দিব্যেন্দু পালিত শ্রেষ্ঠ গল্প [সংস্করণ-২] | Shreshtha Galpo [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
GSP | আজ তার কথা বলতে ভালো লাগছিল ৷ 'ওদের অফিসের থিযেটারে একবার নিয়ে য] বলেছিল | তোর বাবা ভালো থিয়েটার করত । কর্ণার্জুনে ভীম সেজেছিল | তা সেবার ইাটতে SoS কথা বলছিল রেণুবালা | একটু থেমে দম নিল | তারপর বলল, 'আমার অবিশ্যি অ যাওয়া হযনি | তোর জন্যেই হয়নি | সকাল থেকেই ঘুষঘুষে জ্বর যাধিয়ে বসলি | তুই অবিশ্যি তং অনেক ছোট ৷ মা'র কথা শুনে মুখ টিপে হাসল after; উত্তর দিল না | 'আপিসের সায়েবরাও তোর বাবাকে খুব খাতির করত | নতুন আপিস হবার পর আলাদা ঠাণ্ডা বসতে দিয়েছিল |’ 'সে কি, মা! কোথায় !' চোখে বিস্ময় ও সন্দেহ নিয়ে রেণুবালাকে দেখল মণিকা, ঠাণ্ডা ঘরে আব বসল কবে ! বাবা বসত হাটের মাঝখানে | বাবার ওপরঅলা ব্যানার্জিবাবুও. ওই সঙ্গে বসত ।' 'তুই জানিস না ঠিক ।' মণিকাকে ছলনাটুকু ধরবার সুযোগ দিল না রেণুবালা | উত্তরটা axon আসবে বুঝতে পারেনি | AT মুখে বলল, 'বসত রে বসত | তুই কি আমার চেয়ে বেশি জানিস ! তো, শুনিস তোর বাবা সম্পর্কে ফে কী বলে | মানুষ বড়ো না হ'লে কি আব লোকে এইভাবে ডাকে !' মণিকা সাড়া দিল না । মা যা বলছে বলুক, এইভাবে বুক থেকে খানিকটা দুঃখের ভার নেমে যাক) কিছুটা হাল্কা হোক | এ নিয়ে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই । তা না হ'লে কমলাক্ষ কী ছিল না ছিল, or কতোটা খাতির ছিল অফিসে, কতোটা সম্মান, মণিকা কি কম জানে ! % একবার. মনে “হছে, কী একটা কাজে গিয়েছিল বাবার অফিসে | তার সামনেই একজন “ten কমলাক্ষব মুখেব ওপব ফাইল ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিল, 'আপনাকে নিয়ে আর পারা যাবে না মশাই প্রত্যেকটা কাজে ভুল a পারলে রিটায়ার ককন 1 লোকটা চ'লে যাবাব পরও অনেকক্ষণ মাথা হেঁট করে বসেছিল কমলাক্ষ | অফিস ছুটির পর পথে স্টেশনে আসতে আসতে উদাস গলায় বলেছিল, “মণি মা, তুই বড়ো হয়ে চাকরি করলে আমা: কাজ থেকে ছাড়িয়ে নিস। এ অপমান আব সহ্য হয না । কমলাক্ষর দুঃখ অনুভব করতে পারছিল মণিকা | ধরা গলায় বলেছিল, “তুমি কেন আরো একটু মন; দিয়ে কাজ করো না, বাবা !' 'মন কি আর দিই না, মা ।' কমলাক্ষ বলল, 'এই মন দিয়েই তো গচিশ বছর চালিয়ে এসেছি | এখন দিনকাল পান্টে গেছে | নতুন ছেলে ছোকরারা এসেছে | ওদের ধরনধারণ, আদবকাযদা সবই আলাদা. আমাদের কাজ ওদের পছন্দ হবে কেন! পারতপক্ষে তারপর থেকে আর বাবার অফিসে যেত না মণিকা | অপমানটা সেদিন গায়ে মেখেছিল' কমলাক্ষ, কারণ তার মেয়ে মণিকা সামনে ছিল | হয়তো এমন ঘটনা আরো অনেকবার ঘটেছে, সবই, হজম ক'রে নিয়েছে কমলাক্ষ | রেণুবালারও এ-সব জানবার কথা নয় | প্ল্যাটফর্মে দাড়িয়ে মা ও মেয়ে নীববে অপেক্ষা করছিল | চারটে পঞ্চান্নয় Ga | অপেক্ষা করতে করতেই পাচটা বেজে গেল ৷ রেণুবালা অধৈর্য হয়ে উঠছিল | ‘St রে মণি, মীটিং str?’ 'বলেছিল তো সাড়ে পাচটায় ।' চিন্তিত গলায় বলল মণিকা, “তুম্মি একটু দাড়াও | আমি ট্রেনের খবরটা নিয়ে আসি | মণিকা চ'লে যেতে সময়ের হিসেব করতে লাগল রেণুবালা | ট্রেনে কলকাতা পৌছুতে মিনিট কুড়ি, তারপর বাসে আরো পাচ সাত মিনিট ৷ সাকুল্যে আধ ঘণ্টা | এখনো যদি ট্রেনটা এসে পড়ে তাহ'লে ঠিক সময়েই পৌছুতে পারবে | মণিকা ফিরে এসে বলল, “ট্রেনের কোনো খবর নেই, মা । আগের স্টেশনে লাইনের ওপর পিকেটিং করছে, ট্রেন আসতে পারছে না ।' ১৮



Leave a Comment