নদীর এপার কহে | Nadir Epar Kahe

যেখানেই যাক মন পড়ে থাকত 'এই ছোট্ট বাসাটির দিকে। কখন ফিরে এসে প্রশস্ত সোফা কিংবা কৌচের গভীর নরম বুকে, অথবা ছুটে গিয়ে ধবা] দেবে কোমল শয্যার শুল আলিঙ্গনে । বন্ধুর! ঠাট্ট! করত, তুই বড্ড CATA | কি করব ভাই, হেসে কবুল করত Brera, আমি আমার এই ফ্ল্যাটের প্রেমে পড়ে গেছি। একে ছেড়ে কোথাও গিয়ে মন টে'কে না। আজ তার কী হল কে জানে ? কেমন একটা fife দৃষ্টি দিয়ে দেখল সব। প্রতিটি বস্তুর ওপর যে প্রগাঢ় আসক্তি ছিল, কালও মর্মে মরে অনুভব করছে, হঠাৎ যেন উবে গেছে। মনে হল এগুলো যেন বড় কৃত্রিম, মিজীব, কোথাও কোন প্রাণের স্পর্শ নেই । চোখের ওপর ভেসে উঠল আরেকট! বাড়ীর ছবি। চবিবশ ঘণ্টা, মাকে বলে কাগ পড়ছে চিল উড়ছে । শোভা নেই, শৃঙ্খলা নেই | বিছানা বালিশ জিনিসপত্র সব অগোছালো, অবিন্তস্ত। ছুটি অতি Ore শিশু ছুটছে লাফাচ্ছে, এটা ফেলছে, ওটা ভাঙছে, আর তাদের পিছনে সমান তালে চেঁচিয়ে চলেছে তাদের মা। তারই মধ্যে অথচ তার থেকে বহু দূরে বইয়ের মধ্যে নিমগ্ন হয়ে বসে আছে একটি মানুষ, সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন, নিলিপ্ত। ছবিটা যেন চোখের সামনে থেকে সরতে চাইছিল না। একটি বয়স্ক! fa আছে স্থলেখার ৷ সারাদিনের | রান্নাবান্না, সব কাজ করে। সিঁড়ির পাশে একখানা ছোট্ট ঘর আছে, সেখানেই শোয়। জানতে চাইল, কফি বা চা কিছু দেবে কিনা। স্মলেখা না বলাতেই চলে যাচ্ছিল। ফিরে দাড়িয়ে বলল, সরিত্বাবু ফোন করছিলেন | জানতে চাইলেন কখন ফিরবে তুমি । তুমি কী বললে ? বললাম, কলকাতার বাইরে গেছেন, হয়তো একটু রাত হবে | আচ্ছা, তুমি যাও | সুরিতের সঙ্গে স্থলেখার ঘনিষ্ঠতা অনেক দিনের ৷ চার te বছরের কম নয় সেটা যে একটু বিশেষ ধরণের তাদের dice মহলের Se