জেমস হেডলি চেজ রচনাসমগ্র {খণ্ড-২} | James Hedli Chez Rachana Samagra [Vol. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ডাবল ডিল ১১ --সেজন্য আমি পরবর্তী লোক হতে পারি? মার্টেল উত্তর দিলো, যাক ভালোই | ছোট্ট ঘরের থেকে শহরের ভাল SANS পাওয়া AA... | OIA?” উদাসীন ভাবে THOS ভাববার চেষ্টা করল ও। ক্যাব দ্রুতগতিতে ছুটে চলেছে জুরিখের দিকে। ভাবতে লাগল টুইডের অফিসের ছারপোকার কথা, ওর হোটেল পরিবর্তন করা উচিত বিরোধীরা যদি ওকে 'বাউর-আ্যা-ল্যাক”-এ খোঁজার চেষ্টা করে তাহলে ওর কাছে একটা দারুণ সুযোগ আসবে | প্রথমে তো ওদের সঙ্গে দেখা হোক। মার্টেল একটা সিগারেট ধরালো। জুরিখে ফিরে যাওয়াই ভাল। নীলরঙের ট্রামগুলো শব্দ করতে করতে চলে যাচ্ছে। ড্রাইভার ওকে ব্যানহকপ্লেটজ-এর দিকে নিয়ে চলল। যেতে যেতে লিমাট নদী বয়ে যাচ্ছে দেখতে লাগল মার্টেল। একটা ব্রীজ পড়ল এই নদীর ওপর। ওয়ার্নারের নোটবুকে কেন জায়গাটার নাম লেখা আছে এই ভেবে খুব আশ্চর্য হল আর ভালভাবে জায়গাটা দেখতে লাগলো। বীদিকে সারি সারি গাছ। ইউরোপে এটাই ওর প্রিয় শহর আর এই রাস্তাটা। এখানে বেশ কয়েকটা বড় বড় ব্যাংক আছে, যাদের আন্ডারগ্রাউন্ড ভল্টগুলোতে জমানো সোনার পাহাড়। প্রত্যেকটা ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠিন। আস্তে আস্তে গাড়ি ট্যালটেলীর রাস্তায় এসে পড়ল। দূরে রাস্তার শেষপ্রান্তে 'বাউর-আ্যা-ল্যাক' দেখা যাচ্ছে। সামনে লেক। ধূসর মেঘে ঢাকা আকাশ। আবহাওয়াটা গুমোট। শহরটা যেন বিপদে মেখে আছে। ধনুকের মত এক জায়গায় ক্যাবটা এসে থামল। সামনের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢুকতেই হেড পোর্টার দরজা খুললো MOA দেখল একটা রোলস ACTA আর পাঁচটা মার্সিডিজ পার্ক করা রয়েছে। প্রবেশ পথের ঠিক পেছনে সবুজ লন, ছোট্ট পার্কও বলা যায়। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেল পর্যন্ত ওকে কেউ অনুসরণ করেনি। এ ব্যাপারে ও নিশ্চিত। হোটেল প্রায় ভর্তি হয়ে গেছে। হেড পোর্টার ওকে দেখে ভ্র কুঁচকে ফোনটা তুলে কিছু কথাবার্তা বলে অবশেষে ওকে একটা ডাবল বেডের ঘর দেওয়া হল। ঘরে পৌঁছে বেডরুম এবং বাথরুম ভালভাবে পরীক্ষা করে নিল কোন মাইক্রোফোন লুকনো আছে কিনা। যাইহোক কিছুই পাওয়া গেল না। ও কিছুতেই যেন ABS ACS পারছিল at লিফট্‌ এড়িয়ে ও সিঁড়ির দিকে এগিয়ে গেল। লিফটে না চড়াই ভাল, ওটা একটা ফীদ। আবহাওয়া, স্বাভাবিক খানিকটা এগোতেই দেখল একটা চাদোয়ার তলায় চা আর ড্রিংকস পাওয়া যাচ্ছে। পাশের ফ্রেঞ্চ রেস্টুরেন্টে ও কফির অর্ডার দিল। একটা সিগারেট ধরিয়ে সামনে এলিটদের আসা যাওয়া একভাবে লক্ষ্য করতে লাগলো। একটা ছায়া ওর সামনে ভেসে উঠলো। ক্লেয়ার হফারের সঙ্গে ঠিক রাত আটটায় ওর আ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে, eas ফ্ল্যাটে। কিন্তু সময়টা এত বিশ্রী যে ও খানিকটা বিরক্তি বোধ করলো। স্বাভাবিক হলে জায়গাটা ও তন্ন তন্ন করে খুঁজে নিতে পারতো। কিন্তু এখন তা সম্ভব নয়। টুইডের অফিসের ছারপোকার ওপরে ও নিজের কৌশলে খানিকটা পরিবর্তন ঘটিয়েছে। ও ভালভাবেই অপেক্ষা করতে লাগল। অন্যেরা যখন রাতের খাবার খেয়ে নিচ্ছে ও তখন কফি খেল সাড়ে সাতটা নাগাদ। তারপর বিলে নিজের সই আর রুম নাম্বারটা লিখে ধনুকাকৃতি জায়গাটায় এসে দীড়ালো। কাউকে দেখতে না পেলেও ওর মনের অস্বস্তি কিছুতেই যাচ্ছে না। রাস্তা ফাঁকা, জনমানবহীন। ও মেসিনের কাছে গিয়ে ওটাকে থামিয়ে কুড়ি সেন্টিমের একটা মুদ্রা ঢুকিয়ে দিল আর টিকিটটা নিয়ে জুরিখের একটা গোপন লোকের জন্যে অপেক্ষা করতে লাগল। .ট্রামগুলো ওর চোখের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। টিকিটটা ওকে খানিকটা ঝামেলায় ফেলছিল। ওর বুকপকেটে একটা খামের ভেতর ওয়ার্নারের ওয়ালেটের সবকিছু আছে। ওর সঙ্গেই ট্রামের টিকিট আছে, তাতেও লেখা রেনওয়েগ-_আগস্ট। জায়গাটা বেশীদুর নয়। PATA হফারের মুখটা মনে পড়তে সামনে দিয়ে আসা ট্রামটায় উঠে নামবার দরজার দিকে ঠিক পাশের সীটটায় বসে পড়ল।



Leave a Comment