পুলিশ সাহেব | Police Saheb

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
চিঠির কথ। বলতেই রুদ্বদেব হাসিমুখে তাঁর দিকে হাত বাড়াতেই চাকরটি বললে, আপকো নেহি সাব, সিং সাহাব কো | মুহূর্তে মুখখানা স্নান হয়ে ওঠে রুদ্রদেবের | ম্লান মুখে ভেসে ওঠে নিরাশার ছায়া। আজও এলো না অলকার চিঠি। দিনকয়েক আগে ইউনিভালিটির দীপকদার একখানা চিঠি পেয়েছে রুদ্র। কিন্তু তার মধ্যেও অলকার কথা কিছুই ছিল ait অভিমানে মনটা ভরে ওঠে রুদ্রদেবের । এই দু'মাসের মধ্যেই যে অলকা এমনি হয়ে উঠবে তা সে ভাবতে পারেনি। অথচ চলে আসার দিন হাওড় স্টেশনে BRA চোখে অলকার কত কথা, কত প্রতিশ্রুতি | রুদ্বদেব ভট্টাচার্য, অলকা মজুমদার ও দীপক মৈত্র এই তিনজনের দলটিকে তাদের THAW “Tea? বলে ডাকতো পলিটিক্যাল সায়েন্সের এম-এ ক্লাশের ছাত্র রুদ্রদেব ভালবাদতো কাব্য-সাহিত্য। তার সহপাঠিনী Bereta সাবজেক্ট ছিল ইংরেজী fee পড়াশোনার চাইতে পলিটিক্স নিয়েই পে ate ঘামাতো বেশি । ধনী ব্যবসায়ীর সর্বকনিষ্টা কন্যা অলক কিন্তু বেশ সহজভাবেই মেলামেশ। করতো রুদ্র ও দীপকের সঙ্গে । দীপক ছিল ইকনমিঙ্কের হাত্র। ওদের চাইতে এক বছরের সিনিয়র। এমনিতে শান্ত প্রকৃতির হলেও দীপক ছিল অত্যন্ত একরোধখা চরিঞ্জের cara! বসন্ত কেবিনের চায়ের টেবিল ঘিরে বসে রুদ্র ও MAB যখন কোন বিষয়ে তর্কযুদ্ধে মেতে উঠতো তখন দীঁপককেই সামলাতে হতো তাঁদের | তর্কে কোণঠালা হয়ে রুদ্র হয়তো বলতো, আচ্ছা দীপকদা, তুমিই বলো না, শেষের ক্বিতায় রবীন্দ্রনাথের তৈরি অমিতের চরিত্রটা নাকি আগাগোড়া কাল্পনিক । ডিরোজিও'র ইয়ংবেঙ্গল যুগে ও নাকি এমন একটা চরিত্রের সাক্ষাৎ পাওয়া সম্ভব ছিল না। সহাহভূতির চোখে sag দিকে তাকিয়ে দীপক তার হাতের সিগারেটে শেষটান দিয়ে বলতো, নিজে হালে পানি না পেয়ে আমাকে আবার এব মধ্যে টানছিন কেন HY ? -নানা, তুমিই বলে না দীপকদা। তোমার অভিমতটা একবার স্তনতে চাই are আমার যুক্তিকে মোটেই আমল দিতে চাইছে না। বলেই রুদ্র তার টানা চোখ দুটো মেলে অলকার দিকে তাকাতো | অলকাও WIZ মানতে৷ দীপকদাকে। বলতো, বেশ তাই cats তোমার অভিমতটা স্তনতে চাই দীপক্দা | ১৮



Leave a Comment