সোনার বাঙলা [খণ্ড-২] | Sonar Bangla [Vol. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
@ জনতত্ত আসা-যাওয়ার পাক খেয়ে-খেয়ে এই যে একটা কিছু বিশিষ্ট হয়ে উঠল তাকে আমরা বলেছি বাঙালী । কিন্তু এটা হল তার মোট সংজ্ঞার কথা। তন্নতন্ন করে এ বাঙালীর পরিচয় নিতে হলে তাই পাক খুলে-খুলে দেখতে হবে। পাক খোলার নান! পথ। তাই নানা পথেই এ পরিচয় পূর্ণ হওয়া সম্ভব। যেমন, যে জল-মাটিতে এই বিশিষ্টতা গড়ে উঠেছিল, তার পরিচয় নিতে হয় আগে। এ পরিচয়ের নাম হল বাঙলার ভূগোল | যে ঘটনা-পরম্পরা সময়ের পাকে জড়িয়েছে, সময়ের পাক খুলে তার চেহারা দেখাও একট) পরিচয় । সে পরিচয়ের নাম ইতিহাম। এমনি এক-একট) পরিচয় পাওয়া যাবে বাঙলার সাহিত্যে, শিল্পে, অর্থ-ব্যবস্থায়, রাষ্ট্রব্যবস্থায়। পরিচয় গ্রহণের আধুনিক আর-একটি পথ হল জনতথ্য (ডেমোগ্রাফি )। তার পাকটা সময়ের পাক নয়, সংখ্যার পাক। সংখ্যায় সংখ্যায় বেড়ে মানুষের যে মোট সংখ্যাটাকে আজ আমরা বাঙালী বলছি, তার মধ্যে নানা গতি-পরিণতি, ata carts, নান] প্রবণতা বাঁধা পড়ে আছে। মোট সংখ্যাটা গড়ে উঠেছে ছোটোখাটো নানা সংখ্যা দিয়ে। মোট সংখ্যাটা বাঙলা দেশময় ছড়িয়ে পড়েছে নানা সংখ্যায়, নানা ঘনতায়, নানা খোপে, নানা হিসেবে । সামনা-সামনি দেখলে তার এক বিশ্যাস, পাশাপাশি দেখলে তাঁর এক চেহারা। জনবিশ্যামের এই বিচিত্র হিসাব- নিকাশের পরিচয় নেবার চেষ্টা! করে দেখব, পশ্চিম বাঙলা এবং বাঙালী সম্পর্কে জানার মতো, কাজে লাগাবার মতো কী কী তথ্য আমর! পেতে পারি।



Leave a Comment