জনজাতির জীবন কাব্য | Janajatir Jiban Kabya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৬ হলেও ধর্মারণ্য যুগের নঙ্থুন এখনও সচল এবং কার্যকর | গ্রামের সব বিচার-আচার এই নঙ্থুন পরিচালন! করে। নঙ্থুনে কোনও বিষয় মীমাংসিত না হলে, সেই বিষয়টিকে তারা সরকারি দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়। নক্টেরা প্রামের লোওয়াংকে রাজার মর্য্যাদা দেয় এবং সমীহ করে। পদাধিকার বলে লোওয়াং নঙ্থুনের সর্বময় কর্তা। লোওয়াংকে সাহায্য করার জন্য তিন রকমের সদস্য থাকে | ASCH ভাষায় তাদের বলা হয়, ননওয়া, বামওয়া ও তানওয়া | এদের মধ্যে ননওয়া লোওয়াং-এর পাশে পাশে থাকে এবং সকল বিষয়ে তাকে সাহায্য করে। রামওয়ার কাজ বার্তাবাহকের | নঙ্থুনের সব সিদ্ধান্ত সে ACH গ্রামে প্রচার করে। কবে শিকারের দিন আর কবে পরিষদের সভা বসবে, সে সব কাজও রামওয়াকে করতে হ্য়। আর তানওয়ার কাজ কি? নামচুম বলেন, তার কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাকে পুরোহিতের কাজ করতে হয়। সব কাজের শুভ দিন এবং শুভ সময় তাকেই ঠিক করে দিতে হয়। যদি গণনায় ভুল হয়? তাহলে? নামচুম বলেন, এই 'তাহলে”র জবাব আমার জানা নেই । তবে নিশ্চয়ই তার গর্দান যায় না। এই তিন রকমের সদস্য ছাড়াও নক্্‌টে উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিটি শ্রেণী থেকে একজন করে সদস্য নঙ্থুনে স্থান AA | তাদের বলা হয় নোকাতাঙ্‌। মজার কথা, নঙ্থুনে কোনও মহিলা সদস্য থাকতে পারে না। তবে অভিযুক্তা স্বয়ং উপস্থিত থেকে নিজের বক্তব্য পেশ করতে পারে। নঙ্থুনের কোনও সদস্য সাম্মানিক পায় না। সকলেই অবৈতনিক | তবে যে সব জরিমানা নঙ্থুনে জমা পড়ে, তার একটা অংশ সদস্যদের মধ্যে বাটোয়ারা করে দেওয়া হয়। বেশির ভাগ অংশ পোহ্‌ ও গ্রামের উন্নয়নের কাজে খরচ করা হয়। Hey বই মিথ্যা বলিব না -কাঠগোড়ায় দীড়িয়ে আমাদের যে শপথ নিতে হয়-_ অভিযুক্ত ও সাক্ষীকে নঙ্থুনের সদস্যদের সামনে এই ধরনের শপথ গ্রহণ করতে হয়। তাদের শপথের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে, ভয় ও আতঙ্ক | মাটিতে হাত রেখে অথবা সূর্যের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে অভিযুক্তকে তার অপরাধ স্বীকার অথবা অস্বীকার করতে হয়। সব AHS ভূমি ও সূর্যকে দেবতা বলে মনে করে। ভূমি স্পর্শ করে আর সূর্যের দিকে তাকিয়ে নিজের ও পরিবারের ক্ষতির ভয়ে তারা কখনই মিথ্যা বলতে পারে না। নামচুম বলেন, জঘন্য কোনও অপরাধের জন্য হাতি বা বাঘের দীত অথবা একটি ডিম মুখের মধ্যে পুড়ে তাকে শপথ করতে হয়। কোনও অপরাধী তা করতে রাজি হয় না। তার আগেই দোষ স্বীকার করে নেয়।



Leave a Comment