সন্তপ্রসঙ্গ | Santaprasanga

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
“একদিন যারা মেরেছিল তারে গিয়ে রাজার দোহাই দিয়ে এ যুগে তারাই জন্ম নিয়েছে আজি মন্দিরে তারা এসেছে ভক্ত সাজি কাজেই প্রত্যাখ্যানের রূপ পাণ্টায় মাত্র। প্রত্যাখ্যান বজায় থাকে। একাদশী প্রথমদিকে”a মাস্টরারমশাইকে বলেছিলেন, 'একাদশীটা BUA, এতে দেহ শুদ্ধ হবে, ভক্তি লাভ aT Yo, একাদশী কি পূর্ণিমা, অমাবস্যা থেকে বেশি, না কি অন্য কোন তাৎপর্য আছে? অমাবস্যা, পূর্ণিমা থেকে একাদশীর জোর বেশী নয়। কিন্তু অমাবস্যা, পূর্ণিমাতে কে পৌছুতে পারছে? যে সেখানে পৌছতে পারছে, তার কাছে অমাবস্যা, পূর্ণিমা এক হয়ে গেছে, সব তিথি সমান হয়ে গেছে। কিন্তু অমাবস্যা, পূর্ণিমাতে তো আমরা পৌছতে পারিনি আমাদের অবস্থার দিক থেকে, এজন্য সর্বজনগ্রাহা একটা একাদশী মেনে নিয়েছি। সৎ ভাবনার দিক থেকে একাদশীটা আমাদের সৎ সঙ্কল্পের দৃঢ়তা এনে দ্যায়। যেমন ঘুম থেকে জেগে উঠেছি, এই বোধটা জাগতে সবার সমান সময় লাগে না। তেমনি দিব্য সত্তার বোধ সম্বন্ধে কারো বোধটা সহজেই জেগে ওঠে, কারো বেশী সময় লাগে, সেইরকম। আমরা একটা তিথি ধরে নিয়েছি। অমাবস্যা, পূর্ণিমা, অত দূর উপলব্ধিতে, অনুভবে আনবে, ধরে রাখবে, এ সংস্কার খুব বিরল। সৃষ্টির এই দোলনের প্রান্তিক বিন্দু দুটি, যে তার বোধে আনতে পারবে বা এক করতে পারবে, সে অবশ্যই এই উত্তবণের উর্ধ্বতম বোধে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। আমরা হয়ত কেউ আছি TH, সপ্তমী, অষ্টমীতে ৷ কিন্তু মোটামুটি ধ'রে নেওয়া হচ্ছে একাদশীতে | কেননা, সে তো অধ্যাত্য-পথে এসেছে, সেইজন্য ধরে নেওয়া হচ্ছে। ধ'রে নেওয়া হচ্ছে সে অধ্যাত্ম পথে বা বোধে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মোটামুটি তিন-এর দু-ভাগ এগিয়ে গেছে, তিন-এর এক বাকি। ঝৌক, প্রবণতা, বা ঢল সে একটা পেয়েই গেছে। অধ্যাত্ম আনন্দের বোধ। সিদ্ধ ও অবতার নিম্বার্ক দর্শন এবং তারা যে মত বা অবস্থার কথা বলে গিয়েছেন-নিস্বার্ক মহাজনেরা- এবং গোরক্ষনাথজী আর অন্যান্য নাথ মহাযোগীরা যা বলছেন, এইগুলো পড়ে আমার এটাই সবচেয়ে ঠিক ঠিক বলে মনে হয়েছে-উভয় ক্ষেত্রেই সহজ অবস্থা শেষ অবস্থার কথা বলেছে। আগমাদি অন্যান্য প্রাচীন “Nes এই কথার সমর্থন মেলে। মহাযোগী রামদাস কাঠিয়াবাবা বলছেন, 'আরে পরমাত্মস্বরূপ হোনা তো আউর হ্যায়” ওয়ে এক বকত্‌ হোনেসে কবহি ছোড়তা নেহি। Wet ফির সমাধ-ফমাধ কুচ্চ নেহি, সদা এক অখণ্ড রয়তা”।-একালের তিন মহাযোগী-তৈলঙ্গস্বামী, কাঠিয়াবাবা, এবং গম্ভীরনাথজীকে আমরা এই সহজ অবস্থাতেই দেখতে পাই। তবে ভগবান যখন আসে, তিনি লীলায় বিভিন্ন ভাবনা অঙ্গীকার করেন। মনে কর কৃষ্ণ ভগবান, চৈতন্যদেব ভগবান। ওনারা লীলায় বিভিন্ন ভাব, বিচিত্র অবস্থা ২২



Leave a Comment