বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
21 MB
মোট পৃষ্ঠা
265
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)23 পাঁচটি উপন্যাস লোকটা একবার তাকায় ভেলাটার দিকে। চিৎকার করে বলে-_আমি থামতে পারছি
না। আমাকে WPM | কিন্তু আটকানোর উপায় কী? লোকটার মাথার ওপর দিয়ে ভেলাটাকে উড়িয়ে দেয় কপিল। তারপর লোকটাকে পার
হয়ে সে ভেলাটাকে নামিয়ে আনতে থাকে রাস্তায়। কিন্তু এত ওপরে বড্ড বেশি ঝোড়ো বাতাস। পাগলের মতো বাতাসের তোড় আর
বৃষ্টির খরশান ঝাপটা। কিছুই প্রায় দেখা যায় না রাস্তার ওপর ভেলাটাকে নামিয়ে পিছু ফিরে চায় কপিল। বর্ষার নীচু মেঘ এসে রাস্তাটা
গ্রাস করে নিযেছে। ঘন কুয়াশার রেলগাড়ি বয়ে যাচ্ছে। কিছু দেখা যায় না, শোনা যায় না। পায়ের শব্দের জন্য কান পেতে ছিল কপিল। কিন্তু কিছু শোনা গেল না। আঁধার ভেদ
করে লোকটাও বেরিয়ে এল না। বাতাসি ভেলা আবার শূন্যে তোলে কপিল। ফিরে যায়। আঁতিপাঁতি করে রাস্তাঘাট খুঁজতে
থাকে। আমনস্টারডামের নিস্তব্ধ জনবিরল উঁচু রাস্তাগুলি থেকে শহরের ভিত পর্যন্ত। কোথাও
নেই। একটা টেলিফোন বুথে ঢুকে অনুসন্ধান অফিসে খবরটা জানায় কপিল। বলে--_লোকটাকে
এক্ষণি আটকানো দরকার। অনুসন্ধান অফিস একটু অপেক্ষা করতে বলে কপিলকে। বলে-_আমরা চাবদিকে সন্ধানী
রশ্মি পাঠাচ্ছি। কোথাও মৃত মানুষের দেহ থাকলে এক মিনিটের মধ্যে খবর দেব আপনাকে এক মিনিট অপেক্ষা করে কপিল। তারপর অনুসন্ধান অফিস থেকে কণ্ঠস্বর ভেসে আসে--একশো চৌদ্দ wea স্কাইওয়ের
ওপর সে পড়ে আছে। কিছু করার HA মনে হয় একশো পনেরো নম্বর BBA থেকে
সে পড়ে গিয়েছিল। কপিল বেরিয়ে এসে বাতাসি ভেলায় বসে। তারপর ধীরে ধীরে ভেলাটাকে মেঘের তারের
ওপরে তৃলে উড়তে থাকে। নীচে চারদিকে কোপানো জমির মতো মেঘের রাশি। ওপরে নীলাভ
আকাশে অনস্তগামী সূর্যের রক্তাভ আলো। কপিল সেদিকে চেয়ে আছে। আপনমনে অনেকক্ষণ
কাদে কপিলদেব। উত্তর আমেরিকায় এক লক্ষ লোক মারা গেছে। আমস্টারডামে এইমাত্র আরও
একজন FT| একটা মস্ত বাড়ির মাথায় নেমে এল কপিল। এখানে রকেটের স্টেশনে রয়েছে। WES
একটি রকেট বেছে নিয়ে পূবালি পথে নক্ষত্রের বেগে ছুটে চলল। সারা রাত ধরে শহর পতনের শব্দ হয়েছে। তার HAAS ঘরের জানলা খুলে অনেক
রাত পর্যন্ত সেই শব্দ শুনেছে কপিল। শুভ্রাও অনেকক্ষণ জেগেছিল তার সঙ্গে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে
শুভ্রা বলেছে, আমাদের এত বড় আর সুন্দর শহর কীরকম ছোট হয়ে a অন্যমনস্ক কপিল জবাব দিয়েছে আমরা ভেঙে না ফেললেও একদিন আপনা থেকেই
ভেঙে যাবে। জঙ্গল এগিয়ে আসছে। বেড়ে যাচ্ছে ভয়াল সব জানোয়ার। দিল্লির জঙ্গলে অতিকায়
বুনো হাতি দেখা গেছে। এরা কবে জন্মাল, কবে বড় হল আমরা জানতেই পারিনি। --কী করে জানব! শুভ্রা বলে-_গোটা ভারতবর্ষের বিশাল অঞ্চল ফাঁকা পড়ে আছে।
সেখানে কী হচ্ছে তোমরা কী করে খবর নেবে?