বৈষ্ণব দর্শন ও সাহিত্যের রসলোকে | Baishnab Darshan O Sahityer Rasaloke

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৬. বৈষ্ণব দর্শন ও সাহিত্যের রসলোকে AISA পশুর মধ্যে এবং পশুতুল্য মানুষের মধ্যেই দেখা sai তাই PEs মধ্যে কামের সাধনা! হ'ল সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট Alaa) কাম অপেক্ষা উৎকর্ষব্যঞ্জক অর্থের সাধনা জাগতিক ভোগ-প্রবৃত্তির জন্ম দিলেও তা কেবল ইন্দ্রিয়ভোগ নয়; সম্মান, যশঃ প্রভৃতি WE মানস-সমন্ভোগও অর্থের সাধনায় কাম্য হয়ে ওঠে । তাহলেও কাম ও অর্থ--এই দ্বিবিধ পুরুষার্থের সাধনাই এহিক স্থখভোগের জন্ম দেয়। তৃতীয় স্তরে ala সাধকদের লক্ষ্য পারত্রিক IA, মৃত্যুর পর স্বর্গলোকে নিত্য ভোগন্বখে অবস্থান fee vet স্তরের মোক্ষের সাধক পূর্ববরতা তিন জাতীয় Wea কোনট'!ই চান না; তাঁদের একমাত্র কাম্য দুঃখময় afte জগতের সকল বন্ধন পেকে চিরন্তন অব্যাহতি লাভ করে ঈশ্বরে সাযুজ্য-সামীপ্যাদি যে কোন প্রকার মুক্তি যা অন্য তিন পুরুবার্থের সাধনায় লাভ করা যায় ন!। ধর্ম-মাধনার ক্ষেত্রে ধর্মের ফল শেষ হলে আবার পাঁথিব জগতে জন্মগ্রহণ করতে হয়, fae মোক্ষ-প্রাপ্ত সাধক পুনর্জন্মের হাত থেকে চিরন্তন অব্যাহতি লাভ করেন। এ কারণেই ধম্মাচার্যগণের মতে পুরুষার্থ হিসাবে কাম, অর্থ ও ধর্মের সাধন] গৌণ, কেননা তাতে চিরস্থায়ী সুখ জাগে না। সে বিচারে মোক্ষই চতুর্বর্গের মধ্যে সর্বশেেষ্ঠ বা পরম পুরুষার্থ। পারত্রিক স্বথ-প্রত্যাশী ক্গতের অধিকাংশ ধর্মসম্প্রদায় তাই মোক্ষকেই পরম কাম্য বা চরন লক্ষ্য বলে গ্রহণ করেছেন | পাথিব জগতের অগণিত জীব-সাধারণ ভক্তির পথ গ্রহণ করে ভক্তিরসের সাধনাকে বিশেষ মধাদা দিয়েছেন সন্দেহ নেই. few afaifers তারাও wire মতভেদ প্রাপ্তিকে অর্থাৎ মোক্ষলাভকেই পরম কামা wa করে লীলারসের গৌরবমাধুযকে HAND করেছেন। তাদের কাছে বাহু জগতের . দুঃখময়তাই সর্বাধিক প্রকট হয়ে উঠেছে। তাঁরা দেখেছেন--পাথিব জীবন নানাবিধ ভোগের উপকরণ-জাত স্মুখ-বিলাসিতায় আপাত উজ্জ্বল বলে মনে হলেও সে সকল একান্তই সাময়িক, প্রকৃতপক্ষে তা দুঃখে পরিপূর্ণ। জন্ম থেকে TS পর্যন্ত সহম্রবিধ ছুঃখ-বেদনা-গ্রানি-জরা-ব্যাধির অপ্রতিরোধ্য ধ্যাপক অস্তিত্বের অভিজ্ঞতাই সে সকল বস্তু-সমুখকে আবৃত করে জীবচিত্তে প্রকট হয়ে ওঠে । অর্থাং--'সুখে মোড়া Ere ভর--পাথিব জীবনের স্বরূপজ্ঞানই তাদের এ বিশ্বে পুনর্জন্মের হাত থেকে অব্যাহতি-লাভ ও ঈশ্বরে



Leave a Comment