বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
120 MB
মোট পৃষ্ঠা
1232
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৬ প্রভাতকূমার গল্পসমগ্র অপমান করিয়া তাহাদিগকে বহিঙ্কৃত করিয়া দিল। efit গিয়া অজঃপুরছারের নিকট দাড়াইল। মুখুয্যে মহাশয় বিপৃত্তীক--তাহার জ্যেষ্ঠা
পূত্রবষু একট ঘটাতে জল-লইয়া-সভয় পদক্ষেপে বাহির হইয়া আসিলেন। কাম্পত হস্তে
তাহার পদচতুষ্টয়ে / একটু একটু ঢালিয়া দিলেন। মাহুতের ইঙ্গিতানুসারে আদরিণী তখন জানু পাতিয়া AVL বড়বধূ তৈল ও সিন্দুরে তাহার ললাট রাঙা করিয়া দিলেন। ঘন
ঘন শঙ্খধবনি হইতে লাগিল। আবার দাঁড়াইয়া ; Ta আলোচাল,
কলা ও অন্যান্য WTA তাহার সম্মুখে se হইল--শুড় দিয়া তুলিয়া তুলিয়া কতক
সে খাইল, অধিকাংশ ছিটাইয়া দিল। এইরাূপে বরণ সম্পন্ন হইলে, রাজহত্তীর জন্য সংগৃহীত
সেই aie ও pene আদরিণী ভোজন করিতে লাগিল। নিমন্ত্রণ রক্ষা করিয়া পীরগঞ্জ হইতে ফিরিবার পরদিন বিকালে মহারাজ নরেশচন্দ্রর
সহিত মুখোপাধ্যায় মহাশয় সাক্ষাৎ করিতে গেলেন। বলা বাহুল্য হস্তীপৃষ্টে আরোইণ কাঁরিয়াই
গেলেন।--মহারাজের দ্বিতল বৈঠকখানার faces বিস্তৃত প্রাঙ্গণ। প্রাঙ্গণের অপর alow হস্তে
প্রবেশের সিংহদ্বার। বৈঠকখানায় বসিয়া সমস্ত প্রাঙ্গণ ও সিংহদ্বারের বাহিরেরও অনেক দূর
অবধি মহারাজের দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে। রাজসমীপে উপনীত হইলে মুখোপাধ্যায় মহাশয় তাহাকে আশীর্বাদ করিয়া! আসন গ্রহণ
করিলেন। মোকর্দমা ও বিষয়-সংক্রাত্ত দুই চারি কথার পর মহারাজ জিজ্ঞাসা করিলেন--
'মুখুয্যে মশায়, ও হাতীটি কার?” eg পা বিনীতভাবে বলিলেন--" বাহাদূরেরই হাতী।” মহারাজ বিশ্মিত হইয়া বলিলেন--“আমার হাতী। কই ও হাতী ত কোনও দিন আমি
দেখিন। কোথা C 9 ~ Kam, বীরপুরের উমাচরণ লাহিড়ীর কাছ থেকে কিনেছি।””.
অধিকতর বিস্মিত হইয়া রাজা বলিলেন--“আপনি কিনেছেন?”
“আস্তে হ্যা”
“তবে বললেন আমার হাতী?”
বিনয় কিংবা শ্লেষসূচক-_-ঠিক বোঝা গেল না-_-একটু মৃদু হাস্য করিয়া ডন়্রাম
বলিলেন--'“যখন হুজুর বাহাদুরের দ্বারাই প্রতিপালন হচ্ছি--আমিই যখন আপনার--
তখন ও BS) আপনার বই আর কার ?”-_সন্ধ্যার পর গৃহে ফিরিয়া, বৈঠকখানায় বসিয়া,
সমবেত বন্ধুমগডুলীর নিকট মুখোপাধ্যায় এই কাহিনী সবিস্তারে বিবৃত করিলেন। হৃদয়
হইতে সমস্ত ক্ষোভ ও লজ্জা আজ তাহার মুছিয়৷ গেল। কয়েক দিন পরে আজ তাহার
সুনিদ্রা হইল। চতুর্থ পরিচ্ছেদ (উল্লিখিত ঘটনার পর সুদীর্ঘ পাচটি বৎসর অতীত হইয়াছে-_এই পাচ বৎসরে মোক্তার
মহাশয়ের অবস্থার অনেক পরিবর্তন হইয়াছে। 'নতুন নিয়মে পাশ করা শিক্ষিত মোক্তারে জেলাকোর্ট ভরিয়া গিয়াছে। শিথিল নিয়মের
আইন-ব্যবসায়ীর আর কদর নাই। ক্রমে ক্রমে মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের আয় কমিতে লাগিল।
পূর্বে যত উপার্জন করিতেন এখন তাহার অর্ধেক হয় কি রা সন্দেহ। অথচ ব্যয় প্রতি বংসর বর্িতই হইতেছে। তাহার তিনটি. পূত্র। প্রথম দুইটি মূর্খয__বংশবৃদ্ধি ছাড়া আর
“Gre কর্ম করিবার যোগ্য নহে। কনিষ্ঠ পুত্রটি কলিকাঅয় পড়িতেছে- সেটি যদি
সানুষ হয় এইমাত্র SIA | ব্যবসায়ের প্রতি মুখোপাধ্যায়ের আর সে অনুরাগ নাই--বড় বিরক্ত হইয়া উঠিয়াছেন।
ছোকরা CTSA, যাহাদিগকে এক মময় উলঙ্গাবস্থায় পথে খেলা করিতে দেখিয়াছেন,