তারাশঙ্কর-রচনাবলী [খণ্ড-৪] | Tarashankar-rachanabali [Vol. 4]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পঞ্চগ্রাম ৭ ইচ্ছা ছিল না। বারবার সে তাহাদের ফিরাইয়] দিতেই চাহিয়াছে-_তবু তাহারা স্তমিবে না। এদিকে মহাগ্রামের লোকে শরণাপন্ন হইয়াছিল স্যায়রত্ব মহাশয়ের। স্কায়রত্ব পত্র লিখিয়া তাহাদিগকে দেবুর কাছে পাঠাইয়া দিয়াছেন । লিখিয়াছেন, “পণ্ডিত আমার শাস্ত্রে ইহার বিধান নাই। ভাবিয়া দঢ্বেখিলাম--তুমি বিধান দিতে পার; বিবেচনা করিয়] তুমি ইহার বিধান দিও 1” আজ এই রখযাত্র| উপলক্ষে পঞ্চগ্রামের চাষী মাতৰ্বরেরা ন্তায়রত্বের ঠাঁকুরবাড়ীতে সমবেত হইবে | মহাগ্রামের উদ্বোক্তারা এই স্থযোগে ধর্মঘটের উদ্যোগপর্বের ভূমিকাটা সারিয়া লইতে চায়। তাই বারবার দেবুকে উপস্থিত হইতে arate করিয়াছে। স্যায়রত্ব নিজেও আবার লিখিয়াছেন-_ “পণ্ডিত আমার আশীর্বাদ জানিবে। ঠাকুরের রথযাত্রা, অবশ্তই আসিবে। আমাকে বিপদ্ব হইতে ত্রাণ eal আমার ঠাকুরের রথ চলিবে সংসার সমুদ্র পার হইয় পরলোকে | ইহুলোকে যাহাদের প্রভুর রথ প্থ-সম্পদময় মালীর ঘরে যাইবে, তাহার] আমাকে লইয়া] টানাটানি করিতেছে। দায়িত্টা তুমি লইয়৷ আমাকে মুক্তি দাও । তোমার হাতে ভার দিতে পারিলে আমি নিশ্চিন্ত হইতে পারি। কারণ মানের সেবায় তুমি সর্বস্ব হারাইয়াছ; তোমার হাতে ঘটনাচক্রে যদি লাভের পরিবর্তে ক্ষতিও হয়-_তবু সে ক্ষতিতে অমঙ্গল হইবে Al বলিয়৷ আমার প্রত্যয় আছে।” দেবু এ নিমন্ত্রণ উপেক্ষা! করিতে পারে নাই। তাই স্ত্রী-পুত্রের চিতা-চিহ্নের বিপুল আকর্ষণ, বন্ধু যতীমের বিদ্বায়-বেদনার অবসাদ- সমস্ত atfor ফেলিয়। সে মহাগ্রাম অভিমুখে চলিয়াছে। . ময়ূরাক্ষীর বন্যারোধী বীধের উপর হইতে সে মাঠের পথে উত্তরমুখে নামিল। খামিকটা দূর গিয়াই মহাগ্রাম। ঢাকের শব উচ্চতর হইয়া উঠিয়াছে। পথচলার গতি আরও খানিকটা দ্রুততর করিয়!, জনতার ভিড় ঠেলিয়া শেষে সে স্যায়রত্বের ঠাকুরবাড়ীর আটচালায় আসিয়া Visa | পুজার স্থানে cafes হোমবহির সম্মুখে বসিয়াই ন্যায়রত্ব তাহাকে স্মিতহাস্তে সঙ্গেহে নীরব আহ্বান জানাইলেন। দেবু প্রণাম করিল। চাষী মাতব্বরেরাও CHIT সাগ্রহে সঙ্গেহে আহ্বান করিল ।-এস এস, পণ্ডিত এস। এই-_-এই এইখানে বস। সকলেই তাহাকে বসিতে দিবার জন্য জায়গ৷ ছাড়িয়া fen কাছে পাইতে চাহিল। দেবু কিন্তু সবিনয়ে হাসিয়া এক পাশেই বসিল ; বলিল--এই' বেশ বসেছি আমি ।-_তবে তাহাদের আহ্বানের আস্তরিকতা তাহার বড় ভাল লাগিল। স্বী-পুত্র হারাইয় সে যেন এ অঞ্চলের সক্ল মাছের স্নেহ-প্রীতির পাত্র হইয়া উঠিয়াছে। দুইবিন্দু জল তাহার চোখের কোণে জমিয়া উঠিল । তাহার সমস্ত অস্তরটা অপরিসীম কৃতজ্ঞতায় ভরিয়া] উঠিল | মানযের এত প্রেম | আসিয়াছে অনেকে.। মহাগ্রামের মুখ্য ব্যক্তি শিবু দাস, গোবিন্দ ঘোষ, মাখন মণ্ডল, গণেশ গোপ প্রভৃতি সকলে তো আছেই-_তাহা ছাড়া শিবকালীপুরের হরেন্্র ঘোষাল



Leave a Comment