গোগোল অমনিবাস | Gogol Amnibas

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বাথরুম, সব আছে৷ এমন কি ইলেকট্রকের আলোও আছে | কয়েকদিন হাউসবোটে থেকে, গোগোলরা বেড়াতে গেল পহেলগাও বলে একটা জায়গায়। কাশ্মীর শহর থেকে, যাট Haale মাইল দূরে পহেলগাঁও। জায়গাটা লিডর নদীর ধারে। পাহাড়ী নদী, পাথরে ete খেয়ে, গর্জন করে বহে চলেছে । নদীর ওপারে পাহাড়, পাহাড়ের গায়ে পাইন বন, আর বনের মাথায়, পাহাড়ের চূড়া বরফে সাদা ধ্বধব করছে। গোগোল এসব ছবিতেই দেখেছে। চোখে এই প্রথম দেখলো। এখানেও ছোট ছোট হোটেল আছে। কিন্ত ATH যেমন হাউস বোট থাকে, পহেলগাীওয়ে তাঁবু আছে। গোগোলের বাবা তাঁবুতে থাকাই ঠিক করলেন। সবুজ খঘাসওয়ালা উচু নীচু এক একটা জায়গা বেছে নিয়ে তাঁবু খাটানো হয়েছে। গোগোলের বাবা! তাঁবুওয়ালাদের সঙ্গে কথা বললেন। তাঁবুওয়ালা৷ একটা বেশ বড় খাটানো তাঁবু দেখালো, যার ভিতরে তিনটে ভাগ আছে। সামনের ভাগে কয়েকটা চেয়ার আর একটা টেবিল । টেবিলে আবার কয়েকটা ইংরেজী ম্যাগাজিনও আছে৷ তার পরের ভাগটা বেশ বড়। সেখানে দুটো বড় বড় খাটিয়া আছে। গোগোল বুঝে গেল, এটাই তাঁবুর ভেতরে শোবার ঘর | তার পিছনে বাথরুম । সেখানেও কাঠের পাটাতন পাতা আছে। বালতি ঘটি আর গোগোল জানে, বাকী ছুটো জিনিসকে বলে কমোড। হাউস বোটেই বাবা শিখিয়ে দিয়েছিলেন। এ সব জায়গায় তো পায়খান| নেই, তাই কমোডের ব্যবস্থা । তাবুওয়ালাই জানিয়ে দিল, তারা খাবাবও দেবে, যা গোগোলদের খেতে ইচ্ছা ইয়। সত্যি, কী মজা! বেড়াবার জন্য যে এত ব্যবস্থা আছে, আগে গোগোল জানতো না। ওর সঙ্গে তাবুওয়ালার খুব ভাব হয়ে গেল । সে আবার ভাব করিয়ে দিল BIG ঘোড়াওয়ালার সঙ্গে । গোগোলের বাবা টাট্ট.ওয়ালাকে গোগোলকে ঘোড়ায় চাপিয়ে বেড়িয়ে আনতে বললেন। টাট্টওয়ালা গোগোলকে টাট্ট,তে চাপিয়ে মাঠ আর পাইন বনের দিকে বেড়াতে নিয়ে গেল। পাইন বন আর ফাঁকে ফাঁকে মাঠেও তাঁবু পড়েছে অনেক । আশে- পাশে অনেক গাড়ি দাড় করানো । যাদের গাড়ি আছে, তারা অনেকে গাড়ি নিয়েও বেড়াতে এসেছে। কয়েকটা গাড়ির পিছনে আবার আলাদা করে ভ্যান জুড়ে দেওয়৷ রয়েছে। ঠিক যেন গাড়ির পিছনে একটা মালগাড়ির ওয়াগন। গোগোল টাষ্ট,ওয়ালাকে ওগুলো দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “ওগুলো কী ? টাষ্ট,ওয়াল৷ বাঙলা কথা না বুঝলেও, গোগোলের প্রশ্নটা বুঝে নিল।



Leave a Comment