সমুদ্রতীরের গ্রাম | Samudra Teerer Gram

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সমুদ্রতীরের গ্রাম 11 হরিও লীলার সঙ্গে গেল। লীলা দড়ি-বীধা বালতিটা কুয়োর স্থির, সবুজ জলে ফেলে দিল, ভয় পেয়ে দু'একটা ব্যাঙ লাফিয়ে পালাল, বালতিটা ধীরে ধীরে ভরে উঠল, দড়ির এমাথা বেশ ভারি হয়ে উঠেছে। হাঁর দড়ি টেনে বালতি তুলতে লীলাকে সাহায্য করল। তারপর GAA পাশে বসেই খেতে শুরু করল। রুটির সঙ্গে খাওয়ার মত তেমন কিছু ছিল না, শুধু একটু নুন আর কয়েকটা কাীচালঙ্কা। কাঁচালঙ্কাগুলো লীলা তাদের বাড়ির কাছের একটা জমি থেকে তুলে এনেছিল। কোমরে হাত রেখে দাঁড়িয়ে লীলা হরির খাওয়া দেখছিল। হঠাৎ বলে ওঠে, 'আমরা কী করবো, Bly?’ এ কথার ঠিক কী মানে, হরি তা জানে, কিন্তু কিছু উত্তর দিল না, কথা বলতে তার এখন ইচ্ছে করছিল না। এমনিতেই সে বেশি কথা বলে না, আস্তে আস্তে সতর্ক হয়ে কোন বিষয়ে কিছু বলার আগে ভাবতে থাকে। তাই সে শুকনো রুটি ও লঙ্কা HANTS থাকল। ST এখনো VA ঘুমোচ্ছে। সারাদিন ঘুমিয়ে সন্ধ্যায় উঠবে, তারপর আবার সোজা চলে যাবে তাড়ির দোকানে ।” লীলার গলা কান্নার মতো শোনায়। “তাই করুক”, হরি বলল। হরি, ওই বদমাস লোকগুলোর সঙ্গে তাড়ি খেয়ে বাবা যে মরে যাবে?' are’, হরি রুটি চিবোতে চিবোতে বলে। 'আর মা? মার কী হবে?” লীলা কেঁদে ফেলে। 'আর আমরা? আমাদের কী হবে? কে দেখবে আমাদের?” “ও তো এখনও আমাদের দেখে না”, AR ডগাটা মুখ থেকে থু করে ফেলে দিয়ে হরি উত্তর দেয়। 'আমরাই তো আমাদের দেখছি, তাই না?” “কিন্তু কী করে?' লীলা কীদতে Sees বলে, “YS আমি কেউ আর স্কুলে যাই না। বেলা ও কমল এখন গেলেও সামনের বছর আর ওদের নতুন বই কিনে দিতে পারব না। দিনের পর দিন শুধু শুকনো রুটি বা ভাত ছাড়া কিছু জুটছে না, বাজার থেকে কিছু যে কিনে আনবো সে পয়সাও নেই -_ সামান্য কিছু পয়সা আসে শুধু মালাবারীদের কাছে নারকেল বেচে। তুই যখন মাছ ধরতে যাস তখনই শুধু মাছ খেতে পাই। বাবা কখনো মাছ ধরতে যায় না। তারপর আছে মা -_ ওষুধ না খেলে কী করে ভালো হয়ে উঠবে মা?” হরি এবার কাঁধদুটো ঝাঁকায়। এ সব কথা সে জানে, সারাক্ষণ এই নিয়েই . ভাবে, তবু লীলা যে কেঁদে কেঁদে এসব কথা তাকে বলছে, এটা তার ভাল লাগেনি! BBE বা করতে পারে সে? মাঠে কাজ করে, গাছ থেকে নারকেল পেড়ে এনে বিক্রি করে, যখনই সময় পায় সমুদ্রের ধারে গিয়ে মাছ ধরে — আর কী করবে সে? সে জানে — এই সব কাজ যথেষ্ট নয়, কিন্তু এর বেশি করার সাধ্য তো তার নেই। 'আমি কী করব, যা পারি তাই তো আমি safe’, মৃদুস্বরে উচ্চারণ করে সে।



Leave a Comment