ভেদাভেদের কথাসাহিত্য | Vedaveder Katha Sahitya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ ভেদাভেদের কথাসাহিত্য শিল্প ১৮৬০ সাল থেকে গড়ে তোলে নতুন শ্রমিকশ্রেণি। আর, স্বভাবতই, ইতিহাসের নিয়মে, শিল্প-শ্রমিকের সঙ্গে শিল্প-মালিকের শ্রেণিগত ara, প্রথমাবধিই, Sta হয়ে উঠতে থাকে। এই সময় থেকে ভারত প্রত্যক্ষভাবে ব্রিটেনের রানি ভিক্টোরিয়ার শাসনাধীন হয়ে ATS | যার প্রভাব হয় সুদূরপ্রসারী। ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার সুবাদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইংরেজ-বিরোধী আন্দোলন সংগঠিত হতে থাকে। মূলত মধ্যবিত্তশ্রেণির নেতৃত্বে দেশজুড়ে ইংরেজ-বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও আছড়ে পড়ে সেই আন্দোলনের ঢেউ, প্রবাহিত হতে থাকে যুগপৎ অহিঃস ও সহিংস পথে। BLAH জাতীয়তাবাদী দল-হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার পর দেশে স্বাধীনতা-আন্দোলন ক্রমশ জোরদার হতে থাকে। কংগ্রেসের অহিংসাবাদী আন্দোলনের পাশাপাশি, নিছক স্ববাজ পাওয়াব লক্ষ্যে নয, সার্বিক স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী দল বা শাখা প্রবল পরাত্রমী ব্রিটিশ-সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দেশের নানা প্রান্তে বিচ্ছিন্ন আঘাত হানতে থাকে | কংগ্রেসের ভিতরেও সুভাষচন্দ্র বসুর মতো নেতারা মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের দার্শনিক HAA বদলে চবম SIA কথা বলেন। দেশের ভিতব স্বাধীনতা-আন্দোলনের প্রণোদনা এবং গতিবেগ যত বৃদ্ধি পায়, ইংবেজ-শাসককুলও তত হিংস্র হয়ে উঠতে থাকে। একদিকে কংগ্রেসেব ভিতরকাব দ্বন্দ্ব, অন্যদিকে স্বাধীনতা-আন্দোলনে মুসলমান-সমাজের স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহের অভাব, প্রায়শই তাদেব দূবে ঠেলে রাখা--এইসব সুযোগগুলি গ্রহণ করে ইংরেজ। চতুর সাম্রাজ্যবাদ এ-ক্ষেত্রে তান বিভেদনীতিকে কাজে লাগায। সম্প্রদাযগত বিভেদকে কাজে লাগিয়ে ১৯০৫ সালে ইংবেজ বঙ্গভঙ্গ করে। যদিও এর বিরুদ্ধে uM আন্দোলনও জোরদার হয়ে পড়ে | রবীন্দ্রনাথ 'রাখিবন্ধন' উৎসবের সূচনা করেন। শেষপর্যন্ত, আন্দোলনেব চাপ এবং প্রশাসনিক অসুবিধার কাবণে, দীর্ঘ ছয় বছব পব, ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর ইংরেজ বঙ্গভঙ্গ বদ করে ফের পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গকে একীভূত করে। বাহ্যত এই বদ দুই-বাংলা-তথা-হিন্দু-মুসলমান-সম্প্রদায়কে একীভূত করলেও, চতুর ইংরেজেব অভীষ্ট পূবণ হয়। সাম্প্রদাযিক রাজনীতির যে-বিষগাছের বীজ ইংরেজ রোপণ কবেছিল, কংগ্রেস যে-ভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন থেকে মুসলমানদের দূরেই সরিয়ে বেখেছিল, তাতে ভঙ্গ বঙ্গ ফের সংযুক্ত হলেও, ক্ষতচিহ্নটি থেকেই গেল। ইতিমধ্যে ইংরেজের পরোক্ষ উদ্যোগেই যথাক্রমে ১৯০৬ ও ১৯১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয 'সারা ভারত মুসলিম লিগ” ও 'সারা ভারত হিন্দু মহাসভা' নামে মুসলমান ও হিন্দু উচ্চ ও মধ্যবিত্তশ্রেণির নেতৃত্বাধীন দুটি সম্প্রদায়ভিত্তিক রাজনৈতিক we দুই ধর্ম-সম্প্রদায়ই এই দলদুটিব eae নিশ্চিত বোধ করে, নিজেদের আশা-আকাঙক্ষার প্রতিরূপ ভাবে দলদুটিকে। পরবর্তিকালে AAPA আন্দোলনের তীব্রতা, বিভিন্ন গণ-আন্দোলনের প্রভাব এবং



Leave a Comment