বিশ্বভারতী পত্রিকা [বর্ষ-১০] | Bishwabharati Patrika [Yr. 10]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রথম সংখ্যা ভারতীয় সাজাত্য q সেকালের ভারতবাসী পুরাণোক্ত সষ্টিতত্বে ও জাতিতত্তে বিশ্বাস করত। ষাট-সত্তর বংসর আগেকার বাঙালী শিক্ষিত সম্প্রদায় ম্যাক্মম্যুল।র প্রভৃতির লেখা পড়ে স্থির করেছিলেন যে Stacey অন্যান্য অধিবাসীর ন্যায় বাঙালী (বিশেষত ভদ্র বাঙালী) আধজাতিসস্তুত। তাদের পূর্বপুরুষরা দীর্ঘকায় গৌরবর্ণ পিঙ্গলকেশ নীলচক্ষু খাটা আর্ধ ছিলেন, এই বাংলা দেশের রোদ-বৃষ্টিতে এখনকার বাঙালীর চেহারা বদলে গেছে। ইংরেজ জার্মন তাঁদেরই প্রাচীন জছ্ব!তি, কিন্তু তারা ভ্রষ্ট আর্য, বৈদিক ois আদি আধ! সেই aol পাকা করবার GT এবং উচ্চ বর্ণে প্রমোশন পাবার জন্য Stews উৎকট গ্রহ fey) অত্রাম্মণর| পইতা নিয়ে ধন্য হতেন, কেউ কেউ অগ্নিহোত্রী হতেন । এখনও অনেকে কৌলিক পদবীতে তুষ্ট নন, নামের শেষে শর্মা বর্ম] জুড়ে দিয়ে নিজেকে Fort Ala করেন। আধুনিক শিক্ষিত হিন্দুর আর্যতার মোহ দূর হয়েছে। জাতিবিজ্ঞানীদের Pare মেনে নিয়ে অনেকে এখন বুঝেছেন যে ভারতের হিন্দু মুসলমান সকলেই সংকর, অতিপ্রাচীন অস্টাল মোঙ্গল ভূমধ্য প্রভৃতি জাতি থেকে তাদের উৎপত্তি, কিঞ্চিৎ নডিক soe কারও কারও দেহে স্বাছে। এই সংক্রত্ব সর্বত্র সমান নয়, বিভিন্ন মিশ্রণের ফলে এবং বংশগতির নিয়মে ভারতবাসী নানাপ্রকার দেহলক্ষণ পেয়েছে । ভিন্ন ভিন্ন নরজাতি থেকে তারা শুধু দৈহিক উপাদান পায় নি, তাদের সংস্কার অর্থাৎ জাতকর্ম বিবাহ অস্ত্যেষ্টি প্রভৃতির রীতি, নান/প্রকার সামাজিক বিধিনিষেধ, ভারতীয় লিপি, জ্যোতিষ, দার্শনিক মত, কৃষিপদ্ধতি, seas, মাটি পুড়িয়ে ইট তৈরি, লোহাপাথর থেকে লোহা তৈরি, বন্য ঘোড়া বশ করে তার পিঠে চড়! আর রথে জোতা, কাপড় সেলাই করে জামা-ইজা/র তৈরি, প্রভৃতি অসংখ্য প্রথা fai আর কৌশল লাভ করেছে। ভারতীয় হিন্দুর পৃথক পিতৃভূমি নেই, অর্থাৎ ভারতের বাইরে এমন কোনও দেশ নেই যেখানে হিন্দুধর্ম প্রথমে উদ্ভূত হয়েছিল এবং যেখানে এখনও হিন্দু আছে। বৈদিক আর্যগণের আদিভূমি উত্তরমেরুর কাছে বা চীন-তুকিস্থানে বা উত্তরপারস্তযে হতে পারে, কিন্তু এখন সেখানে হিন্দু নেই। মুসলমানের যেমন আরব ইরান তুকাঁ আছে হিন্দুর সেরকম কিছু নেই, তার ফলে হিন্দুর সাজাত্যরোধ এবং সমস্ত fey ভারতেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। হিন্দুর ধর্ম ভারতেই উৎপন্ন হয়েছে, তার উপাদান শুধু বেদ আর তন্ত্র নয়, বৌদ্ধ জৈন মুসলমান খ্বীষ্টান এবং বহু অদিম জাতির ধর্মও তাকে প্রভাবিত করেছে। হিন্দুর রক্ত, সংস্কার, ধর্ম কিছুই অবিমিশ্র নয়। ভারতে উদ্ভূত অতি জটিল হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে গত দেড় শ বংসরে ইওরো পীয় সংস্কৃতিরও যোগ হয়েছে, এবং ভবিষয়়তে আরও হবে | KATA সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে স্বরর্মচযুতির অকারণ APTS] জড়িত থাকে। গোড়া হিন্দু ভক্ষা-অওক্ষ্য, স্পৃশ্য-অস্পৃপ্তয, PS-AFS], কাল-অকাল প্রভৃতি বিচার করে সাবধানে জীবনযাপন করে। মিথ্য| কথা, প্রতারণা a পরস্বাপহরণে ধর্মচযুতি হয় al, কিন্তু গ্রহণের সময় খেলে বা বিধবাকে গহন পরতে দিলে হয়। সাধুতার চেয়ে লোকাচার বড় এই ধারণ! সকল ধর্মের গৌড় লেকের মধ্যে আছে। যারা স্মরণীয় কালের মধ্যে ধর্মাস্তর নিয়েছে অথবা সমাজের এক স্তর থেকে উচ্চতর স্তরে উঠেছে তাদের মধ্যে পূর্বধর্মের ছোয়াচ লাগবার প্রবল আশঙ্ক৷ দেখা যায়। পৌত্তলিকতা প্রতিরোধের জন্য মুসলমান ধর্মে যত কঠিন বিধি আছে খ্রীষ্টধর্মের কোনও শাখায় SSH] দেখ যায় না। এইসব বিধিনিষেধের আদিকারণ মুসলমান সমাজবিজ্ঞানীর] বলতে ATI) এর মূলে এই আশঙ্ক! থাকতে পারে যে পূর্বপুরুষদের সরস wha প্রতি লোকের একটা



Leave a Comment