রবীন্দ্রস্মৃতি | Rabindrasmriti

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বচন ১১. আমাদের এইটুকু লাভ বা লোকসান হয়েছে যে, তার উত্তরকালের কোনো কবিতাই তেমন বিস্ময় বা আনন্দের উদ্রেক করে ay) এমন-কি, যখন থেকে তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ যোগ ছিন্ন হয়েছে, সেই বিংশ শতাব্দীর স্চনার পরে রচিত তার বহু কবিতাই আমার কাছে অপরিচিত মনে হয়-_ সেটি অবশ্য আমারই ছুর্তাগ্য। সুর তাল ভাব যেমন গানের অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ, তেমনি ছন্দ এবং মিল যদি কবিতার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে গণ্য হয়, তবে তার কবিতা যে অপূর্ব ছন্দের বৈচিত্র্যে আর অনবদ্য মিলের সৌন্দর্যে Sohn সে অস্তত আমার বিবেচনায় অন্যত্র অতীব দুর্লভ | আমাদের পরবর্তীকালে নিজ নিজ অভিজ্ঞতানুসারে নান! জনে রবীন্দ্রনাথের নানা ছবি আকতে চেষ্টা করেছেন । যেমন-_ শচীন্দ্রনাথ অধিকারী, সীতা দেবী, মৈতেয়। দেবী, প্রতিমা দেবী, রানী চন্দ, রানী মহলানবীশ, সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রভৃতি । তবে, আর যতই স্মবিধা থাকুক, বয়সে কেউ আমার সমকণক্ষতার দাবি করতে পারবেন না এটুকু আশা করতে পারি | কেবলমাত্র বই পড়ার পরিচয় আর প্রতাক্ষদশীর পরিচয়ে অনেক তফাত | যদিও আমার প্রাচীন বয়সের দরুন স্মৃতি অনেকটা ঝাপসা হয়ে এসেছে, SITS তথ্যের কোনো দিকে কমিবেশি যদি বা হয়, সত্য মনের ভিতরে আজও উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে-_ এ দাবি তো করতে পারি। বিংশ শতাব্দীর STATES যেমন ব্রহ্মচর্যাশ্ম স্থাপন রবিকাকার জীবনের একটি বিশিষ্ট পর্বের সুচনা করে তেমনি দ্বিতীয় দশকের পরে বিশ্বভারতা পত্তনেও তার জীবন একটা নতুন মোড় ফেরে, সেখান থেকে ক্রমশ আমাদের যাত্রাপথ ভিন্ন হয়ে যায়। তবু ডালপাল৷ যতই দূরে দূরে ছড়িয়ে পড়ুক-ন] কেন, গাছের যুলকাগু তার আদি প্রতিষ্ঠাতূমিতেই থেকে যায়। এই সূত্রে বাবা বিলেত যাবার সময় যে গানটি লিখেছিলেন তার শেষ কথাটি দিয়ে শেষ. করি-_ দিবস ফুরায় যত ছায়া যায় রে তত, কু না ছাড়ায় তবু পাদপবন্ধন ।



Leave a Comment