বনফুলের গল্প [সংস্করণ-৩] | Banphooler Galpo [Ed. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আমত-পতব্ সারা সকালটা খেটেখুটে দুপুর বেলায় দক্ষিণ দিকের বারান্দায় একটা বিছানা পেতে একটু শুয়েছি। তন্দ্রাটি যেই এসেছে-_অমনি মুখের উপর থপ, করে” কি একটা পড়ল । তাড়াতাড়ি উঠে দেখি একটা কদাকার কুৎসিত পাখীর ছানা। লোম নেই--ডানা caz— কিন্তুতকিমাকার। রাগে ও ঘৃণায় সেটাকে উঠোনে ছুড়ে ফেলে দিলাম। কাছেই একটা বেড়াল যেন অপেক্ষা করছিল-_-টপ, করে মুখে করে নিয়ে গেল। শালিক পাখীদের আর্তরব শোনা যেতে লাগল। আমি এপাশ ওপাশ করে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম তারপর চার পাঁচ বছর কেটে গেছে । আমাদের বাড়ীতে হঠাং একদিন আমারই বড় আদরের একমাত্র ছেলে শচীন হঠাৎ AATITS মারা গেল । ডাক্তার--কবরেজ--ওঝা --বদ্যি কেউ তাকে বাচাতে পারলে না। শচীন জন্মের মত আমাদের ছেড়ে চলে CHA | বাড়ীতে কান্নার তুমুল হাহাকার | ভিতরে আমার স্ত্রী মুচ্ছিত অজ্ঞান । তাকে নিয়ে বাড়ির, কয়েক- জন শশব্যস্ত হয়ে উঠেছে । বাইরে এসে দেখি দড়ির খাটিয়ার ওপর শুইয়ে বাছাকে নিয়ে যাবার আয়োজন হচ্ছে । তখন বহুদিন পরে--কেন জানিনা-_সেই পাখীর ছানাটার কথা মনে পড়ে গেল | সেই চার পাঁচ বছর আগে নিস্তব্ধ দুপুরে বেড়ালের মুখে সেই HARA পাখীর ছানাটি, আর তার চারিদিকে পক্ষীমাতাদের আর্্ত- হাহাকার। হঠাৎ একট! অজানা ইঙ্গিতে শিউরে উঠলাম! ৮



Leave a Comment