আগুনের রঙ লাল | Aguner Rang Lal

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সারা হরিণমারা আতঙ্কে কাঠ হয়ে গেল শুনতে শুনতে । এদিক থেকে তো তারা ব্যাপারটা ভাবেনি। ৪ আকাশের হাওয়া মাঝরাতে ঘুরে গেল। CTA রাত থেকে বৃষ্টি। সকাল হতে না হতে কাড়ানা মাঠঘাট জলে থৈ থৈ। দুপুরে আকাশ একটু wre হয়েছে। কিন্তু এখনই ঝিরঝিরিয়ে বর্ষ এলেই হ'ল। কোনও ভরসা নেই। জলভরা মাঠে ব্যাঙ-ব্যাঙানীদের ডাকে কান পাতা দায়। ঝাঁকে STH সাদা বক উড়ে বেড়াচ্ছে এখান থেকে ওখানে | প্রকৃতিতে কী এক আলোড়ন চলেছে...সেখানে যারা আছে, তারা সবাই চঞ্চল। গ্রাম থেকে মানুষজন বেরিয়ে পড়েছে। মাঠে কালো-কালো ছায়ার মতো মানুষ ঘোরে ধূসর আকাশের নিচে | বদরু মাঠে গিয়েছিল। বীজধানের ক্ষেত থেকে জল বের করে কাদা মেখে ফিরল। হাতে কোদাল, মাথায় মাথালি। উঠানে দাঁড়িয়ে দাওয়ার দিকে তাকিয়ে সে প্রথমে অবাক, পরে অস্বস্তিতে নড়ে ওঠে, 'মিতে, তুমি!” বলে কোদালটা একপাশে ছুঁড়ে ফেলে লাফ দিয়ে দাওয়ায় ওঠে | সামনে হাঁটু দুমড়ে বসে ফের বলে, “কী ভাবা যে ভাবছি তোমার জন্য, উরেব্বাস। ইদিকে দেখি তুমি আমার বাড়িতেই হাজির ।' সে হাসতে থাকে। গউর দেয়ালে ঠেস দিয়ে বসে ছিল। পাছার নিচে তালপাতার চাটাই। বদরুর মা তার কোঁচড়ে চিড়ে-গুড় দিয়েছে। গউর চিবুচ্ছে। চোখ দুটো কোটরে ঢোকা। লালচে হয়ে আছে। উস্কোখুস্কো চুল। চিড়েটা মুড়মুড় করে চিবৃচ্ছে। তাই দেখে বদরু আরও খুশি হয়। এই গউর কেয়াতলার বিলের জলে গামছায় বেঁধে চাল ভেজাতে দিত। ফুলে ঢোল হতো চালগুলো। রঙটা সাদা হয়ে উঠত। সে কী আশ্চর্য স্বাদ তখন! গউর বলত, “খাও মিতে | জাত খেলে যায় না, বললে যায়।' রাখালি জীবনের সেই দিনগুলো রয়ে গেছে কেয়াতলার কুশকাশের বনে, হিজল-জাম-জিয়ালার ছায়ায়, দ্বারকা নদীর বুকের বালিতে। সেখান হিন্দু-মুসলমান ছিল না। সবাই গেরস্থের রাখাল। একসঙ্গে ভাগ করে খেয়েছে গেরস্থের দেওয়া “GAA! খেয়ে খালের নীলচে জল পান করে COR মিটিয়েছে। নদী-খাল-বিলের Gere হিন্দু-মুসলমান হয়ে ওঠেনি ASA হাসে। ঢোক গিলে বলে, 'সৌদরপুর গেলাম মামার বাড়ি! মাম! বললে, তুই পালা বাবা! তোকে এখানে পেলে বিপদ হবে। মামা জায়গা দিতে পারল না। তা পরে গেলাম দিদির বাড়ি কাপাসী। দিদি তো ভয়ে কাঠ। কোঠাঘরের ওপর ঘুমটি ছাদে লুকিয়ে থাকতে বলল। ধুস শালা! কতক্ষণ আঁধারে অমন করে পড়ে থাকব? আমি মাঠচরা মানুষ। বিলে মাঠে বেশ ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। লোক দেখলেই আড়ালে চলে যেতাম। কখনও শেয়ালের গর্তে, কখনও জল ছেঁচার ATE | কখনও গাছের ডালে। কিন্তু হঠাৎ এই বৃষ্টি !' বদরু বলল, 'বুঝলাম অবস্থাটা। ভালই করেছ As ASA একটু হাসে. 'এখন তুমি তাড়িয়ে দিলে আবার এক জায়গায় UTA!” বদরুর মা দাওয়ার কোনায় উনুনে ভাত রীধছিল। বদরুর বউ মাথায় ঘোমটা টেনে গোয়ালঘরের ছোট্ট দাওয়ায় গরুর জন্য খড় কাটছিল বাঁটিতে। বদরুর মা বলে, 'ব্যাটা ১৮



Leave a Comment