। তবে বেছে বেছে এই বোর্ডিং-এ নাম লেখাতে এসেছ কেন 1' খানিকক্ষণ গুম্‌ হয়ে রইলেন সনাতনবাবু। তারপর চিৎকার করে উঠলেন-__ 'শিক্কাবাব-” --'আছস্ে ?” সঙ্গে সঙ্গে উত্তর এলো শিক্কাবাবের শান-দেওয়া গলা থেকে। --'কালকেই নদীতে নিয়ে ওকে সাঁতার শিখিয়ে দ্রেবে।' শিক্কাবাব ত তাই চায়। উত্তর দিলে-_'আচ্ছ৷ স্যার, কালকেই ভ্যাবা গঙ্গারামকে সাঁতার শিখিয়ে দেবো।' গম্ভীর গলায় নতুন ছেলেটি উত্তর দিলে--'আমার নাম ভ্যাবা গঙ্গারাম নয়, শুধু গঙ্গারাম গায়েন। সনাতনবাবু আবার ফৌস্‌ করে উঠলেন--ওই হল--ওই হল। আগে সাঁতারটা শিখে নাও। তখন Spaces’ বাতিল করে দিলেই ara’ সনাতনবাবু আবার খবরের কাগজটা চোখের ওপর তুলে ধরলেন। নিকেলের চশমাটাও আপনা থেকেই কপালের GAM] ছেড়ে চোখের ওপর নেমে এলো। সবাই যে যার ঘরে এলো। সে-রাতে কিন্তু গঙ্গারামের চোখে আর ঘুম নেই। এত বিপদেও মানুষে পড়ে ! শিখতে এসেছে লেখাপড়া-_তা বলে কিনা নদীতে গিয়ে সীতার কাটতে হবে ! মানুষটা পাগল নাকি ? ওর দূর-সম্পর্কের পিসেমশাই ত' তাকে বোর্ডিং-এ পৌছে দিয়েই চলে গেছে। পাশের গায়ে নাকি কোন আত্মীয়-বাচ্ছি আছে। সেইখানে are কাটিয়ে পরদিন সকালবেলা দেশে ফিরে যাবেন। এদিকে গঙ্গারামের যে গলাজল, সে খবর আর কে রাখছে ? সারারাত ধরে গঙ্গারাম গোলমেলে AAA দেখে আঁতকে উঠতে লাগল ! একবার দেখলে নদীর জল সব উত্থাল-পাথাল করছে, আর একটা হাঙর এসে তার ডান পা-টা কামড়ে ধরেছে। তাকিয়ে দেখলে হাঙরের মুখটা ঠিক বোর্ডে ং-এর সুপারিন্টে্ডেন্ট সনাতনবাবুর মুখের মতো ! আচম্কা ঘুমটা ভেঙে যেতে গঙ্গারাম বিছানার ওপর উঠে বসলো। দেখলো, ঘামে তার গা একেবারে ভিজে যাচ্ছে ! গেঞ্জিটা খুলে ফেলে দিয়ে ক্রমাগত হাতপাখাটা চালাতে লাগল।' খানিকক্ষণ বাদেই সে আবার ঘুমিয়ে পড়লো। _ আর একবার সে স্বপ্ন দেখলে, এক ঝাক কৈ মাছ তাকে তাড়া করেছে। এই কৈ 'মাছগুলো একেবারে মানুষের মতো লম্বা হয়ে গেছে।



Leave a Comment