মীর মশাররফ হোসেন রচনাবলী [খণ্ড-৩] | Mir Mosharraf Hossien Rachanabali [Vol. 3]

অয়লারের বাগড়োর ধরিয়া খাড়া রহিয়াছে। সময় সময় চামব দ্বারা ঘোটকবরের গাত্র হইতে মক্ষিকা তাড়াইতেছে। GANG খরগতি 'অয়লার' পুচ্ছ গুচ্ছ অনবরত নাড়িয়া হ্রযোরবে সকলের দৃষ্টির আকর্ষণ করিতেছে। বেহারাগণ পান্ধী মাটিতে রাখিয়া “বেলা হইল” 'আজ রোদ্রে মারা পড়িব' 'সাহেবের বুদ্ধি নাই' ব'লে কার যেন পিতৃ মাতৃ শ্রাদ্ধ করিতেছে। সংগে সংগে সময় যাইতেছে। সকলেই দেখিল কেফাতুল্যা পায়চারী রাখিয়া সেলাম বাজাইবার জন্য নম্র ভাবে দাঁড়াইল। দরওয়ানজীর ভাবে সকলেই বুঝিল যে সাহেব নীচে নামিতেছেন, সকলেরই ASIA পরিবর্তন। নৃতন ভাব নম্র ও সতর্ক | বেহারাগণের মুখ বন্ধ, বেশীর ভাগ METH ঘাড়ে, কাম বাজাইতে খাড়া-প্রস্তুত। টি আই. কেনী পাইপ টানিতে টানিতে বেত হস্তে নীচে নামিলেন। সসব্যস্তে সকলেই ঘাড় নোয়াইয়া wea মত সেলাম বাজাইল। সামান্য চাকরের সেলামের প্রত্যুত্তর, প্রায়ই নাই, ইংরেজ আরও কড়া মেজাজ, সে দিক লক্ষ্য না থাকিবারই Ser | জয়টাদ সইসের দিকে বেত উঠাইয়া বলিলেন, গোরা লাও। SASH ঘোড়া লইয়া নিকটে আসিল। কেনী আরোহণ করিলেন। আবার বন্দুক শব্দ উচ্চারণ করিতেই পীরবক্স শিকারী তাড়াতাড়ি বন্দুক তোজাদান লইয়া সাহেবের পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটিল। আমীন, তাগাদগীর, কোড়াবরদার চাকুরী বাজাইতে উর্দধশ্বাসে দৌড়িতে লাগিল। নীলমণি মাছত চাই Me করিয়া প্যারীজানকে পীলখানায় লইয়া গেল। বেহারাগণ আজিকার মত রক্ষা পাইল। কিন্তু সর্দার বেহারা মধু বলিতে লাগিল, “দেখ ত ভাই! বেটার বুদ্ধি! কথাটা আগে বল্লেই হইত। আজ ঘোড়ায় চড়িয়া ডিহি দেখিতে যাইব, হাতী পালকীর দরকার নাই।” মনিবের বুদ্ধি বিবেচনায় সাত প্রকার SPU! দেখাইয়া আপীস ঘরের বারান্দায় পালকী রাখিয়া মধু সদলে বাসায় চলিয়া গেল। টি, আই, কেনীর মনের কথা আগে কেহ জানিতে পারিত না। কোন্দিকে নীল দেখিতে যাইবেন, সে কথা কাহারও জানিবার সাধ্য ছিল না। Fata চতুর্দিকেই নীল জমি। যে দিকে তাহার ইচ্ছা হইত, সেই দিকেই তিনি যাইতেন। আমীন, খালাসীরা তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটিত। একদিন যে দিকে যাইতেন, পরদিন আর সে দিকে যাইতেন না।--একথা সকলেই Haws | আজ তিনদিন ক্রমাগত উত্তর দিকেই যাইতেছেন। কুঠীর উত্তর দিকে দমদমা ats | টি, আই, কেনী দমদমা গ্রামের মধ্যে যাইয়া পথ ভুলিয়া অন্য পথে যান। তাহার বহুকালের চেনা পথ কেন যে ভুল হয়, তিনিই জানেন। ঘুরিয়া Yaa একটি গৃহস্তের কুঁড়ে ঘরের দিকে লক্ষ্য করেন। গ্রাম্য AA গ্রাম্য লোক, সাহেব দেখিলেই ভয় পায়। সাহেব বাহির হইয়াছে শুনিলে যে যেখানে থাকে সে সেইখানেই গাছের আড়ালে কি পথের ধারে লুকায়,-_ঝাড় জংগলে মাথা দেয়, একেবারে সরিয়া যাইতে না;পারিলে কাপিতে কাপিতে সেলাম বাজাইয়া জোর পায়ে সরিয়া ATS | গ্রাম্য স্ত্রীলোকেরা সাহেবের নাম শুনিলেই ঘরের দোর আঁটিয়া কেহ মাচার নীচে, কেহ ঘরের আড়ালে থাকিয়া বিলাতী রূপ দেখিয়া চক্ষু HOTA | কেনী একদিনে এক পথে কখনই যাওয়া আসা করিতেন না। ৬