পা রাখার জায়গা | Pa Rakhar Jayga

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ পারাখার জায়গা পারমিতা তখন উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল। হিতাহিত জ্ঞানশূন্যের মতো সে সমানে চেঁচিয়ে গেছে, 'আর এক মুহূর্তও এখানে থাকার ইচ্ছে GA আজই আমি চলে যাব। ডিভোর্সের জন্যে দাম দিতে হবে না। কয়েকদিন পরে এসে আমার ছেলেকে আমি নিয়ে aay ‘CHT তুমি পাবে না। সোনা এই বংশের সন্তান “পাই কি না-পাই সেটা আমি দেখব। আমার ছেলেকে আপনারা কোনওভার্বেই আটকে রাখতে পারবেন ayy’ মনোবীণা লাহিড়ি পারমিতার মুখের দিকে একদৃষ্টে, তাকিয়ে শুনে যাচ্ছিলেন। প্রায় রুদ্ধ শ্বাসে। বুকের ভেতরকার আবদ্ধ বাতাস বার করে দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস টেনে এবার জিগ্যেস করলেন, “তুমি সত্যিই সেদিন শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলে?” আস্তে মাথা নাড়ে পারমিতা ।-- হ্যা ।' 'তারপর কী হল? পারমিতা জানায়, উত্তেজনা আর রাগের মাথায় রাস্তায় বেরিয়ে একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। মা-বাবা আগেই মারা গেছেন। দাদা থেকেও নেই। কলকাতায় তাদের অল্প কিছু আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। সারাটা দিন এদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে সে কিন্তু কোথাও একটু আশ্রয় মেলেনি। নানা অজুহাতে তারা তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আসলে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, কেউ তার মতো মেয়ের দায়িত্ব নিতে চায়নি। ঘোরাঘুরি করতে করতে সন্ধে পেরিয়ে গিয়েছিল। তার মতো একটি তরুণী রাস্তিরে এই pas শহরে কোথায় থাকবে, কার কাছে একটু সহানুভূতি পাবে ভেবে ভেবে ভয়ে শঙ্কায় যখন দমবন্ধ হয়ে আসছে সেইসময় তার স্কুলের হেডমিস্টেস বিভাবতী মৌলিকের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। খুবই CRAM মানুষ, পারমিতাকে খুবই ভালোবাসতেন। তিনি ছিলেন চিরকুমারী, স্কুল আর ছাত্রীরা ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। থাকতেন স্কুলেরই হোস্টেলে।



Leave a Comment