প্রাচীন বঙ্গ-সাহিত্য [খণ্ড-৩-৪] | Prachin Banga-sahitya [Vol. 3,4]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রাচীন বঙ্গ-সাহিত্য 2. কর| হইগাছে। মনমাপুঙাপ্রবর্তনই প্রাচীন কবিদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল--ত!হার উপস্থষ্টিম্বরূপ (By-product) একটি সাহিত্যেরও we হইয়াছে। তারপর ইহার সঙ্গে একটি চমৎকার লৌকিক উপাপ্যান পাইয়। পরবন্তী কবির৷ তাহা অবলম্বনে কাব্য রচন। আরম্ভ করেন। আমাদের দেশের কবিরা নূতন আধ্যানবস্তু আবিষ্কার ক্রিতে পারিতেন না--একটা কোন উপাখ্যান পাইলেই তাহারা দলে দলে তাহাই অবলম্বন করিয়া কবি- শক্তির প্রয়োগ করিতেন। শক্তিপূঙজ্া ও দেবতাবাদের সহিত অদৃষ্ট-বাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক | যাহারা নিরীশ্বর, wre নিজের পোৌরুষণক্তির উপর আর কোন দৈবী শক্তির অস্তিত্ব স্বীকার করে না। প্রাূুতিক শক্তিকে অবশ্য তাহাদেরও স্বীকার করিতে হয়। কিন্তু তাই বলিয়া wa বা উপাসনার দ্বারা প্রাকৃতিক শক্তিকে প্রসন্ন কর৷ যায়, একথা তাহারা মানে না। যাহারা ত্রম্মব।দী, যাহাদের আস্ট্রিকতার একট। দার্শনিক ভিত্তি আছে-- rela! ভাগবতী শক্তিকে স্বীকার করে, কিন্তু সে-শক্তির সহিত পোৌরুষের কোন বিরোধ আছে তাহ। মনে করে না। দেবতার শক্তি বা দৈবীশক্তিই দৈব বা নিয়তি । এই নিয়তিকে অস্বীকার করিয়া যে শক্তি আপনার সাধনার উপর নির্ভর করে--তাহাই পুরুষকার। মনসামঙ্গলে প্রকারাস্তরে দৈবীশক্তির প্রাধান্য দেখাইতে গিমা কবি নিয়তিরই প্রাধান্য দেখাইতেছেন। মনসাদেবী এই নিয়তির প্রতীক | আর চাদ সদাগর পুরুষকারের প্রতীক। মনমামঙ্গলে এই নিয়তিগ্ন সহিত পুরুষকারের সংগ্রাম দেখানো হইয়াছে। মনসার কাছে টাদের পরাজয়ই নিয়তির কাছে পুরুষকারের পরাজয়। চারের দশা farsa, AEA সাবধানতা সত্বেও সাতালী পাহাড়ের লৌহদুর্গের ছিদ্র দিয়া



Leave a Comment