একই সুর | Ekei Sur

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
একেবারে শুকিয়ে গেল। কত রকমের মালিশ, টোটকা, দৈব। কিছুতেই. কিছু হল না। সেই চার বছর বয়সের ছবির দিকে সুমন তাকিয়ে থাকে। সুস্থ সবল একটি শিশু। হাফপ্যান্ট পরা। ফর্সা, গোল গোল দুটো পা। মোজা। বুট GCS | মাঝে মাঝে ছবির আ্যালবামটা বের করে সুমন CHCA! যা ছিল, এখন যা নেই। 2 রর ie রবিবারের দুপুর। সুমন তার ঘরে বসে লেখাপড়া করছে। দক্ষিণের দুটো জানালাই খোলা। নিচে রাস্তা। হঠাৎ চেঁচামেচি | কিল, চড়, ঘুসির শব্দ। সুমন বসে বসে জানালার দিকে এগিয়ে গেল। ব্রজেন তিনটে ছেলেকে বেধড়ক ঠেঙাচ্ছে। সুমন, “Afar, হরিদা' বলে চিৎকার করে উঠল। পাশের ঘরেই হরিদা ছিলেন, ছুটে এলেন। হরিদা ছুটে গেলেন নিচে; কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্রজেন ওপরে উঠে এল পাঞ্জাবির হাতা ঠিক করতে করতে | মুখ দেখলে বোঝার উপায় নেই যে, একটু আগেই তিনটে ছেলেকে, সে বেদম ধোলাই দিচ্ছিল। যেন কিছুই হয়নি। কখনই কিছু হয়নি। লাল মেঝের ওপর ধপাস করে বসে পড়ল। দৈহিক কোনও কিছু দেখলে সুমনের ভীষণ ভয় করে। গলা শুকিয়ে যায়। ব্রজেন বললে, WA পাবার মতো কিছু হয়নি। একে বলে হাতেনাতে কর্মযোগ। আমার কর্মযোগ আর ও তিন বাঁদরের দুষ্কর্মযোগ। গোটাকতক দীত নড়বড়ে করে দিয়েছি। দিন সাতেক একটু লিকুইড ডায়েটের ওপর থাকতে হবে। আর ঘোড়ার মতো লম্বা লম্বা তিনটে মুখ একটু চাদের মতো গোলগোল হয়ে থাকবে দিন তিনেক। আর মনে থাকবে, কি বলতে আছে, আর কি বলতে নেই” “কি বলেছিল?” “সে আমি তোকে বলব কেন? দেনা-পাওনা সব মিটিয়ে দিয়ে এসেছি। ডেলিভারি BTS পেমেন্ট” সুমন হেসে বললে, 'জানি কি বলেছিল? ল্যাংড়াদের বাড়ি। ওই ১৪



Leave a Comment