রামায়ণী কথা [সংস্করণ-৯] | Ramayani Katha [Ed. 9]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ieJe “abe8a পাকের ফিতে পারেন, এমন অবস্থায় চরিত্বর্ণনা অতিশয়োক্তিতে পরিণত হইয়া উঠে। যথাযথের সীমা কোন্থানে এবং কল্পনার কোন্‌ সীমা লঙ্ঘন করিলে কাব্যকলা অতিশয়ে গিয়া পৌঁছে এ কথায় তাহার মীমাংসা হইতে পারে না। বিদেশী যে সমালোচক বলিয়াছেন যে রামায়ণে চরিত্রবর্ণনা অতিপ্জাকৃত হইয়াছে তাহাকে এই কথা বলিব যে, প্রকৃতিভেদ্বে একের কাছে যাহা অতিপ্রাক্কৃত, অন্তর কাছে তাহাই প্রাকৃত। ভারতবর্ষ রামায়ণের মধ্যে অতিপ্রাক্কতের আতিশ্য্য দেখে নাই। যেখানে যে আদর্শ প্রচলিত তাহাকে অতিমাত্রায় ছাড়াইয়৷ গেলে মেথানকার লোকের কাছে তাহা sae হয় না। আমাদের afore আমরা যতসংখ্যক শব্তরঙ্গের আঘাত উপলব্ধি করিতে পারি তাহার Wal আছে; সেই সীমার উপরের Hace Za চড়াইলে আমাদের কর্ণ তাহাকে গ্রহণই করে ali কাব্যে চরিত্র এবং ভাব উদ্ভাবনস্বন্ধেও সে কথা খাটে । এ যদি সত্য হয়, তবে এ Bel সহশ্র বৎসর ধরিয়া প্রমাণ হইয়া গেছে যে রামায়ণ-কথা ভারতবর্ষের কাছে কোনো অংশে অতিমাত্র হয় নাই। এই রামায়ণ-কথা হইতে ভারতবর্ষের আবালবৃদ্ধবনিতা আপামর সাধারণ কেবল যে শিক্ষা পাইয়াছে তাহা নহে--আনন্দ পাইয়াছে, কেবল যে ইহাকে শিরোধার্য্য করিয়াছে তাহা নহে--ইহাকে acre মধ্যে রাখিয়াছে, ইহা] যে কেবল তাহাদের eA Stal নহে--ইহা তাহাদের কাব্য | রাম যে একই কালে আমাদ্বের কাছে দেবতা এবং মানুষ, রামায়ণ যে একই কালে আমাদের কাছে ভক্তি এবং প্রীতি পাইয়াছে, Fal কখনই সম্ভব হইত না, যদি এই মহাগ্রন্থের Slay ভারতবর্ষের পক্ষে কেবল সুদূর কল্পলোকেরই সামগ্রী হইত, যদি তাহা আমাদের সংসার-মীমার মধ্যেও ধরা না দিত।



Leave a Comment