জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ কবিতা | Jyotirindranath Thakurer Shreshtha Kabita

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রবীন্দ্রনাথের অগ্রজ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবি-জীবন ছিল এক সম্পূর্ণ প্রতিভার অসম্পূর্ণ বিকাশ। নিজেকে যেমন তিনিও সম্পূর্নভাবে উদ্ঘাটিত করেননি তেমনি উনিশ শতকের এই কবির কোনও সদর্থক মূল্যায়নও হয়নি। তাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রিস্তরে গবেষণা হয়েছে, কিন্তু, বাংলার সারস্বত কর্মে তাকে স্থান দিতে আমরা বড়ই BIS থেকেছি। বাংলার নাট্যচর্চায় এই অগ্রণী পুরুষটি আধুনিক নাট্যোদ্যমের পুরোধা পুরুষও ছিলেন। কিন্তু বাঙালির নাট্যচর্চার ইতিহাসেও তাকে স্থান দেওয়া হয়নি। আধুনিক বঙ্গীয় চিত্রকলায়, বাঙালির ব্যবসা-বাণিজ্যে, সামাজিক ও সাং গঠনে এই বিচিত্রমাত্রিক পুরুষটি তার সময়ে উল্লেখনীয় কৃতিত্বের পরিচয় দিলেও তাকে অকৃতজ্ঞ বাঙালি সমূহ ভুলেছে। কেবল রবীন্দ্রচর্চাব অনুষঙ্গে তার নামোচ্চারণ করা হলেও রবীন্দ্র-প্রতিভার উন্মেষে তার ভূমিকার কথা নিম্নস্বরে বলা হয়। রবীন্দ্রনাথ এ বিষয়ে 'জীবনস্মৃতি তে সকৃতজ্ঞ উল্লেখ করেছেন। রবীন্দ্রনাথের “বাল্মীকি-প্রতিভা'র প্রেরণায়, সুর-সংযোজনে, বিদ্বজ্জনসমাগম উপস্থাপনে তিনিই ছিলেন প্রধান উদ্যমী। রবীন্দ্রনাথ জোড়াসাকোয় মাঘোৎসবের দায়িত্ব গ্রহণের আগে তা পালন করেছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। পিতামহ দ্বারকানাথের ব্যবসার অনুপ্রেরণায় জাহাজের ব্যবসায় নেমে অশেষ ক্ষতি স্বীকার করলেও উনিশ শতকের ঘরে-বাইরে নির্বল বাঙালির মনে কর্মোদ্দীপনা তিনি সঞ্চারিত করেছিলেন। প্রতিপক্ষ ইংরেজের বিরুদ্ধে ব্যবসায় তিনি অসম সাহস নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তার বিচিত্রগামিনী কর্মধারায় কাব্য-রচনা ছিল একটি ধারা। কবি হিসেবে তিনি মূলত ছিলেন গেয় বাকের কবি বা বাগ্গেয়কার। প্রাচীন পরম্পরার অনুসরণে নাট্য-রচনাকে আশ্রয় করেই তিনি গীত ও কাব্যরচনা করেছিলেন। ভারতে নাট্যশাস্ত্রের বিচারধারায় সকল শিল্পের মূল উদ্দেশ্য হল রসোৎপাদন এবং রসাস্বাদন। নাট্যশিল্পকে তিলোত্তমা শিল্প বলা হয়, কেন না নাট্যেরই অঙ্গ হিসেবে চিত্রকলা, ভাস্কর্য, কাব্য, সংগীত ইত্যাদি ললিতকলা বিবৃদ্ধি লাভ করেছে। নাটকের বাইরেও তিনি কিছু সংগীত ও ব্রহ্মসংগীত রচনা করেছিলেন। নাট্যান্তর্গত নয়, তার এমন সংগীতগুলিও এই সংকলনে দেওয়া হল। নাটকের তিনটি শ্রেণীতে, বিয়োগাত্তক মিলনাস্তক প্রহসন তিনি রচনা করেছিলেন। এছাড়া রূপকের দশটি ভেদের অনুসরণে তিনি নাটক, প্রকরণ, ভান, ব্যায়োগ, সমবকার, ডিম, ঈহামৃগ, we, বীথি ও প্রহসন অনুবাদ করে সংস্কৃত নাটকের সম্পূর্ণ আবয়বিক রূপ দর্শিয়েছেন। তার অনুবাদ ধরেই সংস্কৃত নাট্য-প্রকরণের ব্যাপারগুলি জানা যায়। সংস্কৃত সাহিতা' তিনি কী গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন,



Leave a Comment