মন্দ মেয়ের উপাখ্যান | Mondo Meyer Upakhyan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
একনাগাড়ে গালাগাল দিয়ে যাচ্ছে, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না হীরালালের। তাকে দেখতে পেয়ে গলার স্বর চড়িয়ে কী যেন বলল বিলাখী, কিন্তু মোতিয়া এমন Gat গতিতে ছুটছে যে তার নামটা ছাড়া আর কিছুই কান পর্যন্ত পৌছল না। তবে PAIS খুঁজে দেবার জন্য যে TIPS মিনতি করেছে সেটা আন্দাজ করা গেল। এক সময় নাজিরপুরার চৌহদ্দি পার হয়ে একটা পাথুরে রাস্তায় চলে আসে হীরালাল। রাস্তাটা CH হতে হতে দূরের পাহাড়ি রেঞ্জটার দিকে চলে গেছে। তার একধারে দেওদার, কড়াইয়া আর শিশুগাছের লাইন। আরেক ধারে পাহাড়ি নদী। নদীটা দূরের রেঞ্জ থেকে নেমে এসে নানা আকারের নানা রঙের পাথর আর নুড়ির ওপর দিয়ে প্রবল NCS বয়ে চলেছে। নদীটির পায়ে যেন কয়েক জোড়া অদৃশ্য YEA বীধা। আবহমান কাল ধরে একটানা ঝুম ঝুম আওয়াজ করে চলেছে। তার ওপারে সবুজ কার্পেটের মতো বছদূর জুড়ে ঘাস, মাঝে মাঝে ক্যাকটাস আর উঁচু উঁচু সব গাছ যা এই পৃথিবীর চোখজুড়ানো অলঙ্কারের মতো দাঁড়িয়ে আছে। পাহাড়ের মাথা থেকে এতটা দূর পর্যন্ত জায়গায় নানা স্পট বেছে নিয়ে সিনেমাওলারা শুটিং করে থাকে। পাথুরে রাস্তা দিযে খানিকটা এগোবার পর পাহাড়ের তলায় অনেকগুলো তাবু চোখে ACY | এখান থেকে সেগুলোকে ছোট ছোট ফুটকির মতো দেখায়। ওখানেই সিনেমাওলারা ক্যাম্প করেছে। যতদিন শুটিং চলবে, হিরো-হিরোইন-ভিলেন সুদ্ধ সমস্ত ইউনিট তাবুতেই থাকবে। আরও কিছুটা যাবার পর আচমকা একটা ভীরু গলা ভেসে আসে, “ঘোড়া রুখো, ঘোড়া রুখো-_” হীরালাল ভীষণ চমকে ওঠে | জায়গাটা একেবারে নিঝুম। কোথাও কেউ নেই। অনেক উঁচুতে আকাশের নীল ছুঁয়ে ছুঁয়ে ক'টা চিল বাতাসে ডানা ভাসিয়ে রেখেছে। নদীর ঝুম ঝুম শব্দ ছাড়া আর কোনও আওয়াজ নেই। ওটা বাদ দিলে সব কিছুই যেন অতল নৈঃশব্দের আরকে ডুবে আছে। এখানে কে ডাকতে পারে তাকে? চারপাশে তাকাতে তাকাতে চোখের তারা দুটো স্থির হয়ে যায় হীরালালের। রাস্তার ডান ধারে যে কড়াইয়া গাছগুলো জড়াজড়ি করে দীড়িয়ে আছে তার আড়াল থেকে যে বেরিয়ে আসে তাকে এখানে দেখবে এটা ছিল একেবারেই অভাবনীয়। বিমুঢ়ের মতো হীরালাল বলে, “Hat, তুমি! PS ঝাপসা গলায় বলে, Sr আমি-_আমি-_ ঘোড়া থামিয়ে দিল হীরালাল। সে লক্ষ করে মেয়েটার দুই.ঠোট ভীষণ কীাপছে। তার চোখেমুখে প্রচণ্ড তয় আর দুশ্চিন্তার ছাপ। হীরালাল কী বলবে যখন ভেবে পাচ্ছে না, FI ফের বলে ওঠে, 'আমি পালিয়ে ১৮



Leave a Comment