গঙ্গার উৎস গোমুখ | Gangar Utsa Gomukh

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
চোখে পড়লো QU শিমূল গাছ, ফুলে ফুলে লাল হয়ে আছে। এ এক অদ্ভুত ধরনের গাছ। যখন পাতা শুধুই পাতা, যখন ফুল শুধুই ফুল, যখন ফল শুধুই ফল ৷ যখন যার তখন তার। ঠিক যেন রষ্ভার মতো সতী সাধ্বী। খুব বিশ্বস্ত আর একনিষ্ঠ। কিন্তু শুধু শিমূল কেন, গাছ মাত্রই তো এক আশ্চর্য বস্তু। প্রাণের রাজ্যে একমাত্র গাছই acer সেই সত্ত। যার দেহে বছরে বছরে যৌবন Ya ঘুরে আসে, প্রতি বছরই পুরাতন পাতা ঝরে গিয়ে উদগত হয় নতুন কিশলয়, নতুন করে ফুল ফোটে, মৌমাছি প্রজাপতির মতো রসমন্ধানী বন্ধু অতিথিদের আনাগোন1 ঘটে, নতুন করে ফল ধরে । আর মানুষ, কিংবা অন্য প্রাণী--তাদের বেলায় যৌবন একবার চলে গেলে আর তা ফিরে আসে না। যদি গাছ হতাম ৷ শুনেছি কায়াকল্ট করে যোগী সাধকেরা জীর্ণ দেহে যৌবন ফিরিয়ে আনতে পারেন stares কি বৃক্ষ-সাধনা ? এ যে একটা পায়ে-চলা রাস্তা! মাঠের ওপর দিয়ে এঁকে বেঁকে চলে গেছে দূরের এ গ্রামটার দিকে । ওট! দেখেই মনে পড়ে যাচ্ছে আর একটি গ্রামের কথা । নামটি তার পিতলক্কাঠি। সেই গায়ে ঢুকবার yew রাস্তার মোড়ে একটা ছোট্ট টিলার ওপর, বিরাট স্থপ্রাচীন এক গাছের তলায় জয়চণীর পাষাণ মন্দির। কোঠাবাড়ির মতো দেখতে । সামনে কিছু ধানের ক্ষেত, তাছাড়া চারিপাশে ধু ধু করা রাক্ষুসে মাঃ । এ রাস্তাটা দেখেই মনে হলো ওটা ধরে এগিয়ে গেলেই বরাবর পেঁ ছে যাবো জয়চণ্ডার মন্দিরে । জানি তা কখনোই সম্ভব নয়, তবু ভাবতে বেশ ভালো লাগছে, মিছিমিছি বিশ্বাস করতে ৷ মনে হচ্ছে, সত্যি সত্যি যেন পেঁছে যাবে সেখানে । আরো ভালো লাগছে ভাবতে যে, আমার এই দুর্গম পথপরি- PUA শুরুতেই আমার ভাবনা জুড়ে আবিভুূতা ইয়েছেন সর্বভয়বিনাশিনী জগজ্জননী GIGI | আমাদের ওপাশটায় বসেছে তিনজনের একটি দল- মা, মেয়ে আর মেয়ের কাক]; অবাঙালী | মা আর মেয়ে ভীষণ স্বচ্ছন্দ আর সপ্রতিভ | a



Leave a Comment