ধর্ম নিরপেক্ষতা [সংস্করণ-১] | Dharma Nirapekshata [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
যর্মনিরপেক্ষতা সঙ্গে তাল রাখতে ধর্যকেও পরিবর্তন মেনে নিতে হয়। মার্টিন লুথায়ের সংস্কার ও প্রোটেষ্টা্ট মতবাদের agian গীর্জার আধিপত্য ও পাঙ্তা- পুরুতদের দৌরাত্ম্য বিশেষভাবে খব করে। দলীয় চেতনার ধারক হিসেবে ধম" ক্রমেই গুরুত্ব হারাতে থাকে এবং ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সামাজিক স্থিতিবিধানে এখনও প্রয়োজনীয় মনে হলেও উন্নয়নের নিয়ামক হিসেবে তাদের কেউ আর চিহ্নিত করে না। অবশ্য এ থেকে এমন ধারণা কর! অনুচিত যে MAI সেখানে ধর্মের আশ্রয়কে পুরোপুরি পরিত্যাগ করান জন্যে মনের দিক থেকে প্রস্তুত হয়ে উঠেছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতেও নিরীশ্বরবাদী হলবাক, যিনি ঘোষণা করেন, অজ্ঞানতা, ভয় ও প্রবঞ্চন থেকে ধর্মের উদ্ভব, তর সবচেয়ে বিখ্যাত বই The System of Nature বিচলিত সংস্কারবোধ ও অন্ধ আবেগতাড়িত জনসাধারণের যুক্তিহীন SCH খোলা রাস্তায় পোড়ানো হয়। সংস্কার ও প্রতিক্রিয়ার এই ধারা সমাজদেহে এখনও একবারে হীনবল নয়। তবে যা Way, তা হলে! আজকের মানুষের উন্নয়ন স্প.হা এই সংস্কার ও প্রতিক্রিয়ায় ব্যাহত হয়, স্থকালে লাঞ্ছিত সক্লরেটিস, গ্যালিলিও অথবা হলবাকের মত মনীযীদের কীতিই আধুনিক মানুবের চিন্তার ভিত্তিভূমি রচনা করে। সেক্কুলারিজম বহু শতাব্দী ধরে যেভাবে আচরিত ও রূপান্তরিত হয়ে আসছে, আজ “ধর্মনিরপেক্ষতা 'কে যদি তারই ঠিক বঙ্গানুবাদ বলে ধরে নিই, তবে শুধুমাত্র সব ধর্মের সহাবস্থানেই তার অর্থ পুরোপুরি ধর! পড়ে না। এ কথা সত্য যে ধর্মনিরপেক্ষতায়' তার প্রয়োজন আছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়, ধর্ম থেকে চিন্তার মুক্তিতেই ধর্মনিরপেক্ষতা পুর্ণতা পায়। যে দেশে একাধিক ধর্মের TRI একত্রে বসবাস করে, সেখানে রাষ্ট্রীয় বিধানে সর্বধর্গের সহাবস্থান মেনে নেওয়ায় হয়ত রাজনৈতিক প্রজ্ঞা! মেপে, কিন্তু তাঁতেই দেশের সব মানুষ চিন্তায় ও কর্মে ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে ওঠে না | ১১



Leave a Comment