গিরিশচন্দ্র-রচনাবলী [খণ্ড-১] | Girishchandra-rachanabali [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
গিরিশচন্দ্র নাট্যাচার্য গিরিশচন্দ্র যিনি ছেলেবেলায় ঠাকুরমায়ের কাছে se stl শুনে অভিভূত হয়ে যেতেন, “WHR শুনে Sey ফিরে না আসার জন্তে চোখের জলে বুক ভাসাতেন, যৌবনে পদার্পণের সঙ্গে সঙ্গে তিনি হয়ে Boras, দুর্বার, দুববিনীত। তার ওপর আবার পয়লা নম্বরের নাস্তিক । অল্প বয়েসে পিতৃ-মাতৃহারা হয়েছিলেন। মাথার ওপর বিধবা বড়বোন কৃষ্ণকিশোয়ী ছিলেন Sta অভিভাবিকা। কিন্তু তার কত- FH ক্ষমতা যে এই দুর্দান্ত ছোট তাইটিকে স্ব-বশে রাখেন ? বাড়ির মধ্যে যতটুকু পান, তারমণ্যে চরিত্র সংশোধনের জন্যে উপদেশ দেন, কখনও a বিরক্তি প্রকাশ করেন, গালাগালি করেন। কিন্তু বাড়ির বাইরে পা ঢ্বিলেই-_-যে গিরিশ, আবার সেই গিরিশ । অথচ শৈশবে ঠাকুর দবেবতার প্রতি যথেষ্ট ভক্তি ছিল গিরিশের । fice কথা বল্‌তে জানতো না। নেশা-ভাঙ, তো দুরের কথা--পানটি পর্যন্ত caw ati ক্ষষ্ণকিশোরী ভাইয়ের চারিত্বিক সংশোধনের জঙ্তে যথেষ্ট চেষ্টা করেও হালে পানি পাননি। তাই ১৮৮৪ সালে গিরিশচন্দ্রের যখন ঠাকুরের সায্নিধ্যলাভের মৌভাগ্য হোল, তখন আত্মীয়- পরিজনের] বড়ই স্বস্তি বোধ করেছিলেন। মনে করেছিলেন, সাধু.-মঙ্গ যখন লাভ হয়েছে, তখন বোধহয় এবার গিরিশের জীবনের মোড় ya যাবে, চারিত্রিক সংশোধন হবে। কিন্তু কিছুই হয়নি । ভগবান শীশ্রীরামকষ্ণ পরমহংসদেব গিরিশের ওপর কোন বিধিনিষেধই আরোপ করেননি। বরং কখন কখন মন্যপান করে তিনি দক্ষিণেশ্বরে গেলে, অথবা মদ্রের বোতল মঙ্গে নিয়ে ঠাকুরের কাছে উপস্থিত হলে, ঠাকুরের অন্যান্য ভক্তের বিরক্ত হলেও, ঠাকুর বিরক্ত হননি। Grae, ঠাকুর ভক্ত ও শিষ্যদের কাছে গিরিশকে “তৈরব”রূপে চিহ্নিত করেছেন। বলেছেন--ও আমার ভৈরব ! ও WSS | ase!’ এই স্থরভক্ত, বীরভক্ত গিরিশকে নিয়ে ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের অপূর্ব লীলামাধুরী ভক্তদ্বের কাছে দিন দিন প্রকট হতে লাগলো 1 কোনদিন crt] যায়--স্তরাপানে মত্ত ক্ত-ভৈরব-গিরিশচন্দ্রকে, কোনদিন বা তিনি সাদাচোখেই এসে বসেন, ভক্তজনদের মাঝে । ভজন-পূজনের বালাই নেই, আহার-বিহারের কোন বাছ-বিচার নেই, তবুও তিনি ভগবান শরীরামকষ্ণদেবের একান্ত আপনজন sta অশেষ site তিনি চিহ্নিত হয়েছেন ভৈরবরূপে, সেই Suis তিনি আবার কখন কখন চোদ্দপুরুষ উদ্ধার করে গালাগাল দিয়ে বসেন। "কখনও আবার সেই মানুষটিকেই দেখা যায়, নরে্জ্রনাথের (স্বামী বিবেকানন্দ ) সঙ্গে তর্কযুদ্ধ তরু কয়ে দিয়েছেন, ভগবান প্রীরামকৃষ্ণদেবকে নররূপী নারায়ণরূপে প্রমাণ করতে। ভক্ত-ভৈরব গিরিশের যুক্তিতর্কে শেষ পর্যন্ত THATS হার মানতে Ez | একদা ধার মন ছিল সংশয়াচ্ছন্ন, ঠাকুরের wits শেষে তিনি সংশয়মুক্ত হলেন। মনে এলো অগাধ বিশ্বাস। কিন্তু বাহক আচার-আচরণে তার কোন পরিবর্তন হোল



Leave a Comment