মাঝির ছেলে | Majhir Chhele

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তার সঙ্গে ঝগড়া কলবেই করবে, ঝগড়া না করলে তার গায়ের জ্বালা মিটবে না। প্রায়ই সে এরকম করে, কথা কইলেই রাগ বাড়ে বলে নাগা চুপ করে থাকে। সহজে বিগড়ে যাবার মতো মেজাজ নাগার নয়। আজ কিন্তু হঠাৎ তার মাথা গরম হয়ে উঠল। যার অসুবিধার কথা ভেবে যাদববাবুর কাছে অমন সুখের চাকরি নেবে কিনা ঠিক করতে পারেনি, শুধু আধপেটা খেয়ে যার নৌকায় সে একা দুজন মাঝির কাজ চালিয়ে দেয়, ছ-আনা রোজগারের মধ্যে এক আনা পয়সা নিজের জন্য রেখেছে বলে তার এমন ব্যবহার! হাতে না দিয়ে আনিটা সামনে ধরে দেওয়া পর্যন্ত হয়ে দীড়াচ্ছে তার মেজাজ দেখানো! নিজের মেজাজ সামলাও আগে, তারপর আমার মেজাজের কথা কইও |? কী কইলি P হারুমাঝি সজোরে নাগার গালে একটা চড় বসিয়ে দিল এবং তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে অনবরত কিল-চড় লাগাতে লাগল নাগার গায়ে। নাগা আর কী করে, গুরুজনকে তো আর মারের বদলে মারা যায় না, সে শুধু ঠেলে হারুমাঝিকে ফেলে দিল নদীতে। তাকে শাস্ত করার আর কোনও উপায় ছিল TT | ততক্ষণে আশেপাশের নৌকার মাঝিরা এ নৌকার নাটকীয় ব্যাপার সম্বন্ধে সূচেতন হয়ে উঠেছে। হারুমাঝি নদীর জলে পড়তে কয়েকজন বাহবা দিয়ে উঠল। জল থেকে হারুমাঝি নৌকায় উঠতে-উঠতে পাশের নৌকা থেকে চার- পাঁচজন লাফিয়ে এ নৌকায় চলে এল আর গোলমাল শুনে ব্যাপার দেখতে এল একটু তফাতের গাধাবোট থেকে একজন বুড়ো মুসলমান মাঝি। নদীর জলে হারুমাঝির মেজাজ ঠান্ডা হবার বদলে আরও তেতে উঠেছিল। নৌকায় উঠেই সে ANS আক্রমণ করতে গেল কিন্তু অন্য সকলে ধরে ফেলায় পারল না। শুধু মুখে ASICS লাগল আর চেঁচিয়ে-চেঁচিয়ে সকলকে জানিয়ে দিতে লাগল, নাগা BIG! কত বড় বজ্জাত আর বেয়াদব। কিন্তু একপক্ষের অজুহাত শুনে তো বিচার চলে না; সকলে তাই ফীকে- ফাঁকে নাগার বক্তব্যটাও শুনল। শুনে বুড়ো ওসমান দাড়িতে হাত বুলিয়ে আপসোস করে বলল, 'অত বড় পোলার গায়ে হাত তুলছ, তোমার সরম নাই মাঝি?” সকলে সায় দিয়ে বলল, কাজটা সত্যই হারুমাঝির উচিত হয়নি। হারুমাঝি তখন এদের ওপর রাগ করে বলল, “বেশ করছি গায়ে হাত তুলছি, তোমাগো কী? যাও গিয়া তোমরা আমার নাও থেইকা ১৮ মাঝির ছেলে



Leave a Comment