বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
42 MB
মোট পৃষ্ঠা
610
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)নয় | মেয়েমানুষের প্রতি তার কোনো আগ্রহ নেই | রঙ্গময়ীর ঢের বেশী ভয় সমাজকে, কলঙ্ককে |
কাঁপতে কাঁপতে জ্বরগ্রস্ত রুগীর গলায় সে বলল, পলিসি, আমার পিসি । ওপাশে শেকল তুলে
দিয়েছে । কেন ? বাইরে থেকে শেকল তুলে দেওয়ার মানে কী ? জানি না। আপনি দরজাটা খুলে দিন | নলিনী অনুচ্চ WAS কথা বলছিল | কিন্তু সেই মৃদু স্বরও রাগে থমথম করে উঠল, এত রাতে
তুমিই বা আমার ঘরে এলে কেন ? e রঙ্গময়ী সেই রাগের আভাস দেখেই অপরাধবোধে কেঁদে ফেলল | ভাঙা বিকৃত গলায় বলল,
আমি তো আসিনি । পিসি বলল, আপনার কিছু দরকার আছে কিনা জিজ্ঞেস করতে । পিসি সঙ্গে
এসেছিল | হঠাৎ নলিনীর মুখ রুদ্ধ রোষে টকটকে লাল হয়ে গেল ৷ বলল, তোমার পিসি ? হ্যাঁ, আমি কিছু জানি না। নলিনী রাগলেও সেই রাগ রঙ্গময়ীর ওপর প্রকাশ করল না Pa করে দাঁড়িয়ে সম্ভবত
পরিস্থিতিটা একটুক্ষণ ভেবে নিল | তারপর হঠাৎ হাসল | তার হাসি বরাবর সুন্দৰ | অমলিন,
সরল | দাঁতের ঝিকিমিকির ভিতর দিয়ে তার হৃদয় দেখা যেত | মাথাটা একটু নেড়ে সে বলল, এভাবে কি হয় ? রঙ্গময়ী ভীত গলায় বলল, কী হয় ? নলিনী মাথাটা আগের মতোই নাড়তে নাড়তে বলল, এভাবে হয় না । তোমার পিসিকে
সুযোগমতো বোলো, এভাবে হয় না ৷ তুমি বড ছোটো, ঠিক বুঝবে না । তোমার পিসি ভুল
করেছেন | আপনি দরজাটা খুলে দিন | ভয় পেও না রঙ্গময়ী ৷ চেয়ারটায় বোসো a আমি কী করতে পারি | রঙ্গময়ী আর্ত গলায় বলল, পিসি দরজা বন্ধ করে দিল কেন ? সেটা তোমার পিসিকেই জিজ্ঞেস কোরো | তিনি যদি বলতে নাও চান ₹্ তাহলেও ক্ষতি নেই
রঙ্গময়ী | বয়স হলে তুমি নিজেই বুঝতে পারবে | রঙ্গময়ী হয়তো বুঝতে পারছিল, আবার পারছিলও না fens বয়সের বয়ঃসন্ধি ৷ আলো-
আঁধারির, সময় । পিসি একটা 'অঘটন ঘটাতে চাইছে, টের পাচ্ছিল সে | কিন্তু কেন, তা ভেবে তার
মাথা কৃল-কিনারা হারিয়ে ফেলছিল | এত রাতে একা পরপুরুষের ঘরে কী করে পিসি ঠেলে দিতে
পারে তাকে ? তবে নলিনীকে THIN জানত | এ পুরুষ বটে, কিন্তু বিপজ্জনক নয় | না, কথাটা ঠিক হল না |
*“স্মলিনী হয়তো বা বিপজ্জনকই ছিল ৷ পরবর্তী কালে তার জীবনের একটা গোপন দিক প্রকাশ
' হুওয়ার পর সেটা জানা গিয়েছিল ৷ Ry সেই বিপদ মেয়েদের জন্য নয়, ইংরাজদের জন্য | তাই
রঙ্গময়ীর সেই রাতে ভয় ক্রেনি | লজ্জা ও আত্মগ্রানিতে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে সে গিয়ে
নলিনীর টেবিলের সামনে কাঠের চেয়ারে বসল | বুদ্ধিমান নলিনী দরজা খুলবার চেষ্টা করল না । শাস্তভাবে ফিরে এসে সেও বসল নিজের
চেয়ারে | PRIN দুহাতে মুখ ঢেকে কাঁদছে | নলিনী ধীর স্বরে বলল, দরজার পাল্লাটা খুব ভারী ৷
জোর করে খুলতে গেলে শব্দ হবে | কাউকে তো এ অবস্থায় ডাকাও যায় না | corata পিসি খুব নিশ্চিন্তে বসে
দেবেন | ততক্ষণ আমাদের 20